[HIDE]
আব্বুর কথার পরপরই ঘরের মধ্যে খুবই সুদর্শন একজন তরুণ ঢুকলো। ফর্সা সুন্দর জিম করা শরীর। চুল দাঁড়ি ভালোভাবে গ্রুমিং করা। বয়স কত হবে আমার চেয়ে ৪-৫ বছরের হয়তো বা বড় মানে ধরা যায় ইউনিভার্সিটিতে পড়ে আর কি । ছেলেটি নম্রভাবে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করল তারপর আমার দিকে তাকিয়ে তাকে উদ্দেশ্য করে বাবা বললেন "আচ্ছা, রনি এই হচ্ছে আমার একমাত্র ছেলে। " রনি নামের ওই ভাইয়া টি আমার দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে হাত বাড়িয়ে দিলেন। "হ্যালো আমি রনি।" আমি ও জবাবে হাসিমুখে তার হাত তার সাথে হাত মেলায় এবং বললাম "আমি ফাহাদ।" বাবা বললেন " বুঝলি বাবা ! আমরা এই রনির গাড়িতে এসেছি। ছেলেটা আমাদের ভীষণ বড় রকমের উপকার করছে। আমি ওর উপকার কখনো ভুলবো না ,,, থ্যাংক ইউ সো মাচ ভাইয়া। "
রনি -- না, না ছি ছি ভাইয়া আপনি এভাবে বারবার আমাকে থ্যাংকস বলে লজ্জায় ফেলবেন না। আর উপকার কেন বলছেন , এটা তো আমার দায়িত্ব ছিল তাই না ? মানুষ মানুষকে তার বিপদের সময় হেল্প করবে এটাই তো স্বাভাবিক।
বাবা -- হ্যাঁ, স্বাভাবিক তো বটেই কিন্তু আজকালকার দিনে এই কাজ কয়জন করে ভাই বল।
রনি -- না, সে ঠিক আছে কিন্তু সত্যি কথা বলতে আমার নিজের দায়িত্ববোধ থেকে আমি কাজটা করেছি । আর তাছাড়া আপনাদের গাড়ি যেখানে খারাপ হয়েছিল জায়গাটা তো ভালো না। ,,, (তারপর হেসে) আমি একটা খালি গাড়ি নিয়ে বাসায় ফিরছিলাম তো সে দিক থেকে যদি আমি দুইজন পারসনকে উপকার করতে পারি সেটা ভালো নয় ?
বাবা -- আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছে এই কারণে তোমার বাসা হচ্ছে আমাদের বাসা থেকে খুব অপজিট ডিরেকশনে.... ফাহাদ বুঝছিস ওর বাসা কিন্তু আমাদের থেকে অপজিটে (বাবা রনি ভাইয়ার বাসা কোন এরিয়া তে সেটা জানালেন) কিন্তু এতকিছুর পরও ওই রাতের বেলা ও আমাদেরকে লিফট দিয়ে এই পর্যন্ত এসেছে। (বাবা কিছুক্ষণ সময় বিরতি দিয়ে তারপর আবার মা কে উদ্দেশ্য করে বললেন) ,,,,, এই তুমি কই গেলা ,,,, একটু চা করে নিয়ে আসো না। বাইরে তো আবার বৃষ্টি হয়তোবা শুরু হয়ে যাবে আর রাত হয়ে গেছে। বাবার কথার জবাবে মা কিচেন থেকে বললেন "হ্যাঁ একটু বস ,,,আসতেছি,,,, চা হয়ে গেছে। "
কিছুক্ষণের মধ্যেই মা ট্রেতে করে চা এবং বিস্কুট সাজিয়ে ঘরে ঢুকলেন। মার পরনে এখনো সেই ব্ল্যাক কালারের শাড়িটা উনি চেঞ্জ করার সময়টুকু পাননি। তারপর হালকা ঝুঁকে টেবিলের উপরে ট্রে টা রাখলেন । বাবা বললেন "রনি ,,,ভাইয়া ,,, নাও চা নাও। তোমার আপার হাতের চা কিন্তু ভারী মজার। একবার খেলে একেবারে মুখে লেগে থাকে।"
রনি -- আচ্ছা, তাই নাকি ? ( হেসে বললেন ) তাহলে তো অবশ্যই টেস্ট করতে হয়। আপনিও নিন্ না ভাইয়া।
বাবা -- হ্যাঁ, হ্যাঁ এই তো নিচ্ছি ... (বাবা চায়ের কাপ হাতে নিলেন তখনই বাবার মোবাইলে একটা কল আসলো। বাবা ফোনটা ধরে আমাদের কাছে বললেন) এক্সকিউজ মি ! আমি একটু আসতেছি।
বাবা চায়ের কাপ হাতে নিয়ে ফোনটা কানে ঠেকিয়ে রুম থেকে সরে গেলেন। রনি ভাইকে দেখলাম এখন একটু মোটামুটি ফরমাল ভাবটা ছেড়ে দিয়ে ক্যাজুয়াল ভাবেই বসেছেন। কথায় আছে আনকোরা স্বভাবের পার্সোনের তুলনায় এক্সপেরিয়েন্স বান্দাগুলো অনেক কিছুই আগে-ভাগে খেয়াল করে এবং একটু ভিন্নভাবেই দেখে। গত ডিসেম্বরের ছুটিটা কাটানোর আগ পর্যন্ত আমি নিতান্তই নাদান এক শিশু ছিলাম। কিন্তু এই ছুটিতে আমার জীবনে যে এক্সপেরিয়েন্স হয়েছে তাতে করে বলা যায় আমি মোটামুটি ওই জগতে পা রেখেই ফেলেছি সুতরাং আমার চোখে অনেক কিছুই এখন অন্যরকম ভাবে ধরা পড়ে। কিংবা অনেক সাধারণ জিনিসও আমার মস্তিষ্ক অন্যভাবে আমার চিন্তা চেতনায় নিয়ে আসে। আমরা তিনজন এখানে বসে আছি কারো মুখে কোন কথাবার্তা নেই। মায়ের চোখে মুখে কেমন যেনো একটা অস্থিরতা খেয়াল করলাম । টায়ার্ড কিংবা exhausted -- ঘরে ঢুকে কই সব চেঞ্জ করে একটু বিছানায় গা এলিয়ে দিবেন তা হলো না , অতিথি অ্যাপ্যায়ন চলছে । আমরা কেউ ই কথা বলছি না । মা ও জেন্টলি মাঝে মাঝে চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছেন। আমি আড়চোখে রনি ভাইয়ের দিকে তাকালাম রনি ভাই মায়ের দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছেন আর চা খাচ্ছেন। এক নাগাড়ে তাকিয়ে আছেন আর চা খাচ্ছেন। বুঝতে পারলাম আমার সুন্দরী আম্মু কে বারবার দেখার লোভ সংবরণ করতে কষ্ট হচ্ছে তার ।
মা ই নিরবতা ভাঙলেন।
আম্মু -- তারপর,,, তুমি কি কর,,, এমনিতে ,,, কিছু মনে করো না ভাই আমি তোমাকে তুমি করে বললাম ।
রনি -- না না , ঠিক আছে আপা । আমি এইতো ইউনিভার্সিটি তে পড়ছি । ইংরেজি সাহিত্যে । আর এমনিতে শখের বসে স্টুডেন্টস পড়াই ।
আম্মু -- আচ্ছা তাই বেশ ভালো !! তো নিশ্চয়ই অনেক বিজি থাকো ?
রনি -- সে তো একটু থাকতেই হয় আপা । আপনার চেনা জানা কোনো স্টুডেন্ট থাকলে অবশ্যই জানাবেন আপা ।
আম্মু -- হ্যাঁ তা তো অবশ্যই জানাবো । তুমি তোমার ফোন নাম্বারটা রেখে যেও । আর যতই ব্যস্ত থাকো মাঝে মাঝে এস এসে চা খেয়ে যেও । হাহা
রনি -- হ্যাঁ, সে কি আর বলতে ! অবশ্যই আসবো আপনার হাতে চা খাওয়ার জন্য হলেও আসবো। ভাই আসলে ঠিকই বলেছেন ; আপনার হাতের চা একবার যে খেয়েছে সে বারবার খেতে যাবে।
রনি ভাইয়ের কথায় মা একটু হাসলেন। তারপর রনি ভাইকে দেখলাম একটু ব্যস্ত হয়ে পড়তে । তিনি বললেন " আপা, অনেকক্ষণ তো হলো আজকের মত তাহলে উঠি।" তারপর পকেট থেকে একটা কাগজ বের করে তার মধ্যে কি যেন লিখলেন , লেখার পর কাগজটা মায়ের দিকে বাড়িয়ে ধরলেন আর বললেন "আপা এখানে আমার ফোন নাম্বার আছে আর যদি ফোনে না পান তাহলে ফেসবুক আইডি ও দেওয়া আছে। একটা একটা way তে আমার সাথে কন্টাক করলেই হবে।,,, আজকে তবে উঠি ,,,ভাইয়ের সাথে দেখা হলো না,,, may be ভাইয়া অফিসের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ,,,ভাইয়াকে জানাবেন।" মা রনি ভাইয়ের কাছ থেকে কাগজটা নিলেন কাগজটা দেখে এক মুহূর্ত তাকালেন তারপর কাগজটা নিজের কাছে রেখে বললেন "হ্যাঁ ,,, হ্যাঁ ঠিক আছে। অনেক কষ্ট করলা ভাই। গড ব্লেস ইউ।" রনি ভাইয়া ওইখান থেকে উঠে মেনগেট পর্যন্ত যেতে যেতে বাবার সাথে দেখা হয়ে গেল। সেখানেও যথারীতি বাবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে তিনি বেরিয়ে গেলেন। আমরা উপর থেকে দেখলাম গাড়িটা ঘুরিয়ে তিনি সাই করে ছুটে গেলেন।
[/HIDE]
আব্বুর কথার পরপরই ঘরের মধ্যে খুবই সুদর্শন একজন তরুণ ঢুকলো। ফর্সা সুন্দর জিম করা শরীর। চুল দাঁড়ি ভালোভাবে গ্রুমিং করা। বয়স কত হবে আমার চেয়ে ৪-৫ বছরের হয়তো বা বড় মানে ধরা যায় ইউনিভার্সিটিতে পড়ে আর কি । ছেলেটি নম্রভাবে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করল তারপর আমার দিকে তাকিয়ে তাকে উদ্দেশ্য করে বাবা বললেন "আচ্ছা, রনি এই হচ্ছে আমার একমাত্র ছেলে। " রনি নামের ওই ভাইয়া টি আমার দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে হাত বাড়িয়ে দিলেন। "হ্যালো আমি রনি।" আমি ও জবাবে হাসিমুখে তার হাত তার সাথে হাত মেলায় এবং বললাম "আমি ফাহাদ।" বাবা বললেন " বুঝলি বাবা ! আমরা এই রনির গাড়িতে এসেছি। ছেলেটা আমাদের ভীষণ বড় রকমের উপকার করছে। আমি ওর উপকার কখনো ভুলবো না ,,, থ্যাংক ইউ সো মাচ ভাইয়া। "
রনি -- না, না ছি ছি ভাইয়া আপনি এভাবে বারবার আমাকে থ্যাংকস বলে লজ্জায় ফেলবেন না। আর উপকার কেন বলছেন , এটা তো আমার দায়িত্ব ছিল তাই না ? মানুষ মানুষকে তার বিপদের সময় হেল্প করবে এটাই তো স্বাভাবিক।
বাবা -- হ্যাঁ, স্বাভাবিক তো বটেই কিন্তু আজকালকার দিনে এই কাজ কয়জন করে ভাই বল।
রনি -- না, সে ঠিক আছে কিন্তু সত্যি কথা বলতে আমার নিজের দায়িত্ববোধ থেকে আমি কাজটা করেছি । আর তাছাড়া আপনাদের গাড়ি যেখানে খারাপ হয়েছিল জায়গাটা তো ভালো না। ,,, (তারপর হেসে) আমি একটা খালি গাড়ি নিয়ে বাসায় ফিরছিলাম তো সে দিক থেকে যদি আমি দুইজন পারসনকে উপকার করতে পারি সেটা ভালো নয় ?
বাবা -- আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছে এই কারণে তোমার বাসা হচ্ছে আমাদের বাসা থেকে খুব অপজিট ডিরেকশনে.... ফাহাদ বুঝছিস ওর বাসা কিন্তু আমাদের থেকে অপজিটে (বাবা রনি ভাইয়ার বাসা কোন এরিয়া তে সেটা জানালেন) কিন্তু এতকিছুর পরও ওই রাতের বেলা ও আমাদেরকে লিফট দিয়ে এই পর্যন্ত এসেছে। (বাবা কিছুক্ষণ সময় বিরতি দিয়ে তারপর আবার মা কে উদ্দেশ্য করে বললেন) ,,,,, এই তুমি কই গেলা ,,,, একটু চা করে নিয়ে আসো না। বাইরে তো আবার বৃষ্টি হয়তোবা শুরু হয়ে যাবে আর রাত হয়ে গেছে। বাবার কথার জবাবে মা কিচেন থেকে বললেন "হ্যাঁ একটু বস ,,,আসতেছি,,,, চা হয়ে গেছে। "
কিছুক্ষণের মধ্যেই মা ট্রেতে করে চা এবং বিস্কুট সাজিয়ে ঘরে ঢুকলেন। মার পরনে এখনো সেই ব্ল্যাক কালারের শাড়িটা উনি চেঞ্জ করার সময়টুকু পাননি। তারপর হালকা ঝুঁকে টেবিলের উপরে ট্রে টা রাখলেন । বাবা বললেন "রনি ,,,ভাইয়া ,,, নাও চা নাও। তোমার আপার হাতের চা কিন্তু ভারী মজার। একবার খেলে একেবারে মুখে লেগে থাকে।"
রনি -- আচ্ছা, তাই নাকি ? ( হেসে বললেন ) তাহলে তো অবশ্যই টেস্ট করতে হয়। আপনিও নিন্ না ভাইয়া।
বাবা -- হ্যাঁ, হ্যাঁ এই তো নিচ্ছি ... (বাবা চায়ের কাপ হাতে নিলেন তখনই বাবার মোবাইলে একটা কল আসলো। বাবা ফোনটা ধরে আমাদের কাছে বললেন) এক্সকিউজ মি ! আমি একটু আসতেছি।
বাবা চায়ের কাপ হাতে নিয়ে ফোনটা কানে ঠেকিয়ে রুম থেকে সরে গেলেন। রনি ভাইকে দেখলাম এখন একটু মোটামুটি ফরমাল ভাবটা ছেড়ে দিয়ে ক্যাজুয়াল ভাবেই বসেছেন। কথায় আছে আনকোরা স্বভাবের পার্সোনের তুলনায় এক্সপেরিয়েন্স বান্দাগুলো অনেক কিছুই আগে-ভাগে খেয়াল করে এবং একটু ভিন্নভাবেই দেখে। গত ডিসেম্বরের ছুটিটা কাটানোর আগ পর্যন্ত আমি নিতান্তই নাদান এক শিশু ছিলাম। কিন্তু এই ছুটিতে আমার জীবনে যে এক্সপেরিয়েন্স হয়েছে তাতে করে বলা যায় আমি মোটামুটি ওই জগতে পা রেখেই ফেলেছি সুতরাং আমার চোখে অনেক কিছুই এখন অন্যরকম ভাবে ধরা পড়ে। কিংবা অনেক সাধারণ জিনিসও আমার মস্তিষ্ক অন্যভাবে আমার চিন্তা চেতনায় নিয়ে আসে। আমরা তিনজন এখানে বসে আছি কারো মুখে কোন কথাবার্তা নেই। মায়ের চোখে মুখে কেমন যেনো একটা অস্থিরতা খেয়াল করলাম । টায়ার্ড কিংবা exhausted -- ঘরে ঢুকে কই সব চেঞ্জ করে একটু বিছানায় গা এলিয়ে দিবেন তা হলো না , অতিথি অ্যাপ্যায়ন চলছে । আমরা কেউ ই কথা বলছি না । মা ও জেন্টলি মাঝে মাঝে চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছেন। আমি আড়চোখে রনি ভাইয়ের দিকে তাকালাম রনি ভাই মায়ের দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছেন আর চা খাচ্ছেন। এক নাগাড়ে তাকিয়ে আছেন আর চা খাচ্ছেন। বুঝতে পারলাম আমার সুন্দরী আম্মু কে বারবার দেখার লোভ সংবরণ করতে কষ্ট হচ্ছে তার ।
মা ই নিরবতা ভাঙলেন।
আম্মু -- তারপর,,, তুমি কি কর,,, এমনিতে ,,, কিছু মনে করো না ভাই আমি তোমাকে তুমি করে বললাম ।
রনি -- না না , ঠিক আছে আপা । আমি এইতো ইউনিভার্সিটি তে পড়ছি । ইংরেজি সাহিত্যে । আর এমনিতে শখের বসে স্টুডেন্টস পড়াই ।
আম্মু -- আচ্ছা তাই বেশ ভালো !! তো নিশ্চয়ই অনেক বিজি থাকো ?
রনি -- সে তো একটু থাকতেই হয় আপা । আপনার চেনা জানা কোনো স্টুডেন্ট থাকলে অবশ্যই জানাবেন আপা ।
আম্মু -- হ্যাঁ তা তো অবশ্যই জানাবো । তুমি তোমার ফোন নাম্বারটা রেখে যেও । আর যতই ব্যস্ত থাকো মাঝে মাঝে এস এসে চা খেয়ে যেও । হাহা
রনি -- হ্যাঁ, সে কি আর বলতে ! অবশ্যই আসবো আপনার হাতে চা খাওয়ার জন্য হলেও আসবো। ভাই আসলে ঠিকই বলেছেন ; আপনার হাতের চা একবার যে খেয়েছে সে বারবার খেতে যাবে।
রনি ভাইয়ের কথায় মা একটু হাসলেন। তারপর রনি ভাইকে দেখলাম একটু ব্যস্ত হয়ে পড়তে । তিনি বললেন " আপা, অনেকক্ষণ তো হলো আজকের মত তাহলে উঠি।" তারপর পকেট থেকে একটা কাগজ বের করে তার মধ্যে কি যেন লিখলেন , লেখার পর কাগজটা মায়ের দিকে বাড়িয়ে ধরলেন আর বললেন "আপা এখানে আমার ফোন নাম্বার আছে আর যদি ফোনে না পান তাহলে ফেসবুক আইডি ও দেওয়া আছে। একটা একটা way তে আমার সাথে কন্টাক করলেই হবে।,,, আজকে তবে উঠি ,,,ভাইয়ের সাথে দেখা হলো না,,, may be ভাইয়া অফিসের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ,,,ভাইয়াকে জানাবেন।" মা রনি ভাইয়ের কাছ থেকে কাগজটা নিলেন কাগজটা দেখে এক মুহূর্ত তাকালেন তারপর কাগজটা নিজের কাছে রেখে বললেন "হ্যাঁ ,,, হ্যাঁ ঠিক আছে। অনেক কষ্ট করলা ভাই। গড ব্লেস ইউ।" রনি ভাইয়া ওইখান থেকে উঠে মেনগেট পর্যন্ত যেতে যেতে বাবার সাথে দেখা হয়ে গেল। সেখানেও যথারীতি বাবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে তিনি বেরিয়ে গেলেন। আমরা উপর থেকে দেখলাম গাড়িটা ঘুরিয়ে তিনি সাই করে ছুটে গেলেন।
[/HIDE]