What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Other ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াসের ২০ বছর - জেনে নিন মজার ১০ তথ্য (1 Viewer)

TqSfGyl.jpg


অ্যাকশন সিনেমাপ্রেমীদের কাছে অতি প্রিয় এক সিনেমা সিরিজ ‘দ্য ফাস্ট অ্যান্ড দ্য ফিউরিয়াস’। বিশ্বজুড়ে আয়ের দিক থেকে এখন শীর্ষ দশে আছে এই সিরিজ। এই সিরিজে অভিনয় করে বছরের সেরা আয় করা তারকার তালিকায় ঠাঁই করে নিয়েছেন একাধিক অভিনেতা। সফল এই সিনেমা সিরিজটির জন্য আজ বিশেষ দিন। ২০০১ সালে ২২ জুন প্রথম মুক্তি পায় এই সিরিজের প্রথম পর্ব। এখন পর্যন্ত আটটি পর্ব মুক্তি পেয়েছে। ২৫ জুন বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বেই সিনেমাটির নবম পর্ব মুক্তি পাবে।

শুটিং থেকে শুরু করে মুক্তি পর্যন্ত অনেক ঘটনার জন্ম দিয়েছে ‘দ্য ফাস্ট অ্যান্ড দ্য ফিউরিয়াস’। সিনেমাটার সফলতার পরে সেই গল্পগুলো চাপা পড়ে গেছে। সেই আড়ালে থাকা ১০টি চমকপ্রদ তথ্য ‘দ্য ফাস্ট অ্যান্ড দ্য ফিউরিয়াস’–এর ভক্তদের জন্য তুলে ধরা হলো।

fLU8plu.jpg


‘দ্য ফাস্ট অ্যান্ড দ্য ফিউরিয়াস’–এর পোস্টার, ছবি: সংগৃহীত

যেভাবে জন্ম নিল ‘দ্য ফাস্ট অ্যান্ড দ্য ফিউরিয়াস’

নিউইয়র্কের অবৈধ গাড়ির রেস নিয়ে ১৯৯৮ সালে একটি প্রতিবেদন করে ম্যাগাজিন। প্রতিবেদনটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সেল পিকচার্সের নজরে পড়ে। সেই ঘটনার অনুপ্রেরণাতেই পরে সিনেমার গল্প লেখা হয়।

TUVNYR4.jpg


‘দ্য ফাস্ট অ্যান্ড দ্য ফিউরিয়াস’ সিনেমার একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

নাম নিয়ে বিপাকে

সিনেমাটির ওয়ার্কিং টাইটেল ছিল ‘রেসার-এক্স’, ‘রেডলাইন’ ও ‘রেস ওয়ারস’। কিন্তু কোনোটিই জুতসই লাগছিল না। পরে পছন্দ হয় ‘দ্য ফাস্ট অ্যান্ড দ্য ফিউরিয়াস’। কিন্তু একই নামে ১৯৫৪ সালে একটি সিনেমা হয়েছে। নামটি ব্যবহারের জন্য পরে সেই সিনেমার নাম, সিনেমাটির কিছু ফুটেজ কিনে নেয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান।

b7zZOkK.jpg


শুরুতে পল ওয়াকার বা ভিন ডিজেলের কথা ভাবেননি পরিচালক। ছবি: সংগৃহীত

পল ওয়াকার, ভিন ডিজেল কেউই ছিলেন না

ডমিনিকের চরিত্রটির জন্য প্রথমে মারিও লোপেজকে চেয়েছিলেন সিনেমাটির নির্মাতা রব কোহেন। ব্রায়ান ও’কনর চরিত্রটির জন্য মার্ক পল। গল্পের সঙ্গে মানানসই না হওয়ায় বারবার পরিবর্তন করতে হয় সিদ্ধান্ত। প্রথম দিকে কখনোই তারা ব্রায়ান চরিত্রে পল ওয়াকার, ডমিনিক চরিত্রে ভিন ডিজেলের কথা ভাবেননি। ঘটনাক্রমে তাঁরা সিনেমায় জায়গা করে নেন। পল ওয়াকার গল্প শুনেই রাজি হয়ে যান। ভিন ডিজেলকে রাজি করাতে বারবার চিত্রনাট্য পরিবর্তন করতে হয়েছে।

JitpY94.jpg


রেসের জন্য প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানকে ১ হাজার ৫০০ কার ম্যানেজ করতে হয়েছিল, ছবি: সংগৃহীত

অবৈধ রেসারের সমাগম

শুটিংয়ের জন্য প্রায় ২০০ দক্ষ রেসার দরকার ছিল। শুটিংয়ের আগে মাঝেমধ্যেই রাস্তায় অবৈধ রেসগুলো দেখতে যেতেন নির্মাতা। এভাবে বেশ কিছু রেসারের সঙ্গে পরিচিত হন। তাঁদের ম্যানেজ করে সিনেমায় কাজে লাগান। নিজেদের গাড়ি নিয়েই রেসে হাজির হন তাঁরা। রেসের জন্য প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানকে ১ হাজার ৫০০ কার ম্যানেজ করতে হয়েছিল।

R4EK51r.jpg


পল ওয়াকার ও জরদানা ব্রিস্টার, ছবি: সংগৃহীত

ব্যয় বনাম আয়

‘দ্য ফাস্ট অ্যান্ড দ্য ফিউরিয়াস’ সিনেমার বাজেট ছিল ৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার। সিনেমাটি ওই বছর আয় করে ২০ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এই সিরিজটির আয় এখন বিলিয়ন ডলারের ঘরে। ইউনিভার্সাল পিকচার্সের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় করা সিরিজ।

ewQhw4R.jpg


শুটিংয়ের সময় অফ স্ক্রিন ও অন স্ক্রিনে সমানতালে প্রেম করেছিলেন ভিন ডিজেল ও মিশেল রদ্রিগেজ। ছবি: সংগৃহীত

অফ স্ক্রিন ও অন স্ক্রিনে তুমুল প্রেম

সিনেমাটির শুটিংয়ের সময় চুটিয়ে প্রেম করছিলেন ভিন ডিজেল ও মিশেল রদ্রিগেজ। সিনেমাতেও তাঁরা একইভাবে প্রেম করেন। এক সাক্ষাৎকারে মিশেল জানান, ‘দ্য ফাস্ট অ্যান্ড দ্য ফিউরিয়াস’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় অফ স্ক্রিন ও অন স্ক্রিনে সমানতালে প্রেম করেছিলেন তাঁরা।

T2JxRCy.jpg


পল ওয়াকার, ছবি: সংগৃহীত

নাক ফাটিয়েছিলেন ভিন ডিজেল

একটি দৃশ্য অনুশীলন হচ্ছিল। ভিন ডিজেলকে মারপিট দেখিয়ে দিচ্ছিলেন একজন স্টান্টম্যান। ঘটনাক্রমে তাঁর একটি ঘুষি সেই স্টান্টমানের নাকে গিয়ে লাগে। ঘটনায় নাক ফেটে রক্ত পড়তে থাকে। এর পর থেকে সেই স্টান্টম্যানের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক হয়েছিল।

লাইসেন্স নেই, তবু রেসার

মিশেল রদ্রিগেজ ও জরদানা ব্রিস্টারের একাধিক ড্রাইভিংয়ের দৃশ্য ছিল। শুটিংয়ে গিয়ে দেখা গেল তাঁদের কোনো লাইসেন্সই নেই। পরে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে লাইসেন্স করে দেওয়া হয়।

dCKUnyN.jpg


‘দ্য ফাস্ট অ্যান্ড দ্য ফিউরিয়াস’ নির্মাতা রব কোহেন, ছবি: সংগৃহীত

যে সাতটি সিনেমা দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন নির্মাতা

গাড়ির রেসপ্রধান ‘রেবেল উইদাউট আ কজ’, ‘ডুয়েল’, ‘ম্যাড ম্যাক্স ২: দ্য রোড ওয়ারিয়র’, ‘পয়েন্ট ব্রেক’, ‘দ্য নিড ফর স্পিড’ ও ‘গ্র্যান্ড থেফ্ট অটো’। এই সিনেমাগুলো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ‘দ্য ফাস্ট অ্যান্ড দ্য ফিউরিয়াস’ নির্মাণে হাত দেন রব কোহেন।

সব শ্রেণির দর্শক ধরতে বাদ গেল দৃশ্য

সিনেমা নির্মাণের পর ‘মোশন পিকচার অ্যাসোসিয়েশন ফিল্ম রেটিং’-এ জমা দিতে হয়। তাদের রেটিং ঠিক করে দিত কোন বয়সীরা সিনেমাটি দেখতে পারবে। ‘দ্য ফাস্ট অ্যান্ড দ্য ফিউরিয়াস’ সিনেমার বেশ কিছু দৃশ্য ছিল প্রাপ্তবয়স্কদের উপযোগী। সব শ্রেণির দর্শকের উপযোগী করতে দৃশ্যগুলো বাদ দেওয়া হয়।
 
ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস ৭ পর্যন্ত দেখেছি। পল ওয়াকারকে অনেক মিস করি।
 
এই সিরিজের সকল ছবিই দেখেছি। ভালোই একশান। আগামী শেষ কিস্তি দেখার অপেক্ষা।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top