What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Other ম্যাজিকাল রবার্ট ডি নিরো: You talking to me? (1 Viewer)

Bergamo

Forum God
Elite Leader
Joined
Mar 2, 2018
Threads
9,649
Messages
117,051
Credits
1,241,096
Glasses sunglasses
Berry Tart
Statue Of Liberty
Profile Music
Sandwich
0gHEOxS.jpg


১৯৪৩ সালের ১৭ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জন্ম এই দিকপালের। ছোটবেলায় দুবলো শরীরের জন্য প্রতিবেশীরা নাম দিয়েছিল ববি মিল্ক। তখন কে জানতো এই ছিপছিপে ছেলেই একসময় রাজত্ব করবে হলিউডে!

ষোল বছরেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে বিদায় জানিয়ে থিয়েটারে পাড়ি জমান। স্টেলা অ্যাডলারের সান্নিধ্যে স্টুডিও মেথড পদ্ধতিতে অভিনয় শেখা শুরু করেন। মাত্র ২০ বছর বয়সেই পরিচালক ব্রায়ান ডি পালমার দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হন। ১৯৬৩ সালে 'The Wedding Party' তে প্রথম অভিনয় করলেও সেটি মুক্তি পায় আরও বছর ছয় বাদে। এর আগে 'Greetings'(১৯৬৮) দিয়ে দর্শকের সাথে প্রাথমিক বোঝাপড়াটা চুকিয়ে ফেলেন। ১৯৭৩ সালের 'Bang the Drum Slowly' ও 'Mean Streets' তাঁকে পৌঁছে দেয় খ্যাতির চূড়ায়। পেছনে তাকানোর অভ্যাসটার সমাপ্তি ওখানেই।

তাঁর ছয় দশকের ফিল্মি ক্যারিয়ারে ফিল্মের সংখ্যা ১১৮। এর মধ্য থেকে পাঁচটি সম্পর্কেই এই লেখা।

ট্যাক্সি ড্রাইভার (১৯৭৬)

প্রথম প্রথম ভাবা হতো, শুধু পোস্ট মডার্ন সময়ের প্রতিনিধি মার্টিন স্করসেসির 'ট্যাক্সি ড্রাইভার'। কিন্তু যতই দিন এগুচ্ছে ততই বোঝা যায়, কালোত্তর এই ছবির প্রাসঙ্গিকতা আসলে সর্বজনীন।

বছর ছাব্বিশের যুবক ট্র্যাভিস বিকল। সদ্য সমাপ্ত ভিয়েতনাম যুদ্ধে সেও যোগ দিয়েছিল আমেরিকার লাখো তরুণের মতো। যুদ্ধ নিয়ে কোন অভিজ্ঞতাই ছিল না। অথচ এক যুদ্ধের করাল স্মৃতিই একসময় তাকে আপাদমস্তক বদলে দেয়।

ইউএস মেরিন তাকে যা দিয়েছে তার চাইতেও কেড়ে নিয়েছে অনেক বেশি। রণক্ষেত্রের দুঃসহ স্মৃতি চিরতরে ক্লান্ত করে দেয় ট্রাভিসকে। নিদ্রাহীনতা পেয়ে বসে। তাই শরণাপন্ন হয় হলদে ট্যাক্সির কাছে। বাকি সময়টা আমরা দেখতে পাই ট্রাভিসের নিঃসঙ্গ পদচারণা যা পরে তাকে ঠেলে দেয় স্কিৎজোটাইপাল মেন্টাল ডিজঅর্ডারের দিকে।

সাধারণ যুবকদের মতোই নারীদের প্রতি আকাঙ্ক্ষা জন্মে ট্রাভিসের, কিন্তু সে জানে না কীভাবে একজন নারীর সাথে কথা বলতে হয়। প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী চার্লস প্যালেন্টাইনের ক্যাম্পেইনে পরিচয় ঘটে বেটসির সাথে। কিন্তু প্রথম কয়েক ডেটেই সম্পর্কটা গুলিয়ে ফেলে সে।

DGMIzYH.jpg


নিও-নোয়াহ বা নব নয়্যার ক্রাইম থ্রিলার জনরার দিকপাল Taxi Driver; Photo: imdb

ওদিকে বছর বারোর নিশিকন্যা আইরিসের প্রতি দালালদের ব্যবহারও ক্রুদ্ধ করে রাতে ছুটে ফেরা যুবককে। সেই একাকী, মানসিক যন্ত্রণায় বিদ্ধ যুবকের আত্মস্বীকারোক্তিই হলো 'ট্যাক্সি ড্রাইভার'।

চিত্রনাট্যকার পল শ্র্যাডারের হাত ধরেই এই মহান সৃষ্টির সূত্রপাত। সাতাশ বছরেই জীবিকা আর ব্যক্তিগত জীবনে ভজঘট পাকিয়ে ফেলেছিলেন। একদিকে আর্থিকভাবে দেউলে হয়ে আছেন, রাত কাটছে পর্ণ থিয়েটারের চৌকিতে, আলসারের যন্ত্রণায় ধর্না দিতে হচ্ছে হাসপাতালে। এরকম অস্থির সময়েই তিনি খেয়াল করলেন, আমেরিকার পথে তার মতো যুবার সংখ্যা কম নয়। এক অবরুদ্ধ, নিরাশার যুগ পার করছে যেন তারা। এলোমেলো সময়ের দলিল হিসেবেই দুই মাসে লিখে ফেললেন 'ট্যাক্সি ড্রাইভারে'র স্ক্রিপ্ট।

প্রথমে বেশ কয়েক জায়গায় ধর্না দিয়ে পাত্তা পাননি। শেষে ব্রায়ান ডি পালমার কাছে হাজির হতেই বাকি পথ বাতলে দিলেন। প্রযোজক মাইকেল ফিলিপসও লুফে নিলেন চিত্রনাট্য।

ওদিকে 'Mean Streets' (১৯৭৩) এর কল্যাণে মার্টিন স্করসেসির হাতকেই যথাযোগ্য মনে হলো দুজনের। একই সিনেমায় জনি বয়ের চরিত্রে রবার্ট ডি নিরোর অভিনয়ে মুগ্ধ ছিলেন উভয়েই, তাই সাইন করিয়ে নিতেও দেরি হলো না! প্রস্তুতির স্বার্থে এক মাস ট্যাক্সিও হাঁকিয়েছেন নিরো।

ছবিতে ডি নিরো ছাড়াও অভিনয় করেছেন জোডি ফসটার, হার্ভে কেটেল, আলবার্ট ব্রুকস প্রমুখ। অস্কারে সেরা চলচ্চিত্র, সেরা অভিনেতা, সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী ও সেরা সুরায়োজনের মনোনয়ন পেলেও জয়ের ঝুলি ছিল শূন্য। তবে কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে '৭৬ এর সেরা চলচ্চিত্রের পাম ডি'অর ঠিকই অর্জন করে এটি। ১১৪ মিনিটের ছবিটি ২ মিলিয়ন লগ্নি করে আয় করে নেয় ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

দ্য গডফাদার: পার্ট টু (১৯৭৪)

ফোর্ড কপোলার 'দ্য গডফাদার ট্রিলজি' আর মাফিয়াকেন্দ্রিক ফিল্ম আদতেই সমার্থক। মারিও পুজোর ১৯৬৯ সালের বিখ্যাত উপন্যাস 'দ্য গডফাদার' এর ফিল্মি চিত্রায়নই হল এই ত্রিরত্ন।

১৯৭২ সালে এই ছবির প্রথম কিস্তি বাজিমাত করে। তাই প্রত্যাশার চাপ ছিল অপ্রতুল। দর্শক-সমালোচকদের একদন্ড দুর্নামের সুযোগ দেননি কপোলা-পুজো যুগল।

প্রথম ফিল্মে দুর্ধর্ষ ভিটো কর্লিওনি ছিলেন মার্লোন ব্র্যান্ডো। ধ্রুপদী পারফরম্যান্সের সুবাদে সেই চরিত্রের কাস্টিং নিয়ে ভীষণ জল্পনা কল্পনা চলেছিল এর দ্বিতীয় কিস্তিতে। কারণ, পরের পার্টে ভিটোর যৌবন এবং উত্থানের উপরই ছিল কাহিনীর আলোকপাত।

যুবক ভিটোর চরিত্রে নেয়া হয় রবার্ট ডি নিরোকে। ক্যামিও রোলের কথা থাকলেও প্যারামাউন্ট পিকচারসের সাথে বনিবনা না হওয়ায় একেবারেই সরে যান ব্র্যান্ডো।

7oNZwaN.jpg


The Godfather 2 এর ফটোশ্যুটে আল পাচিনো এবং রবার্ট ডি নিরো; Photo: Hollywood Reporter

অধিকাংশই দাবি করেন, প্রথমটার চাইতে গডফাদার টু অনেক বেশি পরিণত ও সুসংহত। ধীরগতির বলে দুর্নামও করেন অনেকে। তবে চরিত্রের ক্রমবিকাশ ও গোটা মাফিয়া সাম্রাজ্যের পরিধি বুঝে উঠবার জন্য এই দৈর্ঘ্য অপরিহার্য ছিল।

৪৭তম একাডেমী এ্যাওয়ার্ডসে ৯টি বিভাগে মনোনীত হয় এটি এবং ৬ বিভাগে জয় করে নেয় পুরষ্কার। নিনো রোটার কম্পোজিশন ও গর্ডন উইলিসের সিনেমাটোগ্রাফির ছবিটি সেবছর অস্কার সেরার পুরস্কারও ঘরে তোলে।

দ্য কিং অফ কমেডি (১৯৮০)

ফ্যানমেড পোস্টার, ফ্যান কসপ্লে, ফ্যান থিওরি- এই শব্দাবলি বলীয়ান হয়েই আজকাল সামনে আসছে। সে হিসেবে ফ্যানদের রাজার আসনে বসানোই যায়। কেননা দিনশেষে 'Customer is the king.'

কথায় আছে, ভালো সিনেমার জন্য অর্থ, সরঞ্জামের চাইতেও বেশি দরকার শিক্ষিত ও সৃজনশীল দর্শক।

জেরি ল্যাংফোর্ড, আমেরিকার জনপ্রিয় স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান। তারই পাড় ভক্ত রূপার্ট পাপকিন (পাম্পকিন নয় কিন্তু!)। এলেবেলে গোটা পাঁচেক লোকের মত নয় সে। তার তৃপ্তি স্রেফ অটোগ্রাফ ফটোগ্রাফেও সীমাবদ্ধ নয়। জেরির আরও কাছে যেতে চায় সে, হতে চায় তার অবিচ্ছেদ্য এক সত্তা।

রূপার্ট কিন্তু নিজেও একজন স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান। তার চলনে-বলনে-মননে সমস্তটা জুড়েই আছে রসিকতার প্রচ্ছন্ন জাল, যেন এই কমেডি যাত্রাই তার একক নিয়তি। ভাগ্যক্রমে জেরির সাথে আলাপের সুযোগ মিলে যায়। ল্যাংফোর্ডও প্রচ্ছন্ন সৌজন্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।

অল্প সৌজন্যকেই পর্বত সমান ভেবে বোকামো করে বসে রূপার্ট। ল্যাংফোর্ড শো-তে জায়গা পেতে রাতারাতি মরিয়া হয়ে ওঠে। সেই আগুনে বাড়তি ঘি ঢালে আরেক উন্মাদ ভক্ত মাশা।

গল্পটা এক পাগলাটে ভক্তের হলেও সেসময়ের নিরো বা স্করসেসি ভক্তরা একে সাদরে গ্রহণ করেনি। ১৯ মিলিয়নের ছবি বক্স অফিসে মাত্র ২.৫ মিলিয়ন আয় করে।

xELxyV7.jpg


Lew Magram দোকানের ম্যানিকুইনের আদলে তৈরি হয় পাপকিনের সজ্জা; Photo:Golden Age of cinema & bar

রেকর্ড যাই বলুক, ছবির পেছনে আছে এক গভীর উপলব্ধি। পল জিমারম্যান তখন নিউজউইকের স্বনামধন্য কলাম লেখক। সত্তরে কমেডিয়ান জনি কারসনের জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বী। বিমুগ্ধ ভক্তের সংখ্যাও ছিল অজস্র। এমনই এক ভক্ত একদিন এস্কোয়ার ম্যাগাজিনে ছাপিয়ে বসে এক অভিযোগনামা। কারসনের অটোগ্রাফ না পেয়ে হতাশ ছিল সেই দর্শক। রসিকরাজের অভিব্যক্তিতে নাকি তার মনটাই ভেঙে গেছে। তখনই জিমারম্যান টের পান, এই ভক্ত আর আততায়ীদের মধ্যকার তফাতটা খুব সরু। কার হাতে কলম আর কার হাতে বন্দুক- সেটা ভিড়ের মাঝে বোঝাটা অসম্ভব।

ছোট্ট একটি ঘটনাই শেষকালে জন্ম দেয় রূপার্ট পাপকিনের। ছবিতে নিরো সাথে স্ক্রিন ভাগ করেছেন জেরি লুইস, স্যান্ড্রা বার্নার্ড প্রমুখ।

'ট্যাক্সি ড্রাইভার' ও 'কিং অফ কমেডি' থেকেই অনেকাংশে অনুপ্রেরণা পেয়েছে ওয়াকিন ফিনিক্সের 'জোকার'। মজার ব্যাপার হল, জোকারেও নিরো উপস্থিত ।

রেজিং বুল (১৯৮০)

ইতালিয়-মার্কিন বক্সার জেক লামোটার জীবনিভিত্তিক ছবি 'রেজিং বুল'। Raging Bull: My Story' শিরোনামে লামোটা তাঁর আত্মজীবনী প্রকাশ করেন ১৯৭০ সালে।

রেজিং বুল শুধু একজন বক্সিং কোর্টে লড়াকুর গল্পই নয়। চারকোণা কোর্টের বাইরেও আত্ম বিধ্বংসী আবেগ, অনুরাগ, ভীতির সাথে লড়তে হয়েছিল তাঁকে।

2jgSPT5.jpg


রেজিং বুলের চরিত্রে নিজেকে মানানসই করতে ৬০ পাউন্ড ওজন বাড়ান নিরো; Photo: Icons of Sports

চিত্রনাট্যকার পল শ্রেডার এবং নিরো প্রথম থেকেই একে চলচ্চিত্রে রূপান্তরে উদগ্রীব ছিলেন। স্বভাবতই মার্টিন স্করসেসিকেই পরিচালকের আসনে দেখতে চাইছিলেন দুজন। খেলাধুলার ব্যাপারে স্করসেসির আগ্রহ তখন শূন্যের ঘরে। তাই বারবার সেই অনুরোধ ফিরিয়ে দিচ্ছিলেন।

স্করসেসির 'নিউইয়র্ক নিউইয়র্ক' (১৯৭৭) বক্স অফিসে তখন অত্যন্ত বাজেভাবে থুবড়ে পড়েছিল। সেই ভরাডুবিই আরও ডুবিয়ে দেয় তাঁকে। কোকেনে এতটাই মারাত্মকভাবে আসক্ত হয়ে পড়েন যে শেষকালে হাসপাতালের বেডেই ঠাই হয়। সেই করুণ সময় থেকে মার্টিনকে তুলে আনেন নিরো। প্রস্তাব দেন লামোটার জীবনী ছবি তৈরির। জীবনের পতন মুহূর্তের উপলব্ধিই তখন জেকের সাথে মিলিয়ে নেন স্করসেসি।

এই ছবির সুবাদে প্রথমবারের মতো অস্কারে সেরা অভিনেতার পুরস্কার হাতে ওঠে ডি নিরোর। সম্পাদনা শাখাতেও একাডেমী এ্যাওয়ার্ডের সম্মান পায় এটি।

দ্য ডিয়ার হান্টার (১৯৭৮)

নিক, মাইক ও স্ট্যানলি- পেনিসিলভানিয়ার স্টিল কারখানার শ্রমিক। তবে শীঘ্রই তাদের নামের পাশে যোগ হবে অন্য পদবী; যোদ্ধা।

তখন মার্কিন মুলুকে ভিয়েতনাম যুদ্ধের হাঁকডাক। তরুণেরা দলে দলে রণক্ষেত্রে নাম লেখাচ্ছে। একদিকে নতুন জীবনের আশ্বাস, অন্যদিকে রণতুর্যের গগনভেদী আওয়াজ। এই তিন তরুণের ভাগ্যে কী আছে তবে? জীবন, মৃত্যু নাকি অজানা সম্ভাবনা?

ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়টাকেই চারকোণা ফ্রেমে বেঁধে ফেলেন পরিচালক মাইকেল চিমিনো। মেরিল স্ট্রিপ, রবার্ট ডি নিরো, জন কাজালে, ক্রিস্টোফার ওয়াকেন অভিনীত ছবিটি অস্কারে সেরা চলচ্চিত্র, সেরা পরিচালক, সেরা পার্শ্ব অভিনেতা, সম্পাদনা ও শব্দগ্রহণ বিভাগে পুরস্কার জিতে নেয়।

udTpu12.jpg


অস্কারে সেরা অভিনেতা বিভাগে মনোনীত হন ডি নিরো; Photo:The soul of the Plot

ভিয়েতনাম যুদ্ধভিত্তিক ছবিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আন্ডাররেটেড 'দ্য ডিয়ার হান্টার'। ঐতিহাসিক পটভূমিতে নির্মিত হলেও বেশ কিছু বানোয়াট দৃশ্যের কারণে সমালোচিত হয় ছবিটি। তবুও মুক্তির ৪২ বছর পরও একে শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার বলাই যায়।

ডি নিরোর ফিল্মোগ্রাফির দিকে তাকালে মাত্র পাঁচটা তুলে আনা অনেকটা সমুদ্র থেকে এক আঁজলা জলের তোলার মত। 'Goodfellas', 'The Untouchables', 'The Intern', 'The Irishman', ' Awakenings', 'Once upon a time in America',' Cape Fear' প্রভৃতি সিনেমাতেও সমান সপ্রতিভ 'মেডেল অফ ফ্রিডম' জয়ী এই অভিনেতা।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top