এপ্রিল ফুলস
মুসলমানদের স্পেন বিজয় একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। স্পেন বিজয়ের পূর্বমুহূর্তে সেখানে উইতিজা নামক এক রাজা রাজত্ব করত। হঠাৎ উইতিজাকে সিংহাসনচ্যুত করে রডারিক সিংহাসন অধিকার করে। রডারিক ছিল অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী ও অত্যাচারী ব্যক্তি। রডারিক সম্রাট উইতিজাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
অতঃপর রডারিকের দৃষ্টি নিবদ্ধ হয় ক্ষুদ্র স্বাধীন রাষ্ট্রগুলোর প্রতি। রডারিক প্রথমে আক্রমণ করে স্পেনের দক্ষিণাঞ্চলের সিউটা দ্বীপের স্বাধীন রাজা কাউন্ট জুলিয়ানকে। জুলিয়ান প্রথমে পরাজিত হয়ে রাজ্য ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে জুলিয়ান সিউটা ও আলজিসিরাসের গভর্ণরের দায়িত্ব পালন করতে থাকে। ইউরোপের সমসাময়িক নিয়ম ছিল যে, প্রদেশের গভর্ণর অথবা সামন্তরাজাদের পুত্র-কন্যাকে কেন্দ্রীয় রাজ দরবারে প্রেরণ করা। সম্ভবতঃ এর দু'টি কারণ ছিল। গভর্ণর অথবা সামন্তরাজাগণ যেন সহজেই বিদ্রোহ ঘোষণা করতে না পারে। অন্য কারণটি ছিল, রাজকীয় পরিবেশে আদব-কায়দা, সৈন্য-পরিচালনা ও রাজনীতি সর্ম্পকে সঠিক জ্ঞান ও ধারণা অর্জন করা। তাই কাউন্ট জুলিয়ান তার অত্যন্ত সুন্দরী কন্যা ফ্লোরিন্ডাকে রাজধানী টলেডোতে প্রেরণ করে। রাজধানীতে অবস্থানকালে রাজা রডারিক ফ্লোরিন্ডার সৌন্দর্যে বিমুগ্ধ হয়ে পড়ে। জুলিয়ান তনয়ার প্রতি সে কামনার হাত প্রসারিত করে। এই আচরণ ছিল যেমন গুরুতর তেমনি মর্যাদাহানিকর। এই অপমানজনক ঘটনার বিবরণ দিয়ে ফ্লোরিন্ডা গোপনে তার পিতার নিকট সংবাদ পাঠায়। এমনিতেই কাউন্ট জুলিয়ানের সঙ্গে রাজার সম্পর্ক ভাল ছিল না। রাজ্য হারানোর বেদনার সঙ্গে যুক্ত হ'ল কন্যার অবমাননা। প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য এবং রডারিক নামক নরপশুর হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য জুলিয়ান মূসা ইবন নুসাইরকে স্পেন আক্রমণের সাদর আমন্ত্রণ জানান। এবার সেনাপতি মূসা বিন নুসাইর প্রথমে পরীক্ষামূলক অভিযানের জন্য তারিফ বিন মালিককে চারশ' পদাতিক এবং একশ' অশ্বারোহী সৈন্য নিয়ে স্পেনের আলজিসিরাসে সফল অভিযান চালান। তারিফের এই সফল অভিযানের সংবাদ পেয়ে মূসা বিন নুসাইরের সহকারী সেনাধ্যক্ষ তারিক ইবনু যিয়াদ সাত হাযার সৈন্য সমন্বয়ে গঠিত এক মুজাহিদ বাহিনী অতি সফলতার সাথে ভূমধ্যসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগর সংযোগকারী প্রণালিটি অতিক্রম করে ৯২ হিজরীর রজব অথবা শা'বান মোতাবেক ৭১১ খ্রীষ্টাব্দের এপ্রিল অথবা মে মাসে স্পেন ভূখন্ডে অবতরণ করেন। যে পাহাড়ের পাদদেশে তারিক অবতরণ করেছিলেন তার নামকরণ করা হয় 'জাবালুত তারিক' (Gibralter)।
মুসলমানদের স্পেন বিজয় একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। স্পেন বিজয়ের পূর্বমুহূর্তে সেখানে উইতিজা নামক এক রাজা রাজত্ব করত। হঠাৎ উইতিজাকে সিংহাসনচ্যুত করে রডারিক সিংহাসন অধিকার করে। রডারিক ছিল অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী ও অত্যাচারী ব্যক্তি। রডারিক সম্রাট উইতিজাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
অতঃপর রডারিকের দৃষ্টি নিবদ্ধ হয় ক্ষুদ্র স্বাধীন রাষ্ট্রগুলোর প্রতি। রডারিক প্রথমে আক্রমণ করে স্পেনের দক্ষিণাঞ্চলের সিউটা দ্বীপের স্বাধীন রাজা কাউন্ট জুলিয়ানকে। জুলিয়ান প্রথমে পরাজিত হয়ে রাজ্য ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে জুলিয়ান সিউটা ও আলজিসিরাসের গভর্ণরের দায়িত্ব পালন করতে থাকে। ইউরোপের সমসাময়িক নিয়ম ছিল যে, প্রদেশের গভর্ণর অথবা সামন্তরাজাদের পুত্র-কন্যাকে কেন্দ্রীয় রাজ দরবারে প্রেরণ করা। সম্ভবতঃ এর দু'টি কারণ ছিল। গভর্ণর অথবা সামন্তরাজাগণ যেন সহজেই বিদ্রোহ ঘোষণা করতে না পারে। অন্য কারণটি ছিল, রাজকীয় পরিবেশে আদব-কায়দা, সৈন্য-পরিচালনা ও রাজনীতি সর্ম্পকে সঠিক জ্ঞান ও ধারণা অর্জন করা। তাই কাউন্ট জুলিয়ান তার অত্যন্ত সুন্দরী কন্যা ফ্লোরিন্ডাকে রাজধানী টলেডোতে প্রেরণ করে। রাজধানীতে অবস্থানকালে রাজা রডারিক ফ্লোরিন্ডার সৌন্দর্যে বিমুগ্ধ হয়ে পড়ে। জুলিয়ান তনয়ার প্রতি সে কামনার হাত প্রসারিত করে। এই আচরণ ছিল যেমন গুরুতর তেমনি মর্যাদাহানিকর। এই অপমানজনক ঘটনার বিবরণ দিয়ে ফ্লোরিন্ডা গোপনে তার পিতার নিকট সংবাদ পাঠায়। এমনিতেই কাউন্ট জুলিয়ানের সঙ্গে রাজার সম্পর্ক ভাল ছিল না। রাজ্য হারানোর বেদনার সঙ্গে যুক্ত হ'ল কন্যার অবমাননা। প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য এবং রডারিক নামক নরপশুর হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য জুলিয়ান মূসা ইবন নুসাইরকে স্পেন আক্রমণের সাদর আমন্ত্রণ জানান। এবার সেনাপতি মূসা বিন নুসাইর প্রথমে পরীক্ষামূলক অভিযানের জন্য তারিফ বিন মালিককে চারশ' পদাতিক এবং একশ' অশ্বারোহী সৈন্য নিয়ে স্পেনের আলজিসিরাসে সফল অভিযান চালান। তারিফের এই সফল অভিযানের সংবাদ পেয়ে মূসা বিন নুসাইরের সহকারী সেনাধ্যক্ষ তারিক ইবনু যিয়াদ সাত হাযার সৈন্য সমন্বয়ে গঠিত এক মুজাহিদ বাহিনী অতি সফলতার সাথে ভূমধ্যসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগর সংযোগকারী প্রণালিটি অতিক্রম করে ৯২ হিজরীর রজব অথবা শা'বান মোতাবেক ৭১১ খ্রীষ্টাব্দের এপ্রিল অথবা মে মাসে স্পেন ভূখন্ডে অবতরণ করেন। যে পাহাড়ের পাদদেশে তারিক অবতরণ করেছিলেন তার নামকরণ করা হয় 'জাবালুত তারিক' (Gibralter)।