২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথম যখন ভারত যাই তখন মনে মনে ভাবছিলাম "ও মাই গড! ইন্ডিয়া যাবো! এতো উন্নত দেশ! এতো জোস লাইফস্টাইল।"
কারণ তখন বাংলাদেশীদের লাইফস্টাইল এতোটাই অনুন্নত ছিল যে ভারতকেই মনে হতো অনেক কিছু। সময়ের ব্যবধানে কিছু বছর পর এই ভারতকে আর আহামরি কিছু মনে হয় না। ভারত আর বাংলাদেশের লাইফস্টাইলে এখন কোন পার্থক্য নেই। বরং কিছু কিছু দিক থেকে ভারত থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে হয়তো।
বছর দশেক আগেও রেস্টুরেন্টে খাওয়া, ট্যুর দেওয়া ছিল উচ্চবিত্তদের লাইফ স্টাইল। মধ্যবিত্ত ছাত্র-ছাত্রীরাও এসবের নামটাও মুখে নিয়ে আসতে পারত না। রাজশাহীতে হাতেগোনা দু-একটা চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ছিল। সেখানেও তেমন ভিড় দেখিনি কখনো। ওসব ছিল আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। খাওয়া বা খাওয়ানোর জন্য আমাদের হাতে অপশন ছিল মোগলাই, সিঙ্গারা, জিলাপি এসব।
আর এখন? মধ্যবিত্ত তো দূরের কথা নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা প্রায়ই রেস্টুরেন্টে খাচ্ছে। কয়েক ডজন চাইনিজ রেস্টুরেন্ট হয়েছে রাজশাহীতে। ধুমিয়ে চলছে সবগুলো।
বাংলাদেশের লাইফস্টাইলে কতটা উন্নতি হয়েছে এটা এই ঘটনাগুলো চিন্তা করলেই বোঝা যায়। এর কারণ কী? অবশ্যই মানুষের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি যখন রাজশাহীতে পড়তে গিয়েছিলাম তখন আমার বাবার যতখানি বেতন ছিল তাতে আমাকে রাজশাহীতে পড়াতে এবং বাড়িতে সংসার চালাতে রীতিমতো হিমশিম খেয়ে যেত। এখন সংসার চালিয়ে কিছু টাকা সেভিংস হয়। তাই আমার স্টুডেন্ট লাইফ আর আমার ছোট বোনের স্টুডেন্ট লাইফের মধ্যে এইসব পার্থক্য বিরাজমান। আমি জীবনেও রেস্টুরেন্টে দামী খাবার খেতে পারিনি। কিন্তু আমার বোনদের বললে চলে সপ্তাহে ৩দিন রেস্টুরেন্টে না খেলে চলেই না।
সরকার দফায় দফায় সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়িয়েছে। সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন যখন বেড়েছে তখন বেসরকারি চাকুরীজীবীরাও বসে নেই। তাদেরও বেতন বেড়েছে। এখন ইন্ডিয়ার দিকে তাকালে মনে হয় ইন্ডিয়া তো সেই ১০বছর আগের মতই পড়ে রয়েছে। বরং ওদেরই কোনো আয় উন্নতি দেখিনা।
এখন বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দ্রব্যমূল্য সামান্য উঠা-নামা করলেও সেভাবে বাড়েনি। সেই আমলে মানুষের মাথাপিছু আয় চিন্তা করলে দ্রব্যমূল্য প্রচন্ড বেশি ছিল। একটা মধ্যবিত্ত পরিবার তখন পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে মাস পার করত। অথচ চালের দাম তখনও ৪০টাকা ছিল। আয়ের তুলনায় ব্যয়ের পরিমাণ কম না হলে মানুষ এরকম বিলাসবহুল লাইফস্টাইলে চলতে পারে না। মাঝখানে বিশ্ব অর্থমন্দায় যখন পুরো বিশ্ব কেঁপে উঠেছিল বাংলাদেশের মানুষ বুঝতেই পারেনি। এসব উন্নতি যদি কারো চোখে না পড়ে তবে সে কাঠের চশমা চোখে দিয়ে ঘুরে বেড়ায়। বাংলাদেশ যে উন্নয়নের রোল মডেল এটা ট্রল করার জিনিস না। গত দশ বছরে বাংলাদেশের মানুষের যে পরিমাণ লাইফ স্টাইলে পরিবর্তন এসেছে তা স্পস্টত দেখা যায়। সরকারি সাহায্য না থাকলে শুধুমাত্র ব্যক্তি পর্যায়ে পরিশ্রমে কখনো এটা সম্ভব নয়।
দেশের প্রায় অধিকাংশ মানুষই চোর জোচ্চর। এই চোর জোচ্চোর গুলোর মধ্যে যারা একটু কম তাদেরকেই সাপোর্ট করি। চোর জোচ্চুরী করেও যাদের দ্বারা তুলনামূলকভাবে একটু উন্নয়ন বেশি হচ্ছে। আজ যদি বাংলাদেশের মানুষ এবং রাজনৈতিক নেতারা একটু সৎ হতো তবে দেশটা আসলেই সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড হয়ে যেতো। কিন্তু দুর্নীতি এই দেশের মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবাহমান। নোবডি ক্যান হেলপ ইট।
কারণ তখন বাংলাদেশীদের লাইফস্টাইল এতোটাই অনুন্নত ছিল যে ভারতকেই মনে হতো অনেক কিছু। সময়ের ব্যবধানে কিছু বছর পর এই ভারতকে আর আহামরি কিছু মনে হয় না। ভারত আর বাংলাদেশের লাইফস্টাইলে এখন কোন পার্থক্য নেই। বরং কিছু কিছু দিক থেকে ভারত থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে হয়তো।
বছর দশেক আগেও রেস্টুরেন্টে খাওয়া, ট্যুর দেওয়া ছিল উচ্চবিত্তদের লাইফ স্টাইল। মধ্যবিত্ত ছাত্র-ছাত্রীরাও এসবের নামটাও মুখে নিয়ে আসতে পারত না। রাজশাহীতে হাতেগোনা দু-একটা চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ছিল। সেখানেও তেমন ভিড় দেখিনি কখনো। ওসব ছিল আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। খাওয়া বা খাওয়ানোর জন্য আমাদের হাতে অপশন ছিল মোগলাই, সিঙ্গারা, জিলাপি এসব।
আর এখন? মধ্যবিত্ত তো দূরের কথা নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা প্রায়ই রেস্টুরেন্টে খাচ্ছে। কয়েক ডজন চাইনিজ রেস্টুরেন্ট হয়েছে রাজশাহীতে। ধুমিয়ে চলছে সবগুলো।
বাংলাদেশের লাইফস্টাইলে কতটা উন্নতি হয়েছে এটা এই ঘটনাগুলো চিন্তা করলেই বোঝা যায়। এর কারণ কী? অবশ্যই মানুষের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি যখন রাজশাহীতে পড়তে গিয়েছিলাম তখন আমার বাবার যতখানি বেতন ছিল তাতে আমাকে রাজশাহীতে পড়াতে এবং বাড়িতে সংসার চালাতে রীতিমতো হিমশিম খেয়ে যেত। এখন সংসার চালিয়ে কিছু টাকা সেভিংস হয়। তাই আমার স্টুডেন্ট লাইফ আর আমার ছোট বোনের স্টুডেন্ট লাইফের মধ্যে এইসব পার্থক্য বিরাজমান। আমি জীবনেও রেস্টুরেন্টে দামী খাবার খেতে পারিনি। কিন্তু আমার বোনদের বললে চলে সপ্তাহে ৩দিন রেস্টুরেন্টে না খেলে চলেই না।
সরকার দফায় দফায় সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়িয়েছে। সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন যখন বেড়েছে তখন বেসরকারি চাকুরীজীবীরাও বসে নেই। তাদেরও বেতন বেড়েছে। এখন ইন্ডিয়ার দিকে তাকালে মনে হয় ইন্ডিয়া তো সেই ১০বছর আগের মতই পড়ে রয়েছে। বরং ওদেরই কোনো আয় উন্নতি দেখিনা।
এখন বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দ্রব্যমূল্য সামান্য উঠা-নামা করলেও সেভাবে বাড়েনি। সেই আমলে মানুষের মাথাপিছু আয় চিন্তা করলে দ্রব্যমূল্য প্রচন্ড বেশি ছিল। একটা মধ্যবিত্ত পরিবার তখন পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে মাস পার করত। অথচ চালের দাম তখনও ৪০টাকা ছিল। আয়ের তুলনায় ব্যয়ের পরিমাণ কম না হলে মানুষ এরকম বিলাসবহুল লাইফস্টাইলে চলতে পারে না। মাঝখানে বিশ্ব অর্থমন্দায় যখন পুরো বিশ্ব কেঁপে উঠেছিল বাংলাদেশের মানুষ বুঝতেই পারেনি। এসব উন্নতি যদি কারো চোখে না পড়ে তবে সে কাঠের চশমা চোখে দিয়ে ঘুরে বেড়ায়। বাংলাদেশ যে উন্নয়নের রোল মডেল এটা ট্রল করার জিনিস না। গত দশ বছরে বাংলাদেশের মানুষের যে পরিমাণ লাইফ স্টাইলে পরিবর্তন এসেছে তা স্পস্টত দেখা যায়। সরকারি সাহায্য না থাকলে শুধুমাত্র ব্যক্তি পর্যায়ে পরিশ্রমে কখনো এটা সম্ভব নয়।
দেশের প্রায় অধিকাংশ মানুষই চোর জোচ্চর। এই চোর জোচ্চোর গুলোর মধ্যে যারা একটু কম তাদেরকেই সাপোর্ট করি। চোর জোচ্চুরী করেও যাদের দ্বারা তুলনামূলকভাবে একটু উন্নয়ন বেশি হচ্ছে। আজ যদি বাংলাদেশের মানুষ এবং রাজনৈতিক নেতারা একটু সৎ হতো তবে দেশটা আসলেই সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড হয়ে যেতো। কিন্তু দুর্নীতি এই দেশের মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবাহমান। নোবডি ক্যান হেলপ ইট।