ফাতাওয়া জাহাঁদারী :
বিশ্ব সম্পর্কিত জিজ্ঞাসার জওয়াব সমৃদ্ধ ‘ফাতাওয়া-ই জাহাঁদারী’ মূলত রাজনৈতিক বিষয় সম্বলিত গ্রন্থ। গ্রন্থটির রচয়িতা ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত ইতিহাসবিদ যিয়াউদ্দীন বারানী (১২৮৫-১৩৫৭ খৃঃ)। অবশ্য এখানে তিনি ‘ফৎওয়া’ শব্দকে কিছুটা ভিন্ন অর্থে ব্যবহার করেছেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে রাজনীতিকে ধর্ম হতে পৃথক ও স্বতন্ত্র কোনও বিষয় বলে বিবেচনা করতেন না; বরং তাঁর আকাংখা ছিল যে, রাজনৈতিক ও সামাজিক সমস্যাবলীর সমাধান খুঁজে বের করার জন্য যেন প্রাচীন জীবন-বিধানের অনুসরণ করা হয়। তাই এই গ্রন্থে তিনি কুরআন, হাদীছ ও খুলাফায়ে রাশেদীনের পথনির্দেশের আলোকে সমাজ ও রাষ্ট্রনীতি বিচার-বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছেন। ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনীতি ও সামাজিক সমস্যার সমাধানে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ। (ইসলামী বিশ্বকোষ ১৪/৫৬৪-৫৬৫।)
ফাতাওয়া নাযীরিয়া :
‘শায়খুল কুল ফিল কুল’ ও ‘রঈসুল মুহাদ্দিছীন ওয়াল মুফাসসিরীন ওয়াল ফুকাহা’ উপাধিতে খ্যাত মিয়াঁ নাযীর হুসাইন দেহলভীর অনবদ্য রচনা হল ‘ফাতাওয়া নাযীরিয়া’। যা তাঁর সারাজীবনের সাধনার ইলমী ফসল। মিয়াঁ সাহেবের মৃত্যুর পরে তদীয় খ্যাতিমান ছাত্র মাওলানা শামসুল হক্ব আযীমাবাদী (১৮৫৭-১৯১১ খৃঃ) ও মাওলানা আব্দুর রহমান মুবারকপুরী (১৮৮৫-১৯৩৫ খৃঃ)-এর সংশোধনী ও মাওলানা শারফুদ্দীন দেহলভী (মৃঃ ১৯৬১ খৃঃ) কর্তৃক সংক্ষিপ্ত সংযোজনীসহ ১৯১৫ খৃষ্টাব্দে দু’খন্ডে ‘ফাতাওয়া নাযীরিয়াহ’ সর্বপ্রথমপ্রকাশিত হয়। পরে দিল্লী থেকে ১৯৮৮ সালে ৩খন্ডে ফাতাওয়া নাযীরিয়া প্রকাশিত হয়, যাতে মোট অধ্যায় রয়েছে ৫৯টি এবং ফৎওয়া ৮০৬টি। ফতাওয়া নাযীরিয়ার প্রথম বৈশিষ্ট্য হল এটি কোন আহলেহাদীছ আলেম রচিত সর্বপ্রথম ‘ফৎওয়া সংকলন’। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এখানে মাযহাবী ফিকহের পরিবর্তে সর্বত্র পবিত্র কুরআন ও হাদীছ হতে দলীল প্রদান করা হয়েছে। সাথে সাথে ছাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈ ও প্রসিদ্ধ ইমামগণের মত প্রকাশ করা হয়েছে। তবে কোন কোন সময় ফৎওয়া জিজ্ঞেসকারীর মাযহাব অনুপাতেও ফৎওয়া প্রদান করা হয়েছে। উর্দূ ভাষায় রচিত এই ফৎওয়া সংকলনটি আজও ফৎওয়ার আঙ্গিনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ রেফারেন্স হিসাবে সমাদৃত। (ফাতাওয়া নাযীরিয়া (দিল্লী : নূরুল ঈমান প্রকাশনী, ১৯৮৮), পৃঃ ৫; তারাজিমে ওলামায়ে হাদীছ হিন্দ, পৃঃ ১৪৯; আহলেহাদীছ আন্দোলন, পৃঃ ৩৩৪-৩৫।)
বিশ্ব সম্পর্কিত জিজ্ঞাসার জওয়াব সমৃদ্ধ ‘ফাতাওয়া-ই জাহাঁদারী’ মূলত রাজনৈতিক বিষয় সম্বলিত গ্রন্থ। গ্রন্থটির রচয়িতা ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত ইতিহাসবিদ যিয়াউদ্দীন বারানী (১২৮৫-১৩৫৭ খৃঃ)। অবশ্য এখানে তিনি ‘ফৎওয়া’ শব্দকে কিছুটা ভিন্ন অর্থে ব্যবহার করেছেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে রাজনীতিকে ধর্ম হতে পৃথক ও স্বতন্ত্র কোনও বিষয় বলে বিবেচনা করতেন না; বরং তাঁর আকাংখা ছিল যে, রাজনৈতিক ও সামাজিক সমস্যাবলীর সমাধান খুঁজে বের করার জন্য যেন প্রাচীন জীবন-বিধানের অনুসরণ করা হয়। তাই এই গ্রন্থে তিনি কুরআন, হাদীছ ও খুলাফায়ে রাশেদীনের পথনির্দেশের আলোকে সমাজ ও রাষ্ট্রনীতি বিচার-বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছেন। ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনীতি ও সামাজিক সমস্যার সমাধানে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ। (ইসলামী বিশ্বকোষ ১৪/৫৬৪-৫৬৫।)
ফাতাওয়া নাযীরিয়া :
‘শায়খুল কুল ফিল কুল’ ও ‘রঈসুল মুহাদ্দিছীন ওয়াল মুফাসসিরীন ওয়াল ফুকাহা’ উপাধিতে খ্যাত মিয়াঁ নাযীর হুসাইন দেহলভীর অনবদ্য রচনা হল ‘ফাতাওয়া নাযীরিয়া’। যা তাঁর সারাজীবনের সাধনার ইলমী ফসল। মিয়াঁ সাহেবের মৃত্যুর পরে তদীয় খ্যাতিমান ছাত্র মাওলানা শামসুল হক্ব আযীমাবাদী (১৮৫৭-১৯১১ খৃঃ) ও মাওলানা আব্দুর রহমান মুবারকপুরী (১৮৮৫-১৯৩৫ খৃঃ)-এর সংশোধনী ও মাওলানা শারফুদ্দীন দেহলভী (মৃঃ ১৯৬১ খৃঃ) কর্তৃক সংক্ষিপ্ত সংযোজনীসহ ১৯১৫ খৃষ্টাব্দে দু’খন্ডে ‘ফাতাওয়া নাযীরিয়াহ’ সর্বপ্রথমপ্রকাশিত হয়। পরে দিল্লী থেকে ১৯৮৮ সালে ৩খন্ডে ফাতাওয়া নাযীরিয়া প্রকাশিত হয়, যাতে মোট অধ্যায় রয়েছে ৫৯টি এবং ফৎওয়া ৮০৬টি। ফতাওয়া নাযীরিয়ার প্রথম বৈশিষ্ট্য হল এটি কোন আহলেহাদীছ আলেম রচিত সর্বপ্রথম ‘ফৎওয়া সংকলন’। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এখানে মাযহাবী ফিকহের পরিবর্তে সর্বত্র পবিত্র কুরআন ও হাদীছ হতে দলীল প্রদান করা হয়েছে। সাথে সাথে ছাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈ ও প্রসিদ্ধ ইমামগণের মত প্রকাশ করা হয়েছে। তবে কোন কোন সময় ফৎওয়া জিজ্ঞেসকারীর মাযহাব অনুপাতেও ফৎওয়া প্রদান করা হয়েছে। উর্দূ ভাষায় রচিত এই ফৎওয়া সংকলনটি আজও ফৎওয়ার আঙ্গিনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ রেফারেন্স হিসাবে সমাদৃত। (ফাতাওয়া নাযীরিয়া (দিল্লী : নূরুল ঈমান প্রকাশনী, ১৯৮৮), পৃঃ ৫; তারাজিমে ওলামায়ে হাদীছ হিন্দ, পৃঃ ১৪৯; আহলেহাদীছ আন্দোলন, পৃঃ ৩৩৪-৩৫।)