What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

সাইবেরিয়া: বিস্ময় যেখানে বরফ আচ্ছাদিত (1 Viewer)

SoundTrack

Board Senior Member
Elite Leader
Joined
Mar 2, 2018
Threads
530
Messages
13,426
Credits
283,450
Recipe pizza
Loudspeaker
প্রথমেই একটি প্রশ্ন দিয়ে শুরু করা যাক। সাইবেরিয়া কি কোন শহর নাকি কোন দেশ? অনেকেই হয়ত এই বিষয়টি নিয়ে দ্বন্দ্বে পড়ে যান। আসলে সাইবেরিয়া এর কোনটিই নয়। সাইবেরিয়া একটি বিশেষ ভৌগোলিক অঞ্চল যা রাশিয়ায় অবস্থিত। হাজার হাজার মাইল বিস্তৃত এই অঞ্চলটি পুরো রাশিয়ার প্রায় ৭৭% (মতান্তরে ৫৭%) জুড়ে রয়েছে। যদি সাইবেরিয়ার আয়তনকে একটি দেশ হিসেবে তুলনা করা হয় তবে এর আয়তন প্রায় কানাডার কাছাকাছি। অর্থাৎ সাইবেরিয়া যদি কখনো নিজেকে রাশিয়ার থেকে আলাদা করতে চায় তবে এটি বিশ্বের বৃহত্তম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হবে।

আয়তনের বিশালতার মতই সাইবেরিয়ার বৈচিত্র্যে রয়েছে বিশালতা। বিশালতা কেন বলছি, সেটা জানা যাবে বাকিটা পড়লেই। সাইবেরিয়ায় এমন কিছু বিষয় রয়েছে বা ঘটেছে যা পৃথিবীর অন্য কোথাও নেই বা ঘটেনি।

প্রথমত বলা যায় বৈকাল হ্রদ এর কথা। বৈকাল হ্রদের নাম শুনেনি এমন মানুষ কমই আছে । বৈকাল হ্রদ পৃথিবীর গভীরতম (১৬৪২/১৬৩৭ মিটার) বিশুদ্ধ পানির হ্রদ যা সাইবেরিয়ায় অবস্থিত। এটি পৃথিবীর প্রাচীনতম হ্রদ ও বটে। পৃথিবীর সমগ্র বিশুদ্ধ পানির ২০% শুধুমাত্র এই হ্রদেই বিদ্যমান। অর্থাৎ, পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ যদি দৈনিক ৫০০ লিটার করে পানিও খরচ করে, তবুও পুরো বিশ্বের মানুষের ৪০ বছরের জন্যে প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ করার সামর্থ্য রয়েছে এই হ্রদের। তবে হ্রদের বয়স মিলিয়ন মিলিয়ন বছর হলেও, এর পানি কিন্তু এত পুরাতন নয়, কেননা হ্রদের পানি প্রতি ৩৮৩ বছর পর পর নবজীবন প্রাপ্ত হয়। জীববৈচিত্রের এক স্বর্গ বলা হয় বৈকাল হ্রদকে। হাজারো প্রজাতির উদ্ভিদ এবং প্রাণীর আবাসস্থল এটি। এসব জীববৈচিত্রের ৬০ শতাংশই বৈকাল হ্রদ ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। হ্রদের পানিতে প্রায় ১৪৫৫ প্রজাতির এন্ডেমিক(Endemic) প্রাণীর সন্ধান পাওয়া যায় যেগুলো পৃথিবীর অন্য কোথাও নেই। অবশ্য প্রতিটি গবেষণাতেই এই সংখ্যা বাড়তে থাকে।

SBJBA_001.jpg


বৈকাল হ্রদ, সাইবেরিয়া Source: Amazing Nature

এখানে বাস করে Acanthogammarus victorii নামের একটি বড়সড় আকৃতির অ্যাম্ফিপড। এরা দেখতে অনেকটা চিংড়ির মত। ৭০ মিলিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয় এরা। মিঠাপানির চিংড়িরা সাধারণত ২০ মিলিমিটারের বড় হয়না। সে হিসেবে এটাকে মোটামুটি দানবাকৃতিই বলা চলে। বৈকাল হ্রদে সব মিলিয়ে প্রায় ৩৫০ প্রজাতির অ্যাম্পিপড রয়েছে, যাদের বিচরণ পুরো হ্রদ জুড়েই। এই বিশেষ অ্যাম্পিপড জৈব উপাদান খেয়ে বেঁচে থাকে যেমনঃ মৃত পোকা বা মাছ। এসব মৃত জীব খাওয়াটা বৈকাল হ্রদের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য, যার কারণেই এই হ্রদ এতোটা বিশুদ্ধ থাকে।এই হ্রদের পানি শুধু বিশুদ্ধতমই না, এটি পৃথিবীর স্বচ্ছতম পানিও বটে। এখানকার পানি এতটাই স্বচ্ছ যে কিছু কিছু জায়গায় পানির ৪০ মিটার নিচে পর্যন্ত স্পষ্ট দেখা যায়। বৈকাল হ্রদের পানি জমে যে বরফ হয় সেটাও এত স্বচ্ছ যে এর নিচে পানি বরফের উপর থেকে দেখা যায়। শীতকালে এই বরফে ফাটল ধরে। এই ফাটলের দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার এবং প্রস্থে ৩ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। বরফের এই ফাটল দিয়ে পানিতে অক্সিজেন প্রবেশ করে যা মাছের শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সহায়তা করে। বৈকাল এর তীরে রয়েছে ৫৫০ বছরের পুরাতন সিডার বৃক্ষ যা এখন পর্যন্ত ফল দেয় বলে জানা যায়।

SBJBA_002.jpg


সিডার বৃক্ষ, সাইবেরিয়া Source: Steemit
 

Users who are viewing this thread

Back
Top