What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

প্রতিবন্ধী সন্তানজন্ম প্রতিরোধ (1 Viewer)

Nirjonmela

Administrator
Staff member
Administrator
Joined
Mar 1, 2018
Threads
2,764
Messages
23,303
Credits
826,908
Pistol
Crown
Thread Title Style (One)
Profile Music
AuZ9env.gif


চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি মানুষকে জীবনের নানা প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্তির পথ দেখাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন এক আবিস্কার চিকিৎসা জগতে নতুন এক সম্ভাবনার দরজা খুলে দিতে যাচ্ছে। যেসব বাবা-মায়ের প্রতিবন্ধী সন্তান জন্ম দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তাদের জন্য তৈরী হয়েছে নতুন এক আশার আলো। বিজ্ঞানীরা বলছেন প্রতিবান্ধী সন্তান হওয়ার পেছনে বাবা-মায়ের যেসব ঝুঁকিপূর্ণ জিন দায়ী সেখানে তৃতীয় এক ব্যক্তির দান করা সুস্থ জিন ভ্রূণের শরীরে প্রতিস্থাপন করে সেই প্রতিবন্ধিত্ব কাটিয়ে তোলা সম্ভব। শুধু তাই নয়, একবার সুস্থ জিন প্রতিস্থাপন করা হলে বংশ পরম্পরায় সেই পরিবর্তনের সুফল ধরে রাখা সম্ভব হবে বলে তারা বলছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের অরিগন হেলথ্ অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির ডঃ শুখরাত মিতালিপফ ব্যাখ্যা করেছেন "মায়ের শরীর থেকে বিশেষ করে তার ডিম্বানু থেকে পরিবর্তিত ডিএনএ বহনকারী জিন ভ্রূণের মধ্যে সঞ্চালিত হয়। কাজেই কোনো পরিবারে মহিলার শরীরে যদি এধরনের রোগবাহী জিন থাকে তা শিশুর শরীরে ঢোকার এবং এর থেকে ওই শিশুর মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা পূর্ণমাত্রায় থাকে। কাজেই ওই দম্পতি যদি সুস্থ ও রোগের আশঙ্কামুক্ত শিশুর জন্ম দিতে চায়- এই পদ্ধতি সেক্ষেত্রে কার্যকর হবে। আমরা যেভাবে এটা করছি সেটা হল ওই মহিলার একটা ডিম আমরা বের করে নিচ্ছি- তার থেকে রোগবাহী জিনটি বের করে ফেলছি। এবং সেখানে নতুন যে জিনটি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হচ্ছে – সেটি আসছে অন্য এক মহিলার দান করা ডিম থেকে।"
এই পদ্ধতিতে একজন সন্তান জন্মের জন্য প্রয়োজন হচ্ছে তিন ব্যক্তির – বাবা মা এবং তৃতীয় এক মহিলার।

এই প্রক্রিয়ায় তৃতীয় ব্যক্তি অর্থাৎ দাতা মহিলা শুধু সুস্থ ও রোগমুক্ত একটি মাইটোকন্ড্রিয়া দিচ্ছে। কারণ বিকল মাইটোকন্ড্রিয়াই বিভিন্নধরনের প্রতিবন্ধিত্বের কারণ হয়। মাইটোকন্ড্রিয়া কোষের মধ্যে শক্তি তৈরি করে- কোষ কীভাবে কাজ করবে তা নির্ধারণ করে। তার ওপরই নির্ভর করে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ বা কলা ঠিকমত কাজ করবে কি না। আমাদের মুখচোখ কেমন দেখতে হবে বা আমাদের আচরণ কেমন হবে তা মাইটোকন্ড্রিয়া ঠিক করে না। বাবা-মায়ের যে জিন শিশুর পরিচয়ের মূল বাহক এই পদ্ধতি তার ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।

আইভিএফ পদ্ধতি ব্যবহার করে এভাবে শিশুজন্মের বিষয়টি আইনানুগ করতে ব্রিটিশ সরকার এখন উদ্যোগী হয়েছে এবং এ ব্যাপারে আইন পাশ হলে ব্রিটেনই হবে প্রথম দেশ যেখানে এই পদ্ধতিতে সন্তানজন্ম সম্ভব হবে।

এই আবিষ্কার পৃথিবীর বহু অনাগত শিশুকে প্রতিবন্ধীত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি দেবে আমরাও এমনটি আশা করছিে।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top