সৌন্দর্যচর্চার অন্যতম উপকরণ হতে পারে বসন্তের নানা রকম ফুল। কয়েকটির খোঁজ জানালেন রূপ বিশেষজ্ঞ শারমিন কচি।
গাঁদা
গাঁদা ফুল ত্বকের বন্ধু। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিসেপটিক উপাদান যেকোনো রকমের ছোটখাটো কাটা অথবা পোড়া দাগ সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা ঝুলে যাওয়া ত্বক ঠিক করে। মরা কোষ দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করে। রোদে পোড়া ত্বকের জন্যও গাঁদা ফুল উপকারী। গাঁদা ফুলকে স্ক্র্যাব, ফেসওয়াশ কিংবা ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। কিছুটা টক দই, গোলাপজল এবং লেবুর রসের সঙ্গে গাঁদা ফুলের পাপড়ি মিশিয়ে ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। দারুণ কাজ দেবে।
এ সময়ের রূপচর্চায় ফুলের ব্যবহার করতে পারেন
জুঁই
একমুঠো জুঁই ফুল পানিতে ফুটিয়ে নিন। পানি ছেঁকে পাত্রে রাখুন। জুঁই ফুলগুলো আলাদা বেটে টক দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। পরে জুঁই ফুল ফোটানো পানি আরও ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। সংবেদনশীল ত্বকের জন্য প্যাকটি খুবই ভালো।
নয়নতারা
এ ফুলের বিভিন্ন খনিজ রং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। ফুলের পাপড়িগুলো খুব ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর পানিতে চার মিনিট সেদ্ধ করে পেস্ট করুন। সঙ্গে দিতে পারেন টক দই আর মধু। চাইলে নয়নতারার পাপড়ি পানিতে ফুটিয়ে যেকোনো ত্বকের প্যাকের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করা যায়। তবে এটা সংবেদনশীল ত্বকের জন্য উপযুক্ত নয়।
বাড়িতেই বানাতে পারেন প্যাক
ডালিয়া
যদি কারও মুখে ব্রণ থাকে, তবে ডালিয়ার অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টি–ছত্রাক উপাদান তা সারিয়ে তোলে। কয়েকটি ফুলের পাপড়ির সঙ্গে গুঁড়া দুধ, টক দই, মধু ও গাজরকুচি একসঙ্গে পেস্ট করে ত্বকে লাগাতে পারেন। এ প্যাক ত্বকের মলিন ভাব দূর করে। যাঁদের ব্রণের সমস্যা আছে, তাঁরা সপ্তাহে দুদিন এ প্যাক ব্যবহার করুন।
সুগন্ধি যেকোনো দেশি ফুল
সুগন্ধি যেকোনো দেশি ফুল শুকিয়ে পানিতে ফুটিয়ে নেওয়ার পর ছেঁকে সুগন্ধি টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। বসন্তের ফুলের সুগন্ধি টোনার আপনার মনেরও যত্ন নেবে।
সতর্কতা
প্যাক তৈরির আগে ফুল ভালো করে ধুয়ে নেওয়া জরুরি।
ফুল কখনোই সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা উচিত নয়। অবশ্যই অন্য কোনো ত্বকবান্ধব উপাদানের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে।
ফুলের তৈরি প্যাক টাটকা অবস্থায় ব্যবহার করুন। বেশি সময় রেখে দিলে ছত্রাক জন্ম নিতে পারে, যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।
ফুলের তৈরি ফেসপ্যাক মুখে লাগানোর আগে সামান্য একটু নিয়ে কনুই কিংবা কানের লতির পেছনে ব্যবহার করে দেখুন। কোনো রকম অ্যালার্জি দেখা না দিলে তবেই সেই ফেসপ্যাক ব্যবহার করা ভালো।
[FA]pen[/FA] লেখক: সুরাইয়া নাজনীন, ঢাকা