শরীরে কোন ইনফেকশন হলে আমরা অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে থাকি। অ্যান্টিবায়টিক শরীর জন্য ক্ষতিকর এটি আমরা সবাই জানি। আবার বেশি অ্যাণ্টিবায়োটিক খেলে দেখা দিতে পারে অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। অ্যাণ্টিবায়োটিক খারাপ ব্যাকটেরিয়া মারার সাথে সাথে ভাল ব্যাকটেরিয়াও মেরে ফেলে। যা শরীরে জন্য ক্ষতিকর। সাধারণ ঠান্ডা, জ্বরের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক না খেয়ে ঘরের তৈরি অ্যান্টিবায়োটিক খেতে পারেন। এটি স্বাস্থ্যের জন্য যেমন নিরাপদ তেমনি শরীরের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে অনেক বেশি কার্যকরী। ঘরে তৈরি এই অ্যান্টিবায়োটিককে "গ্লোডেন হানি" বলা হয়ে থাকে।
মাত্র ২টি উপাদানে বানান ঘরোয়া অ্যান্টিবায়োটিক-
যা যা লাগবে:
১০০ গ্রাম বিশুদ্ধ মধু
১ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো
যেভাবে তৈরি করবেন:
১। একটি পরিস্কার গ্লাসে মধু এবং হলুদ গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে নিন।
২। মধুর আর হলুদ গুঁড়ো মিশে গাঢ় সোনালী রং ধারণ করবে।
৩। কাঁচের কন্টেইনারে সংরক্ষণ করুন।
যেভাবে খাবেন:
ঠান্ডা, জ্বর, ফ্লু দেখা দেওয়ার সাথে সাথে এই অ্যান্টিবায়োটিকটি খাওয়া শুরু করবেন।
প্রথম দিন: ১/২ চা চামচ প্রতি ঘণ্টায় খাবেন।
দ্বিতীয় দিন: ১/২ চা চামচ দুই ঘণ্টা পর পর।
তৃতীয় দিন: ১/২ চা চামচ দিনে তিনবার।
যেভাবে কাজ করে:
হলুদে অনেক ঔষধি গুণাবলী আছে। এর শক্তিশালী অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। এতে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরী এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান শরীরে ইনফেকশন দূর করে থাকে।
মধুর অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান ঠান্ডাজনিত ব্যাকটেরিয়া দূর করে থাকে। এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তাই যেকোন বয়সী এটি গ্রহণ করতে পারেন।
যে সকল রোগে এটি ব্যবহারযোগ্য:
সাধারণত জ্বর, ফ্লু, সর্দি, ঠান্ডা, কাশি প্রতিরোধ করতে এটি ব্যবহার করা হয়।
হলুদ এবং মধুর সাথে আপনি আদা এবং লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। আদা এবং লেবুর রস উভয়ে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান আছে যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। আদা শ্বাসযন্ত্র পরিস্কার করে থাকে।
বাজারে কেনা অ্যান্টি বায়োটিকের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে কিন্তু ঘরে তৈরি করা এই অ্যান্টি বায়োটিকের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।