হলিউড, বলিউড কিংবা সংবাদমাধ্যম যার মাধ্যমেই হোক না কেন আমরা সবাই কমবেশি পৃথিবীর বিখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা যেমন সিআইএ, এমআইসিক্স, র, আইএস, জিআরইউ, মোসাদ ইত্যাদি সম্পর্কে কমবেশি জানি। সিনেমার পর্দায় কিংবা বিভিন্ন ইংরেজি সিরিজে কিংবা মাসুদ রানার গল্পে এইসব গোয়েন্দা বাহিনীর কাজকর্ম সম্পর্কে জানতে বা পড়তে বেশ ভালো ও রোমাঞ্চকর লাগে সবারই। কিন্তু বাস্তবে এইসব গোয়েন্দা বাহিনীর কর্মকান্ড আরও অনেক বেশি বিস্তৃত ও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভয়াবহও। যদি পৃথিবীর বিখ্যাত সব গোয়েন্দা বাহিনী গুলোর মধ্যে কর্মদক্ষতার দিক থেকে র্যাংকিং করতে বলা হয় তবে নিঃসন্দেহে সবার প্রথমে থাকবে মোসাদ। ইসরায়েলের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ, এর সম্পর্কে আমরা সবাই কমবেশি জানি কারণ প্রায় সময়ই কোন না কোন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাথে মোসাদের নাম আমাদের সামনে আসে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক মোসাদ সম্পর্কে কিছু প্রাথমিক তথ্য।
আরব লীগের প্রত্যাখ্যানের মুখে ১৯৪৮ সালের ১৪ মে দখল-ভূমিতে ইসরাইলকে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। ইউরোপে ইহুদী নিধনযজ্ঞ বা 'শোয়া'র দুঃস্বপ্ন ভুলতে পারে নি সেদেশের মানুষ৷ ফলে আরও একবার নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দূর করতে যে কোন পদক্ষেপ নিতে শুরু থেকেই প্রস্তুত ছোট্ট এই ইহুদী রাষ্ট্র৷
১৯৪৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর ইসরায়েলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেন গোরিওন তার খুব কাছের বন্ধু রিউভেন শিওলাহ ( মোসাদের প্রথম পরিচালক) কে সুপারিশ করেন ইসরায়েলের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ যা "দ্য সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট অব কোঅরডিনেশন" নামেও পরিচিত গড়ে তুলার জন্য। আনুষ্ঠানিকভাবে এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫১ সালের মার্চে। ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার আগেই যেসব ইহুদি নিষিদ্ধ সংগঠন সংগ্রাম চালাচ্ছিল, তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে যে কাঠামো গড়ে উঠেছিল, তাকে 'মোসাদ' এর পূর্বসূরি বলা হয়। মোসাদ সামরিক সার্ভিস নয়। যদিও অধিকাংশ কর্মকর্তাই ইসরায়েলের ডিফেন্স ফোর্সের।
Source: StrongestInWorld
১৯৪৯ সালে মোসাদের জন্ম হলেও ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত কেউই জানতো না এই সংস্থাটার প্রধানের কথা। ১৯৯৬ সালে যখন সাবতাই কে অপসারণ করে ডেনি ইয়াতমকে নিয়োগ দেওয়া হয় এক ঘোষণার মাধ্যমে, তখন প্রথমবারের মত বিশ্ববাসী জানতে পারে এই সংস্থাটার প্রধান কে। ১৯৫৬ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে ২৮তম কম্যুনিস্ট সম্মেলনে যখন নিকিতা ক্রুসচেভ এক গোপন মিটিংয়ে 'স্টালিনকে' অভিযুক্ত ও অস্বীকার করে নিজেই প্রেসিডেন্ট বলে ঘোষণা করে, ঐ বক্তব্যের এক কপি মোসাদ সিআইএর হাতে দিয়ে দেয়। এই প্রথম সিআইএ মোসাদের কার্যক্রম উপলব্ধি করে যাতে সিআইএ অভিভূত হয়। কারণ সিআইএর মত সংস্থাটিও এই রকম একটা সেন্সেটিভ সংবাদ সংগ্রহে ব্যর্থ হয়েছিল।
এই সংস্থা গড়ে তুলার পিছনে কারণ ছিল দেশের অভ্যন্তরীণ অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থা যেমন আমান, শিন বেত এদের সাথে ভালো একটা সম্পর্ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলা। মোসাদ কে গড়ে তুলা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি ইউনিট হিসেবে, এটি তার সকল কাজকর্ম ও গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দিতে বাধ্য।
শুরুতে মোসাদের মূল নীতিবাক্য ছিল বাইবেলের একটি উক্তি যার অর্থ ছিল অনেকটা এইরকম " যুদ্ধ শুরু করার আগে বিজ্ঞতাপুর্ণ নির্দেশনা দরকার"। পরবর্তীতে এই নীতিবাক্য পরিবর্তন করে বাইবেলেরই আরেকটি উক্তি কে নীতিবাক্য করা হয় যার অর্থ বাংলায় অনেকটা এইরকম "পথ-নির্দেশনা ছাড়া একটি জাতি সবসময়ই অসফল, কিন্তু যোগ্য পরামর্শকের প্রাচুর্য থাকলে অসফল হওয়ার ভয় থাকেনা"।
আরব লীগের প্রত্যাখ্যানের মুখে ১৯৪৮ সালের ১৪ মে দখল-ভূমিতে ইসরাইলকে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। ইউরোপে ইহুদী নিধনযজ্ঞ বা 'শোয়া'র দুঃস্বপ্ন ভুলতে পারে নি সেদেশের মানুষ৷ ফলে আরও একবার নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দূর করতে যে কোন পদক্ষেপ নিতে শুরু থেকেই প্রস্তুত ছোট্ট এই ইহুদী রাষ্ট্র৷
১৯৪৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর ইসরায়েলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেন গোরিওন তার খুব কাছের বন্ধু রিউভেন শিওলাহ ( মোসাদের প্রথম পরিচালক) কে সুপারিশ করেন ইসরায়েলের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ যা "দ্য সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট অব কোঅরডিনেশন" নামেও পরিচিত গড়ে তুলার জন্য। আনুষ্ঠানিকভাবে এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫১ সালের মার্চে। ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার আগেই যেসব ইহুদি নিষিদ্ধ সংগঠন সংগ্রাম চালাচ্ছিল, তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে যে কাঠামো গড়ে উঠেছিল, তাকে 'মোসাদ' এর পূর্বসূরি বলা হয়। মোসাদ সামরিক সার্ভিস নয়। যদিও অধিকাংশ কর্মকর্তাই ইসরায়েলের ডিফেন্স ফোর্সের।
Source: StrongestInWorld
১৯৪৯ সালে মোসাদের জন্ম হলেও ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত কেউই জানতো না এই সংস্থাটার প্রধানের কথা। ১৯৯৬ সালে যখন সাবতাই কে অপসারণ করে ডেনি ইয়াতমকে নিয়োগ দেওয়া হয় এক ঘোষণার মাধ্যমে, তখন প্রথমবারের মত বিশ্ববাসী জানতে পারে এই সংস্থাটার প্রধান কে। ১৯৫৬ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে ২৮তম কম্যুনিস্ট সম্মেলনে যখন নিকিতা ক্রুসচেভ এক গোপন মিটিংয়ে 'স্টালিনকে' অভিযুক্ত ও অস্বীকার করে নিজেই প্রেসিডেন্ট বলে ঘোষণা করে, ঐ বক্তব্যের এক কপি মোসাদ সিআইএর হাতে দিয়ে দেয়। এই প্রথম সিআইএ মোসাদের কার্যক্রম উপলব্ধি করে যাতে সিআইএ অভিভূত হয়। কারণ সিআইএর মত সংস্থাটিও এই রকম একটা সেন্সেটিভ সংবাদ সংগ্রহে ব্যর্থ হয়েছিল।
এই সংস্থা গড়ে তুলার পিছনে কারণ ছিল দেশের অভ্যন্তরীণ অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থা যেমন আমান, শিন বেত এদের সাথে ভালো একটা সম্পর্ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলা। মোসাদ কে গড়ে তুলা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি ইউনিট হিসেবে, এটি তার সকল কাজকর্ম ও গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দিতে বাধ্য।
শুরুতে মোসাদের মূল নীতিবাক্য ছিল বাইবেলের একটি উক্তি যার অর্থ ছিল অনেকটা এইরকম " যুদ্ধ শুরু করার আগে বিজ্ঞতাপুর্ণ নির্দেশনা দরকার"। পরবর্তীতে এই নীতিবাক্য পরিবর্তন করে বাইবেলেরই আরেকটি উক্তি কে নীতিবাক্য করা হয় যার অর্থ বাংলায় অনেকটা এইরকম "পথ-নির্দেশনা ছাড়া একটি জাতি সবসময়ই অসফল, কিন্তু যোগ্য পরামর্শকের প্রাচুর্য থাকলে অসফল হওয়ার ভয় থাকেনা"।