চিংড়ী পিঠা বরিশাল অঞ্চলের সুস্বাদু একটা খাবার, ভাতের সাথে খেতে হয়।
রেসিপিটি চলুন চট করে জেনে নেই।
উপকরণ
- দুর্মা নারকেল বাঁটা (বুড়ো ডাব ও কচি নারকেলের মাঝামাঝি বস্তু। সাঁসটা একবারে খাওয়া যায় না, কুঁড়ানি দিয়েও কোঁড়ানো যায় না, এমন )
- চিংড়ী মাছ বাঁটা
- আদা বাঁটা
- পেঁয়াজ বাঁটা
- রসুন বাঁটা
- সয়াবিন তেল
- লবণ
- চিনি
- হলুদের গুঁড়ো
- মরিচের গুঁড়ো
- কলা পাতা
– সমান পরিমাণ নারকেল আর চিংড়ী বাটার সাথে সামান্য করে আদা, রসুন, আর পেঁয়াজ বাঁটা মাখিয়ে নিতে হবে। সাথে হলুদের গুঁড়ো আর মরিচের গুঁড়ো, লবণ আর কিছুটা চিনি। বাটা মশলাগুলোর পরিমাণ এরকম হবে যাতে করে মশলার গন্ধ নারকেল-চিংড়ীর ফ্লেভারকে ছাপিয়ে না যায়। ধরুন, এক কাপ চিংড়ী বাটা আর এক কাপ নারকেল বাটার সাথে এক চামচ করে পেঁয়াজ বাঁটা ও আধা চামচ আদা রসুন বাঁটা।
– এবার কলা পাতা প্রয়োজন মতো কেটে নিয়ে ভিতরের পিঠে তেল ব্রাশ করতে হবে। হাতে করেও মাখিয়ে নেয়া যায়। কলা পাতার উপরে মিশ্রণটি বসিয়ে আরেক টুকরা পাতায় তেল মাখিয়ে একইভাবে উপর থেকে ঢেকে দিতে হবে।
– এবার চুলায় বসাতে হবে। এই প্রসেসটা কয়েকভাবেই করা যায়। রাইস কুকার থাকলে স্টীমে দেয়া যেতে পারে। আবার প্যান জাতীয় কিছু হলে মাটির চুলায় , গ্যাসের চুলায় কিংবা ইলেক্ট্রিক হিটারে অল্প বা মাঝারী আঁচে দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। কতক্ষণ রাখবেন সেটা আপনার হিসেব। সমস্যা হলো, খুলে চেক করতে পারবেন না বারবার। স্টীমে দিলে অবশ্য পোড় লাগার ঝুঁকি কমে যায়। হাল্কা মাঝারী আঁচে ৩০-৩৫ মিনিট যথেষ্ট। আঁচ খুব বেশি হলে বাইরে পুড়ে যাবে ভিতরটা কাঁচা থাকবে। এক পাশ হয়ে গেলে তুলে এনে উলটে নতুন পাতায় করে আবার চুলায় বা স্টিমে দিতে হবে। এই পাশটাও হয়ে গেলে তৈরি হয়ে গেলো চিংড়ী পিঠা। স্টিমে রান্না করলে হয়ে যাবার পর কিছুক্ষণ দুই পিঠই চুলায় দমে রাখতে হবে।
হাল্কা একটু পোড়া পোড়া না হলে কলাপাতার ফ্লেভারটা আসবে না।