প্রতিবছরই নতুন ট্রেন্ড যুক্ত হয় ফ্যাশন ধারায়। ব্যক্তিগত স্টাইল স্টেটমেন্টেও আসে নানা পরিবর্তন। ফ্যাশনসচেতন তরুণ-তরুণীরা এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজ ওয়্যারড্রোবও সাজান নতুন করে। নিজেকে কমবেশি ট্রেন্ডি রাখতেই পছন্দ করেন তরুণেরা। কথায় বলে, ফ্যাশন চক্রাকারে পরিবর্তিত হয়। অর্থাৎ পুরোনো ট্রেন্ডগুলোই নতুনভাবে জায়গা পায় চলতি ট্রেন্ডে।
সাদা এখন ফ্যাশনে ইন
সেই ধারায় ভিনটেজ এবং রেট্রো ধারায় কিছু স্টাইল নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে ট্রেন্ডে। সত্তর এবং আশির দশকের পোশাকের কিছু কাট ও ছাঁট আর প্যাটার্ন জায়গা পেয়েছে বর্তমান ফ্যাশন ধারায়। যেমন শার্ট থেকে শুরু করে জুতা পর্যন্ত—সবকিছুতেই বেড়েছে সাদার প্রাধান্য।
আবার অনেককেই দেখা যায় ইন্ডিগো জিন্সের সঙ্গে নীল সামার ডেনিম শার্ট আর চেলসি বুট দিয়ে পেয়ার আপ করে তৈরি করছেন স্টাইল স্টেটমেন্ট। পেয়ার আপের ক্ষেত্রে সবাই নিজের পছন্দকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন। আবার পোশাক কতটা আরামদায়ক করে তোলা যায়, চেষ্টা থাকছে সেদিকেও। গত শতাব্দীর আশির দশকের জনপ্রিয় স্ট্রাইপ ও পলকা ডটও ফিরছে জনপ্রিয় হয়ে।
ফিরেছে পোলকা ডট
বোল্ড এবং সিঙ্গেল ভার্টিক্যাল স্ট্রাইপের শার্ট এবং ট্রাউজারের সঙ্গে আ্যডিডাস ক্যাম্পাস শু অনেক তরুণেরই প্রিয় স্টাইল হয়ে উঠেছে। আশির দশকের আ্যডিডাস ক্যাম্পাস শুই স্নিকারস নাম নিয়ে এক দশক ধরে চলছে ফ্যাশন ট্রেন্ডে। ছেলেমেয়ে উভয়ই পেয়ার আপের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিচ্ছেন কনট্রাস্ট কালারকে। এখানেও সত্তর এবং আশির দশকের রক, পপ এবং পাঙ্ক ফ্যাশনের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে কিছুটা ভিন্নভাবে।
ট্রেন্ডের সঙ্গে তাল মেলানোর পাশাপাশি আবহাওয়ার বিষয়টিও প্রাধান্য পাচ্ছে। এ জন্য প্রিন্টেড, কিউবান, অ্যালোহা শার্টের কদর বেড়েছে ক্যাজুয়াল ফ্যাশনে। একই সঙ্গে সলিড রঙের শার্টগুলো বরাবরের মতো জায়গা পাবে তালিকায়। সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে স্ট্রাইপ। এগুলোর সঙ্গে পেয়ার আপ করা যেতে পারে চিনোস, জিনস, জগার ইত্যাদি প্যান্ট।
শর্টস, স্ট্রাইপড শার্ট আর হ্যাট- দারুণ কম্বিনেশন
সাদা সামার জিন্স বা গ্যাবার্ডিন প্যান্টস ও শর্টস দুটোরই ট্রেন্ড চলছে। শর্টসের সঙ্গে পোলো বা টি-শার্ট পেয়ার আপ করা যেতে পারে। রঙিন পোলো টি-শার্টের সঙ্গে শর্টসের পেয়ার আপ বেশ আরামদায়ক। জুতার ক্ষেত্রে সাদা স্নিকার, চেলসি বুট, ডাবল মঙ্ক স্ট্র্যাপস, সিনথেটিক ব্রোগ শু মানানসই। পেয়ার করার ক্ষেত্রে নিজের রুচি ও পছন্দের প্রাধান্য দিলেই চলবে।
অ্যাকসেসরিজ পেয়ার আপটাও করা উচিত পোশাকের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। এ ক্ষেত্রে সানগ্লাস যেন আবশ্যক। ওয়েফারা, এভিয়েটর, রাউন্ড ফ্রেম, ক্লাবমাস্টার, ক্লিয়ার ফ্রেম—এগুলোর যেকোনোটি যোগ করতে পারেন নিজের মুখের গড়ন ও আকার অনুযায়ী।
অ্যাকসেসরিজে যোগ হয়েছে বিডেড ব্রেসলেট
অ্যাকসেসরিজের মধ্যে আরও যোগ করা যেতে পারে সাসপেন্ডার, ব্রেইডেড মেটাল আর বিডেড ব্রেসলেট। আবার হ্যাটও থাকতে পারে লিস্টে। হোমবর্গ ফেডোরা, বোটার, গলফ ক্যাপ ইত্যাদি। চলতি সময়ের সামার ফ্যাশনের মজার ব্যাপার হচ্ছে আউটফিটগুলো হয় রঙিন, নয় শুভ্র। আবার রং নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করার সুযোগও রয়েছে। এককথায় স্টাইল স্টেটমেন্ট হতে হবে সিম্পল, কমফোর্টেবল অ্যান্ড ইজি টু পুল অফ।