What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Other স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে ঈদ করতে গিয়েও পারলেন না মাহফুজ (1 Viewer)

9XneGRk.jpg


অভিনয়শিল্পী মাহফুজ আহমেদের ছেলেমেয়ে ও স্ত্রী থাকেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। একটা সময় তিনি দেশে থাকতেন। অভিনয়ের ফাঁকে অস্ট্রেলিয়ায় যেতেন। এখন হয়েছে উল্টো, অস্ট্রেলিয়া থেকে ঢাকায় যাওয়া-আসার ফাঁকেই তিনি ক্যামেরার সামনে সময় দেন। এবার করোনার ঈদের আগে ঢাকা থেকে সিডনিতে গিয়েও পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করতে, তবে পারছেন না। বিমানবন্দর থেকে তাঁকে সরাসরি চলে যেতে হয়েছে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে।

ymp2UZr.jpg


স্ত্রী আর ছেলেমেয়ের সঙ্গে মাহফুজ আহমেদ

আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টায় যখন প্রথম আলোর সঙ্গে টেলিভিশন নাটকের জনপ্রিয় এই অভিনয়শিল্পী, পরিচালক ও প্রযোজকের সঙ্গে কথা হচ্ছিল, তখন তিনি সিডনির একটি হোটেলে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন।

৮ মে ঢাকা থেকে সিডনির পথে উড়াল দেন মাহফুজ আহমেদ। স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করবেন, তাই ঈদের আগে এই উড়াল দেওয়া। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া সরকারের নিয়মানুযায়ী বাইরের দেশ থেকে যে কাউকে দেশটিতে ঢুকলেই ১৪ দিনের কঠোরভাবে কোয়ারেন্টিন মানতে হবে। বিমানবন্দর থেকে সেখানকার পুলিশই প্রত্যেক যাত্রীকে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে নিয়ে যায়। মাহফুজ আহমেদের ক্ষেত্রেও তা–ই ঘটেছে।

GdEs8rf.jpg


অস্ট্রেলিয়ায় মাহফুজ আহমেদ

মাহফুজ বলেন, ‘কোয়ারেন্টিন মানে কঠোর কোয়ারেন্টিন। রুমের সামনেই পুলিশ। একটা স্টেপ বাইরে দেওয়ার সুযোগ নেই। অনেকটা বলা যেতে পারে, জেলখানার মতোই। পুলিশই সব ধরনের খাবার দিয়ে যাচ্ছে। মাস্ক পরেই খাবার নিতে হচ্ছে। নিজেকে ও অন্যকে সুরক্ষিত রাখার সব নিয়মকানুন মেনে চলতে হচ্ছে। আমার বাসায় স্ত্রী-সন্তান একা, কিন্তু আমার যাওয়ার উপায় নেই। ভিডিও কলে দেখা ছাড়া উপায় নেই। এত কাছাকাছি থেকেও স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করতে না পারার কষ্ট তাড়িয়ে বেড়ালেও, যখন সবার সুরক্ষার বিষয়টি ভাবতে থাকি, কষ্ট কমে যায়।’

কোয়ারেন্টিনে কীভাবে কাটছে সময়, এমন প্রশ্নে মাহফুজ আহমেদ বললেন, ‘ নিজেকে দেখছি। নিজের সঙ্গে কথা বলছি। বলা যেতে পারে, ফেলে আসা জীবনটায় পুনরায় ঘুরে আসার চেষ্টা চলছে। যেহেতু একা আছি, তাই নিজের মনের সব উপলব্ধি লিখেও রাখছি। এমন সময়ের সাক্ষী তো আমরা কখনোই হইনি। ভবিষ্যতে আর হব কি না, তা–ও জানি না। তা ছাড়া লেখালেখি করাটা আমার ভীষণ প্রিয়।’

JcJNuww.jpg


মাহফুজ আহমেদ

দেশে আবার কবে আসার পরিকল্পনা জানতে চাইলে মাহফুজ বললেন, ‘অবস্থা বুঝে আরকি। যদিও অস্ট্রেলিয়ার করোনা পরিস্থিতি এখন একেবারে নেই বললেই চলে। কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতি তো বোঝাটা মুশকিল।’

টেলিভিশন নাটকের একসময়ের তুমুল ব্যস্ত অভিনয়শিল্পী মাহফুজ আহমেদ বিয়ের পরপরই অস্ট্রেলিয়া যাওয়া-আসার মধ্যে থাকেন। সন্তানদের জন্মের পর তা আরও বেশি নিয়মিত হতে থাকে। শুরুর দিকে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার পর বিরক্ত হতেন যিনি, সেই মাহফুজ এখন বলেন, ‘এখন অবাক লাগে, সেই আমি এই অস্ট্রেলিয়ার কী অদ্ভুত মায়ায় পড়ে গেছি! বিয়ের পর আমার স্ত্রী মিমি অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসে। এখন আমার মেয়ে আরাধ্য আর ছেলে অরিত্র তার মায়ের সঙ্গে সিডনিতে স্থায়ীভাবে আছে। পরিবার যখন একটা দেশের আলো বাতাসের সঙ্গে মিশে যায়, তখন সে বাতাস কেন জানি নিজের হয়ে যায়, জায়গাটার জন্য মায়া মায়া লাগে। তাই অস্ট্রেলিয়াকে একটা দেশ না বলে “মায়াঘর” বলি। এ দেশের চাকচিক্য আমাকে মুগ্ধ করেনি কখনো। প্রথম সিডনির বিখ্যাত “অপেরা হাউস” দেখে আমি দুটি শব্দ বলেছিলাম, “খারাপ না”। আর এখন মায়াজালে বন্দী। আমার ছেলেমেয়ে, স্ত্রী আমাকে খুব বলে এখানে থেকে যেতে। কিন্তু দেশের মায়া ছাড়তে পারি না। তাই আসা-যাওয়ার মধ্যে আছি।’

li7usmE.jpg


স্ত্রী মিমির সঙ্গে মাহফুজ আহমেদ

মাহফুজের দৃষ্টিতে অস্ট্রেলিয়ায় বাঙালিদের বিচরণ গর্ব করার মতো। তিনি বলেন, ‘এ দেশের বড় বড় হাসপাতালে বাংলাদেশি ডাক্তার আছেন, নামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আমার দেশের শিক্ষক আছেন, এসব আমাকে খুব গর্বিত করে, মুগ্ধ করে। আবার এখানে বাঙালিদের কাছে আমি সেই একই ভালোবাসা পাই, যেমনটা পাই দেশে।’
 

Users who are viewing this thread

Back
Top