বর্তমান যুবসমাজকে শারীরিক ও মানসিকভাবে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে যে ব্যাপারগুলো, তাদের মধ্যে পর্নোগ্রাফি অন্যতম। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, পর্নোগ্রাফি হাল আমলের কোনো বস্তু নয়। মানব সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকে, বিশেষত যখন থেকে মানুষ শিল্প-সাহিত্যে তাদের মনের ভাব প্রকাশের যোগ্যতা অর্জন করেছে, তখন থেকে মানব শরীরের প্রতি নিজেদের আকর্ষণকে তারা ব্যক্ত করার চেষ্টা করে এসেছে। আর এভাবেই জন্ম হয়েছে পর্নোগ্রাফির।
কিন্তু তারপরও পর্নোগ্রাফির ইতিহাস ও বিবর্তনকে খুব সহজে বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়। এর কারণ হলো, পর্নোগ্রাফিকে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করা যায়নি। আভিধানিকভাবে পর্নোগ্রাফি (pornography) শব্দটি এসেছে গ্রিক porni (prostitute) ও graphein (to write)থেকে। অর্থাৎ শব্দের উদ্ভবের দিক থেকে পর্নোগ্রাফি বলতে বোঝায় সেসব শিল্প বা সাহিত্যকে, যাতে পতিতাদের জীবনাচার তুলে ধরা হয়। তবে প্রচলিত অর্থে পর্নোগ্রাফি হলো বই, ছবি, মূর্তি, ভাস্কর্য, ভিডিও কিংবা অন্যান্য মাধ্যমে যৌনক্রিয়া বা নগ্নতার প্রতিফলন, যেগুলোর লক্ষ্য থাকে দর্শকদের মধ্যে যৌন উন্মাদনা জাগিয়ে তোলা। যেহেতু পর্নোগ্রাফির মূল ভিত্তি হলো নগ্নতা, তাই চলুন নগ্নতাকে মূল সূচক ধরে মানবসভ্যতার ইতিহাসে পর্নোগ্রাফির বিবর্তনের ইতিহাস জানা যাক।