ইসলামের আলোকে হালাল রূযী
ইসলামে হালাল রূযীর গুরুত্ব অপরিসীম। রূযী হালাল ও হারাম দু'টিই হ'তে পারে। যখন কোন মানুষ অবৈধভাবে অন্যের মাল হস্তগত ও উপভোগ করে তখন তা তার জন্য হারাম হয়ে যায়। যেসব জিনিসের বৈধ হওয়া পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহ দ্বারাপরিষ্কারভাবে প্রমাণিত তা-ই হালাল। অনুরূপভাবে আল্লাহ তা'আলা ও তাঁর রাসূল (ছাঃ) নির্দেশিত ও অনুমোদিত পথে যে আয়-রোযগার করা হয় তাকে হালাল উপার্জন বলে। হালাল উপার্জন ইসলামী জীবনের অতীব গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামের দিক নির্দেশনা হ'ল হালাল পথে জীবিকা উপার্জন করতে হবে। সূদ-ঘুষ, চুরি-ডাকাতি, রাহাজানি, ছিনতাই, জুয়া, মিথ্যাচার, প্রতারণা ইত্যাদি অসামাজিক অনাচারে লিপ্ত হয়ে জীবিকা উপার্জন করা যাবেনা। মনে রাখতে হবে, মানুষের জন্য যা কল্যাণকর, পবিত্র, উত্তম ও উপাদেয় তাই আল্লাহপাক হালাল করেছেন। অন্যদিকে যা বিপদজ্জনক এবং ক্ষতিকর তা হারাম করেছেন। বস্ত্ততঃ ইসলামী শরী'আতে হারামের পরিধি অত্যন্ত সংকীর্ণ এবং হালালের ক্ষেত্র বিস্তীর্ণ ও সুপ্রশস্ত।
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। আল্লাহ পাক এ সেরা সৃষ্টিকে তাঁর ইবাদত-বন্দেগীর জন্যই সৃষ্টি করেছেন। এ মর্মে আল্লাহর সুস্পষ্ট ঘোষণা হ'ল,وَمَاخَلَقْتُالْجِنَّوَالْإِنْسَإِلاَّلِيَعْبُدُوْنِ،مَاأُرِيْدُمِنْهُممِّنرِّزْقٍوَمَاأُرِيْدُأَنْيُطْعِمُوْنِ- 'আমি জিন এবং মানুষকে আমার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছি। আমি তাদের থেকে কোন রিযিক চাই না এবং তাদের থেকে আমি খাবারও চাই না' (যারিয়াত ৫৬-৫৭)। মহান আল্লাহ তা'আলা আরো বলেন, يَاأَيُّهَاالَّذِيْنَآمَنُوْاكُلُوْامِنْطَيِّبَاتِمَارَزَقْنَاكُمْوَاشْكُرُوْالِلّهِإِنْكُنْتُمْإِيَّاهُتَعْبُدُوْنَ- 'হে ঈমানদারগণ! তোমরা পবিত্র বস্ত্ত-সামগ্রী আহার কর, যেগুলো আমি তোমাদেরকে রূযী হিসাবে দান করেছি এবং শুকরিয়া আদায় কর আল্লাহর, যদি তোমরা একমাত্র তাঁরই ইবাদত করে থাক' (বাক্বারাহ ১৭২)। এ আয়াতে হারাম খাদ্য ভক্ষণ করতে যেমন নিষেধ করা হয়েছে, তেমনি হালাল ও পবিত্র বস্ত্ত খেতে এবং তা খেয়ে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। কারণ ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য হালাল রূযী খাওয়া অত্যাবশ্যক। (মুসলিম হা/১০১৫।) হারাম খাদ্য খেলে মনের মধ্যে খারাপ অভ্যাস সৃষ্টি হয়, ইবাদত-বন্দেগীতে আগ্রহ স্তিমিত হয়ে আসে এবং দো'আ কবুল হয় না। (মুসলিম হা/১০১৫।) অন্যদিকে হালাল খাদ্য গ্রহণের ফলে মানব মনে এক প্রকার আলো সৃষ্টি হয়, যা অন্যায়ের প্রতি ঘৃণাবোধ সৃষ্টি করে এবং সততা ও ন্যায়-নিষ্ঠার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করে, ইবাদত-বন্দেগীতে মনোযোগ আসে, পাপের কাজে ভয় আসে এবং দো'আ কবুল হয়। এ জন্যই আল্লাহ তা'আলা সমস্ত আম্বিয়ায়ে কেরামের উদ্দেশ্যে বলেছেন, يَاأَيُّهَاالرُّسُلُكُلُوْامِنَالطَّيِّبَاتِوَاعْمَلُوْاصَالِحاً- 'হে রাসূলগণ! তোমরা হালাল খাদ্য গ্রহণ কর এবং নেক আমল কর' (মুমিন৫১)।
ইসলামে হালাল রূযীর গুরুত্ব অপরিসীম। রূযী হালাল ও হারাম দু'টিই হ'তে পারে। যখন কোন মানুষ অবৈধভাবে অন্যের মাল হস্তগত ও উপভোগ করে তখন তা তার জন্য হারাম হয়ে যায়। যেসব জিনিসের বৈধ হওয়া পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহ দ্বারাপরিষ্কারভাবে প্রমাণিত তা-ই হালাল। অনুরূপভাবে আল্লাহ তা'আলা ও তাঁর রাসূল (ছাঃ) নির্দেশিত ও অনুমোদিত পথে যে আয়-রোযগার করা হয় তাকে হালাল উপার্জন বলে। হালাল উপার্জন ইসলামী জীবনের অতীব গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামের দিক নির্দেশনা হ'ল হালাল পথে জীবিকা উপার্জন করতে হবে। সূদ-ঘুষ, চুরি-ডাকাতি, রাহাজানি, ছিনতাই, জুয়া, মিথ্যাচার, প্রতারণা ইত্যাদি অসামাজিক অনাচারে লিপ্ত হয়ে জীবিকা উপার্জন করা যাবেনা। মনে রাখতে হবে, মানুষের জন্য যা কল্যাণকর, পবিত্র, উত্তম ও উপাদেয় তাই আল্লাহপাক হালাল করেছেন। অন্যদিকে যা বিপদজ্জনক এবং ক্ষতিকর তা হারাম করেছেন। বস্ত্ততঃ ইসলামী শরী'আতে হারামের পরিধি অত্যন্ত সংকীর্ণ এবং হালালের ক্ষেত্র বিস্তীর্ণ ও সুপ্রশস্ত।
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। আল্লাহ পাক এ সেরা সৃষ্টিকে তাঁর ইবাদত-বন্দেগীর জন্যই সৃষ্টি করেছেন। এ মর্মে আল্লাহর সুস্পষ্ট ঘোষণা হ'ল,وَمَاخَلَقْتُالْجِنَّوَالْإِنْسَإِلاَّلِيَعْبُدُوْنِ،مَاأُرِيْدُمِنْهُممِّنرِّزْقٍوَمَاأُرِيْدُأَنْيُطْعِمُوْنِ- 'আমি জিন এবং মানুষকে আমার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছি। আমি তাদের থেকে কোন রিযিক চাই না এবং তাদের থেকে আমি খাবারও চাই না' (যারিয়াত ৫৬-৫৭)। মহান আল্লাহ তা'আলা আরো বলেন, يَاأَيُّهَاالَّذِيْنَآمَنُوْاكُلُوْامِنْطَيِّبَاتِمَارَزَقْنَاكُمْوَاشْكُرُوْالِلّهِإِنْكُنْتُمْإِيَّاهُتَعْبُدُوْنَ- 'হে ঈমানদারগণ! তোমরা পবিত্র বস্ত্ত-সামগ্রী আহার কর, যেগুলো আমি তোমাদেরকে রূযী হিসাবে দান করেছি এবং শুকরিয়া আদায় কর আল্লাহর, যদি তোমরা একমাত্র তাঁরই ইবাদত করে থাক' (বাক্বারাহ ১৭২)। এ আয়াতে হারাম খাদ্য ভক্ষণ করতে যেমন নিষেধ করা হয়েছে, তেমনি হালাল ও পবিত্র বস্ত্ত খেতে এবং তা খেয়ে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। কারণ ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য হালাল রূযী খাওয়া অত্যাবশ্যক। (মুসলিম হা/১০১৫।) হারাম খাদ্য খেলে মনের মধ্যে খারাপ অভ্যাস সৃষ্টি হয়, ইবাদত-বন্দেগীতে আগ্রহ স্তিমিত হয়ে আসে এবং দো'আ কবুল হয় না। (মুসলিম হা/১০১৫।) অন্যদিকে হালাল খাদ্য গ্রহণের ফলে মানব মনে এক প্রকার আলো সৃষ্টি হয়, যা অন্যায়ের প্রতি ঘৃণাবোধ সৃষ্টি করে এবং সততা ও ন্যায়-নিষ্ঠার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করে, ইবাদত-বন্দেগীতে মনোযোগ আসে, পাপের কাজে ভয় আসে এবং দো'আ কবুল হয়। এ জন্যই আল্লাহ তা'আলা সমস্ত আম্বিয়ায়ে কেরামের উদ্দেশ্যে বলেছেন, يَاأَيُّهَاالرُّسُلُكُلُوْامِنَالطَّيِّبَاتِوَاعْمَلُوْاصَالِحاً- 'হে রাসূলগণ! তোমরা হালাল খাদ্য গ্রহণ কর এবং নেক আমল কর' (মুমিন৫১)।