সর্বনাশের সিঁড়ি!
বিশ্ব রাজনীতি স্বীকৃত মৌলিক নাগরিক অধিকার পাঁচটি, যথা- অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং চিকিৎসা। মনুষ্যজীবনে এগুলি এমনি আবশ্যক, এর একটিও পরিহার্য নয়। আবার ইসলাম ধর্মও পাঁচটি ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত, যথা- কালেমা, ছালাত, ছিয়াম, যাকাত এবং হজ্জ। ইসলাম থেকে এর একটিও পরিহার্য নয়। এই নিয়মে আমি সর্বনাশের পাঁচটি সিঁড়ি চিহ্নিত করতে চাই, যথা- সূদ, ঘুষ, পর্দাহীনতা, টেলিভিশন এবং মোবাইল। এগুলির পরিণাম সর্বনাশ। তা অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই তাকে বলেছি সর্বনাশের সিঁড়ি। যেহেতু এসবের মাধ্যমেই সর্বনাশ আসে।
প্রথমেই সূদের কথা বলা যাক। সূদের বিনিময়ে যারা টাকা লগ্নী করে, তারা একে ব্যবসা বলে। আর এটি এমনই ব্যবসা যাতে ব্যবসায়ের দু'টি মূলনীতি কিংবা পরিণামের একটি অনুপস্থিত। অর্থাৎ এতে লোকসান নেই। অথচ ব্যবসায়ে লাভ এবং লোকসান দু'টিই থাকার কথা। আবার লাভ-লোকসান বরাবর অপরিবর্তিত থাকারও কথা নয়। কিন্তু সূদের বেলায় শুধু লাভই থাকে এবং তা অপরিবর্তিত। এ কারণে সূদকে ব্যবসা বলার কোন যুক্তি নেই। বরং শোষণের হাতিয়ার বা পন্থা বলাই সংগত। সূদে আবার সূদের সূদ, তস্য সূদ অর্থাৎ চক্রবৃদ্ধির সুযোগটাও রয়েছে। তবু সূদ আন্তর্জাতিক। সেকারণে গণিতশাস্ত্রেও তার স্থান রয়েছে। অর্থাৎ গণিতশাস্ত্র অধ্যয়নে সূদ কষার নিয়ম শেখার ব্যবস্থা রয়েছে।
সূদের ব্যবসায়ে লোকসান নেই বলেই লগ্নীকারীরা এতে অর্থ লগ্নী করে। কিন্তু সূদে অর্থ গ্রহীতারা সবাই যে নিতান্ত নিরুপায় হয়ে এ ঋণ গ্রহণ করে, তা নয়। অনেক অর্থশালী ব্যবসায়ীরা ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য সূদী ঋণ গ্রহণ করে। তার ফলে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারিত হয়। অধিক মুনাফা করতে পারায়, তাদের ধন বৃদ্ধি পায়। আর ধন বৃদ্ধির সংগে পাল্লা দিয়ে অহেতুক বিলাস-ব্যসনের মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়। যারা অধিক টাকা না থাকার কারণে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কিংবা আদৌ টাকা না থাকায় ব্যবসা করতে পারে না, তারা সূদের ভিত্তিতে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করে। প্রায়শঃ দেখা যায়, এ ধরনের ব্যবসায়ীরা পরিণামে ব্যবসায়ে ফেল মারে। তার কারণ হিসাবে জানা যায় যে, আয়ের চাইতে ব্যয় অধিক করার ফলেই পরিণামটা এরূপ হয়।
বিশ্ব রাজনীতি স্বীকৃত মৌলিক নাগরিক অধিকার পাঁচটি, যথা- অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং চিকিৎসা। মনুষ্যজীবনে এগুলি এমনি আবশ্যক, এর একটিও পরিহার্য নয়। আবার ইসলাম ধর্মও পাঁচটি ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত, যথা- কালেমা, ছালাত, ছিয়াম, যাকাত এবং হজ্জ। ইসলাম থেকে এর একটিও পরিহার্য নয়। এই নিয়মে আমি সর্বনাশের পাঁচটি সিঁড়ি চিহ্নিত করতে চাই, যথা- সূদ, ঘুষ, পর্দাহীনতা, টেলিভিশন এবং মোবাইল। এগুলির পরিণাম সর্বনাশ। তা অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই তাকে বলেছি সর্বনাশের সিঁড়ি। যেহেতু এসবের মাধ্যমেই সর্বনাশ আসে।
প্রথমেই সূদের কথা বলা যাক। সূদের বিনিময়ে যারা টাকা লগ্নী করে, তারা একে ব্যবসা বলে। আর এটি এমনই ব্যবসা যাতে ব্যবসায়ের দু'টি মূলনীতি কিংবা পরিণামের একটি অনুপস্থিত। অর্থাৎ এতে লোকসান নেই। অথচ ব্যবসায়ে লাভ এবং লোকসান দু'টিই থাকার কথা। আবার লাভ-লোকসান বরাবর অপরিবর্তিত থাকারও কথা নয়। কিন্তু সূদের বেলায় শুধু লাভই থাকে এবং তা অপরিবর্তিত। এ কারণে সূদকে ব্যবসা বলার কোন যুক্তি নেই। বরং শোষণের হাতিয়ার বা পন্থা বলাই সংগত। সূদে আবার সূদের সূদ, তস্য সূদ অর্থাৎ চক্রবৃদ্ধির সুযোগটাও রয়েছে। তবু সূদ আন্তর্জাতিক। সেকারণে গণিতশাস্ত্রেও তার স্থান রয়েছে। অর্থাৎ গণিতশাস্ত্র অধ্যয়নে সূদ কষার নিয়ম শেখার ব্যবস্থা রয়েছে।
সূদের ব্যবসায়ে লোকসান নেই বলেই লগ্নীকারীরা এতে অর্থ লগ্নী করে। কিন্তু সূদে অর্থ গ্রহীতারা সবাই যে নিতান্ত নিরুপায় হয়ে এ ঋণ গ্রহণ করে, তা নয়। অনেক অর্থশালী ব্যবসায়ীরা ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য সূদী ঋণ গ্রহণ করে। তার ফলে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারিত হয়। অধিক মুনাফা করতে পারায়, তাদের ধন বৃদ্ধি পায়। আর ধন বৃদ্ধির সংগে পাল্লা দিয়ে অহেতুক বিলাস-ব্যসনের মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়। যারা অধিক টাকা না থাকার কারণে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কিংবা আদৌ টাকা না থাকায় ব্যবসা করতে পারে না, তারা সূদের ভিত্তিতে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করে। প্রায়শঃ দেখা যায়, এ ধরনের ব্যবসায়ীরা পরিণামে ব্যবসায়ে ফেল মারে। তার কারণ হিসাবে জানা যায় যে, আয়ের চাইতে ব্যয় অধিক করার ফলেই পরিণামটা এরূপ হয়।