Hey Ram (2000)
২০০০ সালে মুক্তি পায় কমল হাসান, ওম পুরি, শাহরুখ খান, নাসিরুদ্দিন শাহ অভিনীত "হে রাম". মূলত ৪৭ এর দেশ বিভাগের পর হিন্দু মুসলিম দাঙ্গার পটভূমিকায় তৈরী এবং কেন্দ্রীয় চরিত্র সাকেত রাম (কমল হাসান) কে সেখানে মূল ভূমিকায় রাখা হয়েছে যে কিনা পেশায় একজন প্রত্নতাত্ত্বিক কিন্তু ৪৭ এর দাঙ্গায় তার প্রথম স্ত্রীর (রানী মুখার্জি) মৃত্যুর পর সে এক চরমপন্থী দলের সঙ্গে যোগ দেয় এবং গান্ধীজি কে হত্যার উদ্বেগ নেয় (যদিও সেখান থেকে সে সরে আসে পরে)
সবই দেখানো হয় ফ্ল্যাশব্যাকে যখন শতবর্ষীয় সাকেত রাম মৃত্যুশয্যায় থাকে তখন সে চিন্তা করে তার যৌবন আর তার অতীত কে.
ছবিটি পরিচালনা, প্রযোজনা, চিত্রনাট্য সবই কমল হাসানের নিজেরই এবং এথেকে অবশ্যই বলা যেতে পারে যে তিনি একজন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী.
ছবিটি মূলত তামিল ভাষার হলেও এটি হিন্দি এবং ইংলিশেও ডাবিং করা হয় এবং আমি দেখেছিলাম হিন্দি ভার্সন তখন. সত্যি বলতে কি ছবিটি আমাকে একেবারে ঘোরাচ্ছন্ন করে রেখেছিলো! এতটা নিখুঁত দৃশ্যাবলী মনে হচ্ছিলো যেন এটা কোনো ছবি নয়, তৎকালীন সিসি ক্যামেরা দ্বারা ফুটেজ নেয়া হয়েছিল! সত্যি বলতে কি এতো নিখুঁত ৪৭ এর দাঙ্গা নিয়ে ছবি ইতিপূর্বে আর কোথাও আমার চোখে পড়েনাই.
ছবির শেষের একটা দৃশ্য যখন সাকেত রাম ১৯৮৯ সালে মৃত্যুশয্যায় এবং বাহিরে কারফিউয়ের ভেতর হিন্দু মুসলিম ভাগলপুর দাঙ্গা তখন সে একজন নার্সকে জিজ্ঞেস করে যে কি হচ্ছে বাহিরে? সে একটু খোলা হাওয়ায় যেতে চায়. তখন নার্স উত্তর দেয় "বাবুজি বাহিরে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা লেগেছে". সেটা শুনে সাকেত রাম দুঃখের শুরে বলে "আজো থামেনি!". তারপরেই সাকেত রাম ঢলে পরে মৃত্যুর কোলে. শেষের দৃশ্যে দেখায় যে গান্ধীজির পর নাতি তুষার গান্ধী আসে তার শেষকৃত্যে এবং সাকেত রামের নাতি তাকে তার দাদার ব্যাক্তিগত সংগ্রহশালা দেখায়.
ছবিটি দেখার পর আমার মনে হয়েছিল যে মনে হয় এর চেয়ে নিখুঁতভাবে আর তৈরী করা সম্ভব ছিলোনা আর আজো একটা আক্ষেপ যে কি কারণে কেন এই ছবিটা অস্কারে পাঠানো হলোনা আর হলেও কেনই বা এটা অস্কার জিততে পারলোনা!! উত্তর নেই.
এটি আমার জীবনে দেখা অন্যতম সেরা ছবি যা কিনা আমি বেশকবার দেখেছি.
যদি মনে করে থাকেন যে কোনোএকটা ঐতিহাসিক নির্ভর ছবি দেখতে চান তবে এইছবিটা দেখতে পারেন তবে হাঁ কিছু দৃশ্যাবলী অবশ্যই অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্যে নয়.
২০০০ সালে মুক্তি পায় কমল হাসান, ওম পুরি, শাহরুখ খান, নাসিরুদ্দিন শাহ অভিনীত "হে রাম". মূলত ৪৭ এর দেশ বিভাগের পর হিন্দু মুসলিম দাঙ্গার পটভূমিকায় তৈরী এবং কেন্দ্রীয় চরিত্র সাকেত রাম (কমল হাসান) কে সেখানে মূল ভূমিকায় রাখা হয়েছে যে কিনা পেশায় একজন প্রত্নতাত্ত্বিক কিন্তু ৪৭ এর দাঙ্গায় তার প্রথম স্ত্রীর (রানী মুখার্জি) মৃত্যুর পর সে এক চরমপন্থী দলের সঙ্গে যোগ দেয় এবং গান্ধীজি কে হত্যার উদ্বেগ নেয় (যদিও সেখান থেকে সে সরে আসে পরে)
সবই দেখানো হয় ফ্ল্যাশব্যাকে যখন শতবর্ষীয় সাকেত রাম মৃত্যুশয্যায় থাকে তখন সে চিন্তা করে তার যৌবন আর তার অতীত কে.
ছবিটি পরিচালনা, প্রযোজনা, চিত্রনাট্য সবই কমল হাসানের নিজেরই এবং এথেকে অবশ্যই বলা যেতে পারে যে তিনি একজন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী.
ছবিটি মূলত তামিল ভাষার হলেও এটি হিন্দি এবং ইংলিশেও ডাবিং করা হয় এবং আমি দেখেছিলাম হিন্দি ভার্সন তখন. সত্যি বলতে কি ছবিটি আমাকে একেবারে ঘোরাচ্ছন্ন করে রেখেছিলো! এতটা নিখুঁত দৃশ্যাবলী মনে হচ্ছিলো যেন এটা কোনো ছবি নয়, তৎকালীন সিসি ক্যামেরা দ্বারা ফুটেজ নেয়া হয়েছিল! সত্যি বলতে কি এতো নিখুঁত ৪৭ এর দাঙ্গা নিয়ে ছবি ইতিপূর্বে আর কোথাও আমার চোখে পড়েনাই.
ছবির শেষের একটা দৃশ্য যখন সাকেত রাম ১৯৮৯ সালে মৃত্যুশয্যায় এবং বাহিরে কারফিউয়ের ভেতর হিন্দু মুসলিম ভাগলপুর দাঙ্গা তখন সে একজন নার্সকে জিজ্ঞেস করে যে কি হচ্ছে বাহিরে? সে একটু খোলা হাওয়ায় যেতে চায়. তখন নার্স উত্তর দেয় "বাবুজি বাহিরে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা লেগেছে". সেটা শুনে সাকেত রাম দুঃখের শুরে বলে "আজো থামেনি!". তারপরেই সাকেত রাম ঢলে পরে মৃত্যুর কোলে. শেষের দৃশ্যে দেখায় যে গান্ধীজির পর নাতি তুষার গান্ধী আসে তার শেষকৃত্যে এবং সাকেত রামের নাতি তাকে তার দাদার ব্যাক্তিগত সংগ্রহশালা দেখায়.
ছবিটি দেখার পর আমার মনে হয়েছিল যে মনে হয় এর চেয়ে নিখুঁতভাবে আর তৈরী করা সম্ভব ছিলোনা আর আজো একটা আক্ষেপ যে কি কারণে কেন এই ছবিটা অস্কারে পাঠানো হলোনা আর হলেও কেনই বা এটা অস্কার জিততে পারলোনা!! উত্তর নেই.
এটি আমার জীবনে দেখা অন্যতম সেরা ছবি যা কিনা আমি বেশকবার দেখেছি.
যদি মনে করে থাকেন যে কোনোএকটা ঐতিহাসিক নির্ভর ছবি দেখতে চান তবে এইছবিটা দেখতে পারেন তবে হাঁ কিছু দৃশ্যাবলী অবশ্যই অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্যে নয়.