বাড়িতে তৈরি প্যাক লাগালে ত্বক থাকবে ভালো, মডেল: তিথি
শীতে দরকার ত্বকের বাড়তি যত্ন
শীত এবার জেঁকে বসেছে। আপনার-আমার ইচ্ছায় কি আর ঋতুবদল ঘটবে! প্রকৃতির পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় জীবনযাপনও। নতুন করে মানিয়ে চলতে হয় অনেক কিছুই। শীতের নিষ্প্রাণ ত্বকের জন্য বাড়তি যত্নও তেমনই এক মানিয়ে চলা।
এ সময় প্রতিবার ত্বকে পানির পরশ লাগার পরপরই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার আবশ্যক। ত্বক ভেজা থাকতেই ময়েশ্চারাইজার প্রয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। এই ছোট্ট অভ্যাসেই ত্বক হয়ে উঠবে আর্দ্র, কোমল ও স্নিগ্ধ। এ ছাড়া মাঝেমধ্যেই মুখে পানির ঝাপটা দেওয়াও ভালো ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য এক সু–অভ্যাস। এমনটাই জানালেন বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ বিউটি কেয়ারের স্বত্বাধিকারী ও রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি।
শুষ্ক ত্বক সুস্থ থাক
শুষ্ক ত্বক শীতে হয়ে ওঠে আরও বেশি শুষ্ক ও রুক্ষ। তাই রোজ ব্যবহার করতে পারেন আধা চা-চামচ ভিটামিন ই তেল আর আধা চা-চামচ গ্লিসারিনের মিশ্রণ। এ ছাড়া ত্বকের পুষ্টি নিশ্চিত করতে সপ্তাহে ২ দিন একটি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। ১টি ডিমের কুসুম, ১ চা-চামচ মধু, আধা চা-চামচ জলপাই তেল ও পরিমাণমতো গোলাপজল মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
তৈলাক্ত ত্বক এই সময়
ত্বক তৈলাক্ত ধরনের হলে তেলবিহীন ক্লিনজার আর ময়েশ্চারাইজার বেছে নেবেন। টমেটোর রস দিয়েও ত্বক ময়েশ্চারাইজ করতে পারেন। এ ছাড়া ক্লিনজিং ও টোনিংয়ের পর সমপরিমাণ লেটুসপাতার রস, মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে লাগানো ভালো। প্রাণবন্ত ত্বকের জন্য সপ্তাহে এক দিন সমপরিমাণ আনারস, আপেল ও পাকা পেঁপের সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করুন।
মিশ্র প্রকৃতির ত্বকের জন্য
রোজ ত্বক পরিষ্কার করতে হালকা ধরনের ক্লিনজার ব্যবহার করা আবশ্যক। ত্বকের শুষ্ক অংশগুলোয় অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। সপ্তাহে তিন দিন সেদ্ধ মিষ্টিকুমড়া চটকে এর সঙ্গে পরিমাণমতো মধু ও দুধ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। ২০ মিনিট পর মালিশ করে ধুয়ে ফেলুন।
হিম হিম ঘুম
ত্বকের ধরন যেমনই হোক, ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের বিকল্প নেই। ত্বক তৈলাক্ত প্রকৃতির না হলে রাতে ময়েশ্চারাইজারের পরিবর্তে জলপাই তেল মালিশ করেও ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। লিপজেল কিংবা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে নিন ঠোঁটে।
আরও যা করা যায়
* অতিরিক্ত গরম পানি ত্বকে ব্যবহার করবেন না।
* ঠোঁট শুকিয়ে এলে জিহ্বা দিয়ে ভেজানো যাবে না।
* ঠোঁট কোমল রাখতে গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারেন।
* এ ছাড়া কয়েক ফোঁটা জলপাই তেল সামান্য পরিমাণ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট ফাটে না।