What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

প্রতিশোধ নিতেই পরকীয়ায় জড়ান স্নিগ্ধা ভৌমিক (1 Viewer)

Status
Not open for further replies.

Nirjonmela

Administrator
Staff member
Administrator
Joined
Mar 1, 2018
Threads
2,763
Messages
23,266
Credits
825,345
Pistol
Crown
Thread Title Style (One)
Profile Music
Cg1k1GE.jpg


মেয়ে রিক্তি ও স্ত্রী দীপার সঙ্গে রথীশ

রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের পিপি নিহত এড. রথীশ চন্দ্র ভৌমিক একাধিক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় আসক্ত ছিলেন। এ নিয়ে স্ত্রীকে প্রায়ই সময় মারধর করতেন। স্নিগ্ধা রাণী দীপা ভৌমিক নিজের এ কষ্টের কথা বলতেন সহকর্মী কামরুল ইসলামের কাছে। কথা বলতে বলতে তারা একে অপরের প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে স্বামীর পরকীয়ার প্রতিশোধ নিতেই পরকীয়ায় জড়িয়ে যান দিপা।

স্বামী রথীশ চন্দ্র ভৌমিককে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে এসব তথ্য দিয়েছেন স্নিগ্ধা রাণী দীপা। রংপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফা ইয়াসমিন মুক্তার আদালতে দেয়া ১২ পাতার জবানবন্দিতে পারিবারিক নানা বিষয় তুলে ধরেন তিনি।

তিনি বলেন, একাধিক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় আসক্ত ছিল রথীশ। আমাকে অবজ্ঞা-অসম্মান করত। শুধু তাই নয়, আমার বিবাহিত জীবন ছিল অশান্তিতে ভরা। ২৫ বছরের বিবাহিত জীবন কখনোই সুখের হয়নি। পরস্পরকে কেউ বিশ্বাস করতাম না। আমাকে অবিশ্বাস করায় আমিও স্বামীর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে পারিনি। আমাকে প্রায় মারধর করত। এ ব্যাপারে বাড়িতে স্বজনদের নিয়ে সালিশ বৈঠকও হয়। এ কারণে আমাদের মধ্যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়। এসব কষ্টের কথা আমার সহকর্মী কামরুলকে জানাই। একপর্যায়ে তার প্রেমে জড়াই। পথের কাঁটা সরিয়ে দিতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।

তিনি জানান, যেহেতু জেএমবির হামলায় নিহত জাপানি নাগরিক হোসি কুনিও ও মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলার সরকার পক্ষের প্রধান আইনজীবী ছিলেন রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা। সে কারণে তাকে খুন করলে সবাই ভাববে জঙ্গিরাই তাকে মেরে ফেলেছে। এ ভাবনা থেকেই তাকে হত্যা করা হয়।

পরকীয়ায় আসক্ত স্নিগ্ধা ও কামরুল তাদের ২ ছাত্রকে লাশ গুমের জন্য মাটি খুঁড়ে গর্ত করা ও লাশ মাটিচাপা দেয়ার কাজে ব্যবহার করেছিল। এজন্য তাদের ৩০০ টাকা দিয়েছিল। তাদের উপবৃত্তির টাকা ও পরীক্ষার ফলাফল ভালো করে দেয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন কামরুল। এ বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ২ ছাত্র সবুজ ইসলাম (১৭) ও রোকনুজ্জামান (১৭)। আদালত তাদের জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কিশোর বয়স বিবেচনায় সবুজ ও রোকনুজ্জামানকে যশোর শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে এবং স্নিগ্ধা ভৌমিক দিপাকে রংপুর কারাগারে পাঠিয়েছেন।
 
Status
Not open for further replies.

Users who are viewing this thread

Back
Top