রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তিনটি বাসের তিন ড্রাইভার ও দুই হেলপারকে (সহকারী) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রবিবার ও সোমবার পৃথকভাবে বরগুনা ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো একটি খুদে বার্তায় (এসএমএস) এই তথ্য জানানো হয়।
এর মধ্যে বরগুনা থেকে ঘাতক জাবালে নূর পরিবহনের চালক মো. মাসুম বিল্লাহ (৩০) ও হেলপার মো. এনায়েতকে (৩৮) বরিশাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া ঢাকা মেট্রো ব-১১-৭৬৫৭ বাসের চালক মো. জুবায়েরকে (৩৬) পটুয়াখালী এবং ঢাকা মেট্রো ব-১১-৭৫৮০ ড্রাইভার মো. সোহাগকে (৩৫) মুন্সীগঞ্জ ও হেলপার রিপনকে (৩২) বরিশাল থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এদিকে অভিযুক্ত চালক ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে হোটেল রেডিসনের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। সকালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করতে চাইলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। তবে হঠাৎ কয়েক হাজার শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে রাস্তায় বসে পড়ে। এতে ওই সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত তারা সড়কে অবস্থান করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এর মধ্যে 'We want Justice, We want Justice', 'নৌমন্ত্রী নৌমন্ত্রী, ক্ষমা চাও ক্ষমা চাও', 'আমার ভাই মরলো কেন, জবাব চাই জবাব চাই', 'আমার বোন মরলো কেন, জবাব চাই, জবাব চাই', 'রাজপথ ছাড়বো না, বিচার ছাড়া যাবো না' 'জাবালে নূর জাবালে নূর, ত্যাগ করো ত্যাগ কর' ইত্যাদি স্লোগান দেয়। পরে পুলিশের আশ্বাসে বিকাল পাঁচটার দিকে তারা রাস্তা ছেড়ে চলে যায়।
রবিবার রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের এমইএস বাসস্ট্যান্ডে জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দদিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র রেজাউল করিম রাজু করিম ও একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম নামে দুই শিক্ষার্থী মারা যায়। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী কুর্মিটোলা হাসপাতাল ও সিএমএইচে ভর্তি রয়েছেন।