What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

আইসিসি বিশ্বকাপ ট্রফি বাংলাদেশে আসছে ১৭ অক্টোবর (1 Viewer)

Nirjonmela

Administrator
Staff member
Administrator
Joined
Mar 1, 2018
Threads
2,764
Messages
23,326
Credits
841,165
Pistol
Crown
Thread Title Style (One)
Profile Music
9Ib4BUc.jpg


ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১২তম আসর মাঠে গড়াবে ২০১৯ সালের ৩০ মে। ১৪ জুলাই লর্ডসে টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। এবার দশ দেশের অংশগ্রহণে বিশ্বকাপের আয়োজক ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস। ২৭ আগস্ট থেকে বিশ্বভ্রমণে বের হবে আইসিসির বিশ্বকাপ ট্রফিটি। প্রথম গন্তব্য ওমানের রাজধানী মাসকট। সেখান থেকে পরের নয় মাস বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকটি শহরে ঘুরবে ট্রফিটি। আইসিসি বিশ্বকাপ ট্রফি বাংলাদেশে আসবে ১৭ অক্টোবর। ৭ দিনের বাংলাদেশ সফরে চারটি শহরে থাকবে ট্রফিটি। ১৭ থেকে ১৯ অক্টোবর তিন দিন ঢাকায় এটি প্রদর্শনীর পর ২০ ও ২১ অক্টোবর খুলনা ও সিলেট ঘুরে পৌঁছাবে চট্টগ্রামে। সেখানে ২২ ও ২৩ অক্টোবর প্রদর্শনীর পর শেষ হবে এই ট্রফির বাংলাদেশ সফর। ট্রফির এই ভ্রমণ শুরু হবে দুবাইয়ে আইসিসির প্রধান কার্যালয় থেকে।

পাঁচটি উপমহাদেশের ২১টি দেশে ৬০ শহরে ঘুরবে বিশ্বকাপের ট্রফিটি। এর মধ্যে রয়েছে ফুটবলের জনপ্রিয় দেশ জার্মানি, বেলজিয়াম আর ফ্রান্সও। তবে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেও আফগানিস্তানে যাচ্ছে না সোনালি ট্রফিটি। আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন বলেছেন, ট্রফি ট্যুর আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের অংশ হওয়ার অনন্য সুযোগ তৈরি করে দেয় ভক্তদের। আরো অনেক বেশি দেশ ও শহরে গিয়ে এবার আগের চেয়েও বেশি মানুষকে এর অংশীদার করতে যাচ্ছি আমরা।

এই ৯ মাসের যাত্রায় সোনালি ট্রফিটা শুধু ক্রিকেট খেলুড়ে দেশেই নয়, পৌঁছাবে এমন কয়েকটি দেশে যেখানে ক্রিকেট খুব বেশি পরিচিত নয়। ওমান হয়ে যুক্তরাষ্ট্র, রুয়ান্ডা, নাইজেরিয়া, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, নেপাল ও জার্মানিতেও হবে ট্রফি ট্যুর। এ ছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ভারত, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, কেনিয়া, জ্যামাইকা ও বার্বাডোজ সফর করবে এটি। ২০টি দেশ ঘুরে বিশ্বকাপ শুরুর ১০০ দিন আগে ১৯ ফেব্রæয়ারি ট্রফি পৌঁছাবে ইংল্যান্ডে।

১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতাকে ঘিরে তৈরি করা হয় আইসিসি ট্রফি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটিই ছিল প্রথম স্থায়ী পুরস্কার। ছয়টি বিশ্বকাপ হয়ে যাওয়ার পর ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি প্রথমবারের মতো অনুভব করে একটি নির্দিষ্ট নকশার ট্রফির প্রয়োজনীয়তা। বিশ্বকাপ ফুটবলের মতো যার মালিকানা কারও কাছে হস্তান্তর করা হবে না। এমন একটি ভাবনা থেকেই বিশ্বকাপ ক্রিকেটের স্থায়ী ট্রফির উদ্ভব। সোনা ও রুপার সমন্বয়ে তৈরি ৬০ সেন্টিমিটার উচ্চতার এই ট্রফির নকশা ও তৈরির কাজ করে লন্ডনভিত্তিক গারার্ড এন্ড কোং। দুই মাসের নিখুঁত শিল্প দক্ষতায় প্রস্তুত হয় বিশ্বকাপ ট্রফি। সাধারণত দুবাইয়ে আইসিসির ভল্টেই সংরক্ষিত থাকে বিশ্বকাপ ট্রফি।

১৯৯৯ সাল থেকে এই ট্রফির একটি রেপ্লিকা তুলে দেয়া হয় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলের হাতে। ১১ কেজি ওজনের এই ট্রফি প্রথমবারের মতো ছুঁয়ে দেখার অভিজ্ঞতা হয়েছিল ১৯৯৯ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার। এর আগে ১৯৭৫ সালে শুরু হওয়া বিশ্বকাপ ক্রিকেট এতটা লম্বা সময় কোনো নির্দিষ্ট ট্রফি ছিল না। সাধারণত পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের তৈরি করে দেয়া ট্রফিই ব্যবহৃত হতো চ'ড়ান্ত পুরস্কার হিসেবে।

১৯৭৫, ১৯৭৯ ও ১৯৮৩ ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের প্রথম তিনটি আসরে দেয়া হয় বিমা প্রতিষ্ঠান প্রুডেন্সিয়ালের দেয়া ট্রফি। একই নকশার তিনটি ভিন্ন ট্রফি ব্যবহার করা হয়েছিল বিশ্বকাপের প্রথম তিন আসরে। ১৯৮৭ সালে উপমহাদেশে অনুষ্ঠিত চতুর্থ বিশ্বকাপে ব্যবহৃত হয় ভারতের রিলায়েন্স শিল্পগোষ্ঠীর ট্রফি। ১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বেনসন এন্ড হেজেস বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন দলকে দেয়া হয়েছিল স্বচ্ছ স্ফটিকের তৈরি এক ট্রফি। ১৯৯৯ সাল থেকে আইসিসি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায় টাইগাররা। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেছিল মাশরাফিরা।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top