রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান কাম্য
পার্শ্ববর্তী আরাকান রাজ্যের বাঙ্গালী মুসলিম ভাই-বোনেরা বারবার নির্যাতনের শিকার হয়েছে। মিয়ানমারের সরকারী ও বিরোধী দলীয় রাখাইন মগ দস্যুরা এবং নাসাকা পুলিশ বাহিনী সম্মিলিতভাবে পোড়ামাটি নীতি অনুসরণ করে রোহিঙ্গা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছিলো গত ৮ই জুন ২০১২, শুক্রবার থেকে। যুলুম ও অত্যাচারের এমন কোন দিক নেই, যা এই নরপশুরা চালিয়নি নিরীহ মযলূম মুসলমানদের উপরে। ফলে ১৯৪২, ১৯৭৮, ১৯৯২ ও ২০১২ মতো তারা আবারও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার হ’ল। বিগত দিনেও তারা প্রতিবেশী বাংলাদেশ-এর টেকনাফ অঞ্চলে আশ্রয়ের জন্য ছুটে এসেছিলো। এবারও স্বাভাবিকভাবে তারা এদেশমুখী হয়েছে। সর্বস্বহারা মানুষগুলো যখন বাঁচার আশায় নৌকায় ভেসে পরিবার নিয়ে বাংলাদেশী দ্বীপগুলোর দিকে ছুটছে, তখন বর্বর বর্মী সেনাবাহিনী তাদেরকে নৌকাসহ ডুবিয়ে মেরেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের আধা সামরিক বাহিনী বিজিবি তাদেরকে প্রথমদিকে ফিরিয়ে দিলেও পরবর্তীতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের সুযোগ করে দিয়েছিলো। এটা শুধু মানবিক কারনেই তারা তথা সরকার করতে বাধ্য হয়েছিলো। অসহায় রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোটা ছিলো মানবতার পাশে দাঁড়ানোরই নামান্তর । সীমাহীন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে নিজ রাজ্য আরাকান ছেড়ে ক্ষুধার্ত তৃষ্ণার্ত মানুষগুলি যখন বাংলাদেশের দিকে ছুটে আসে তখন এভাবেই সাগরে ভেসে বেড়াচ্ছিলো অথবা ডুবে মরছিলো তারা। সভ্য সমাজে এদৃশ্য কল্পনাতীত। বিগত দিনে বাংলাদেশ কখনো তাদের তাড়িয়ে দেয়নি। বরং আশ্রয় দিয়েছে নিঃসন্দেহে মানবিক কারণে। সেক্ষেত্রে বলতে হয়, অসহায় ডুবন্ত মানুষকে বাঁচানোই প্রথম কাজ, তাকে নিয়ে রাজনীতি করা কাজ নয়। আর এই উদারতা প্রদর্শন করে বাংলাদেশ পুরো বিশ্বকে বুঝিয়ে দিয়েছে নির্যাতীতদের নিয়ে বাংলাদেশ রাজনীতি করে না। পৃথিবীর সকল দেশ প্রতিবেশী দেশের নির্যাতিত আশ্রয়প্রার্থীদের আশ্রয় দিয়ে থাকে। আমাদের জনগণও বিগত দিনে ভারতে এবং বর্তমান সময়ে ইরাক, লিবিয়া ও অন্যান্য হাঙ্গামাপূর্ণ দেশ থেকে পার্শ্ববর্তী দেশসমূহে আশ্রয় নিয়েছে।
পার্শ্ববর্তী আরাকান রাজ্যের বাঙ্গালী মুসলিম ভাই-বোনেরা বারবার নির্যাতনের শিকার হয়েছে। মিয়ানমারের সরকারী ও বিরোধী দলীয় রাখাইন মগ দস্যুরা এবং নাসাকা পুলিশ বাহিনী সম্মিলিতভাবে পোড়ামাটি নীতি অনুসরণ করে রোহিঙ্গা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছিলো গত ৮ই জুন ২০১২, শুক্রবার থেকে। যুলুম ও অত্যাচারের এমন কোন দিক নেই, যা এই নরপশুরা চালিয়নি নিরীহ মযলূম মুসলমানদের উপরে। ফলে ১৯৪২, ১৯৭৮, ১৯৯২ ও ২০১২ মতো তারা আবারও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার হ’ল। বিগত দিনেও তারা প্রতিবেশী বাংলাদেশ-এর টেকনাফ অঞ্চলে আশ্রয়ের জন্য ছুটে এসেছিলো। এবারও স্বাভাবিকভাবে তারা এদেশমুখী হয়েছে। সর্বস্বহারা মানুষগুলো যখন বাঁচার আশায় নৌকায় ভেসে পরিবার নিয়ে বাংলাদেশী দ্বীপগুলোর দিকে ছুটছে, তখন বর্বর বর্মী সেনাবাহিনী তাদেরকে নৌকাসহ ডুবিয়ে মেরেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের আধা সামরিক বাহিনী বিজিবি তাদেরকে প্রথমদিকে ফিরিয়ে দিলেও পরবর্তীতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের সুযোগ করে দিয়েছিলো। এটা শুধু মানবিক কারনেই তারা তথা সরকার করতে বাধ্য হয়েছিলো। অসহায় রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোটা ছিলো মানবতার পাশে দাঁড়ানোরই নামান্তর । সীমাহীন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে নিজ রাজ্য আরাকান ছেড়ে ক্ষুধার্ত তৃষ্ণার্ত মানুষগুলি যখন বাংলাদেশের দিকে ছুটে আসে তখন এভাবেই সাগরে ভেসে বেড়াচ্ছিলো অথবা ডুবে মরছিলো তারা। সভ্য সমাজে এদৃশ্য কল্পনাতীত। বিগত দিনে বাংলাদেশ কখনো তাদের তাড়িয়ে দেয়নি। বরং আশ্রয় দিয়েছে নিঃসন্দেহে মানবিক কারণে। সেক্ষেত্রে বলতে হয়, অসহায় ডুবন্ত মানুষকে বাঁচানোই প্রথম কাজ, তাকে নিয়ে রাজনীতি করা কাজ নয়। আর এই উদারতা প্রদর্শন করে বাংলাদেশ পুরো বিশ্বকে বুঝিয়ে দিয়েছে নির্যাতীতদের নিয়ে বাংলাদেশ রাজনীতি করে না। পৃথিবীর সকল দেশ প্রতিবেশী দেশের নির্যাতিত আশ্রয়প্রার্থীদের আশ্রয় দিয়ে থাকে। আমাদের জনগণও বিগত দিনে ভারতে এবং বর্তমান সময়ে ইরাক, লিবিয়া ও অন্যান্য হাঙ্গামাপূর্ণ দেশ থেকে পার্শ্ববর্তী দেশসমূহে আশ্রয় নিয়েছে।