৭২
এভাবে সময় চলতে থাকল, বিয়ের একদিন আগে সকাল বেলা আমার দিদিমা দাদু মামা মামি মাসি মেসোমশাই তাদের ছেলে মেয়ে সকলেই চলে এলো। ঘরে ঢুকে দিদিমা ঠাকুমা ও ছোটকাকে দেখতে না দেখে মা জিজ্ঞেস করলো
দিদিমা – সে কিরে নমিতা তোর শ্বশুরী আর জামাইকে দেখছিনা,ওরা কি কাওকে নেমতন্ন করতে গেছে নাকি?
দিদিমার কথা শুনে মা আমার দিকে তাকিয়ে আমতা আমতা করতেছে দেখে আমি বললাম
আমি – আমি বলছি দিদিমা, আগে সবাই ঘরে এসে বসোতো।
আমার কথা শুনে সবাই ঘরে এসে বসতেই আমি পিসিকে মামাতো মাসতুতো ভাই বোনদের কে ছাতে নিয়ে যেতে বলে আমি দিদিমা আর দাদুর মাঝে গিয়ে বসে বলতে শুরু করলাম
আমি – আমার বিয়েতে যাতে না থাকতে পারে সেই জন্য পিসির বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি।
আমার কথা শেষ হতে না হতেই মা পিসেমশাই ছাড়া বাকি সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে একসাথে জিজ্ঞেস করলো – কেন?
আমি – আমি ভালো করেই জানি যে আজকে তোমাদের এই কেন এর উত্তর ঠিক মতো দিতে না পারলে আমি তোমাদের চুখে এত ছোট হয়ে যাব যে আর কোন দিন ওঠতে পারবো না।
দিদিমা – কারনটা কি আগে বলবি তো তারপর দেখা যাবে।
আমি – তাহলে শুন ( মার বিয়ের আগে থেকে আমার পিসির বাড়িতে যাওয়া পর্যন্ত যা যা হয়েছে সব বলে দিলাম) তাই আমি ওদের ঐ খানে পাঠিয়ে দিয়েছি, শুধু তাই নয় প্রথমে চিন্তা করেছিলাম তোমার মেয়েকে ও থাকতে দিবো না পরে আবার চিন্তা করে রেখে দিলাম।
আমার সব কথা শুনে এবার সবাই মায়ের দিকে অবাক হয়ে তাকালো দেখে মা তার মাথা নিচু করে ফেললো, দিদিমা কথা বলা শুরু করলেন
দিদিমা – ছি নমিতা তুই আমার ছোট টুকুনের সাথে এরম করতে পারলি? আমাকে ও তো বলতে পারতিস, আমি টুকুনকে বুঝাতাম নয়তো আমার কাছে নিয়ে যেতাম, তোদের কাজ দেখে টুকুন যদি ওল্টা পাল্টা কিছু করে ফেলতো তখন কি করতিস? তোরা আমার টুকুন সোনার সাথে এতো কিছু করেছিস জানলে আমি তোর বিয়েতে ও আসতাম না।
মা মাথা নিচু করে
মা – আমার মাথায় তখন কিছুই ঢুকছিলো না, একদিকে মার আর মুক্ষদার কথা অন্য দিকে শরীরে ক্ষিদা, সব চেয়ে বড় কথা লজ্জা। এতো কিছুর মাঝে আমি নিজের খেল হারিয়ে ফেলেছিলাম মা। আমার মাথায় তখন এইটায় আসছিলো আমার শ্বাশুড়ী যা করতেছে আমার আর টুকুনের ভালোর জন্য করতেছে, কে জানতো আমার শ্বাশুড়ী ভিতরে ভিতরে এতো ষড়যন্ত্র করতেছে শুধু আমার জমি গুলো জন্য।
আমি মনে মনে বলি বিয়ের আগের কথা শুনে এই অবস্থা আর বিয়ের পরের গুলো শুনলে যে দিদিমা মাকে কি করতো, দিদিমা মাকে আরো কিছু বলতে যাচ্ছিলো দেখে আমি বলে উঠলাম
আমি – যা হবার হয়ে গেছে বাদ দাও দিদিমা, এখন আমার বিয়েতে সবারই মিলে মজা করি।(মেজকাকিকে ঢাক দিয়ে ) এদিকে এসো।
মেজকাকি আমাদের কাছে এসে একে একে বড়দের কে প্রণাম করতে লাগলাম, প্রণাম শেষ হলে দিদিমা মেজকাকিকে আমার পাশে বসিয়ে সবাইকে বললো
দিদিমা – দেখেছ কি দারুণ মানিয়েছে ওদেরকে। (মার দিকে তাকিয়ে) এতোগুলো খারাপের মধ্যে একটা ভালো কাজ করেছিস সেই জন্য তোকে ক্ষমা করে দিলাম।
বলে মাকে জরিয়ে ধরলেন, দিদিমার কথা শুনে সবাই হো হো করে হাঁসতে লাগলো। তারপর দিদিমা সবাইকে কি কি করতে হবে তা বুঝিয়ে দিলেন
এরপর যে যার কাজে লেগে গেল। আমার বিয়ে তাই দিদিমা আমাকে কোন কাজ দেন নায়, আমি ঘুরে ঘুরে সবার কাজ দেখতে ছিলাম। বাড়ি ঘুরে ঘুরে দেখলাম বাড়ির উঠোনে বিয়ের মন্ড তৈরি করা হচ্ছে আর নেমতন্ন করা আত্মীয় সজনদের খাওয়ানোর জন্য ছাতে প্যান্ডেল বাঁধা হয়েছে। মায়ের বিয়ের মত বাড়ির সামনে মাচা গেট করা হয়েছে তার সাথে টুনি দিয়ে পুরো বাড়ি লাইটিং দিয়ে সাজানো হয়েছে। বিয়ের ছবি ও ভিডিও করার জন্য মা ফটোগ্রাফার ও ভাড়া করেছে। বুঝলাম মা আমার বিয়েতে কোন কিছুর কমতি রাখবে না যাতে আমি পরে মাকে কিছু বলতে না পারি, মায়ের সব আয়োজন দেখে আমিও খুব খুশি। বিকেলের দিকে সব কাজ শেষ হয়ে গেল আর মেজকাকির পরিবারও চলে, সবাই মিলে হাসি ঠাট্টা মজা করে বাকি কাজ করে দিন কাটিয়ে দিলাম। যেহেতু কাল বিকেল বেলায় বিয়ে তাই আজ থেকেই শুরু হয়ে গেল আমার বিয়ের আচার অনুষ্ঠান, বর কনে একি বাড়িতে থাকায় অনেক আচার অনুষ্ঠান কমে গেল যেমন পাটিপত্র ও পানখিলের মত আচার। আজকে আমার আর মেজকাকির উপবাস, যেইটা চলবে ভোর পর্যন্ত শুধু মিষ্টি জিনিসই খেতে পারবো এই সময়টায়। ভোর বেলায় মা দিদিমা মাসি পিসি মিলে আমাকে ধই চিরা খাওয়ায়ে দধিমঙ্গলের আচার করলো। সকালে মা মেজকাকির ঘরে গিয়ে শঙ্খকঙ্কন করে আসলো, তারপর দুপুরে প্রথমে আমার ও পারে মেজকাকির গায়ে হলুদের আচার হল, ঘরে গিয়ে নতুন কেনা গেঞ্জি জাঙিয়া আর ছোট পেন্ট পড়ে তার ওপর আমার শ্বশুর বাড়ি থেকে দেওয়া ধুতি পাঞ্জাবি পড়ে নিলাম, দেখতে দেখতে বিয়ের সময় এসে গেলো মা আমাকে কপালে সামান্য চন্দন লাগিয়ে মাথায় টোপর আর গলায় রজনীগন্ধা ও গোলাপ দিয়ে তৈরি মালা পড়িয়ে দিলো। তারপর মা দিদিমা দাদু বাকি বড়দের প্রণাম করে বঙ্কু ও ভাইদের নিয়ে মন্ডপের দিকে চলে গেলাম, মন্ডপের কাছে মেজকাকির মা একটা কুলোয় হলুদ, পানের পাতা, সুপুরি ও প্রদীপ নিয়ে আমাকে বরণ করে নিলো। এরপর মেজকাকির বাবা কাকারা আমাকে মন্ডপে নিয়ে বসিয়ে দিলেন যেখানে পুরোহিত আগে থেকেই পুজো ও মন্ত্র পাঠ করতেছিলেন। এরপর মেজকাকিকে পিঁড়িতে বসিয়ে আনা হল, তারপর শুভদৃস্টি, মালা বদল, সম্প্রদান, গাঁটছড়া বাঁধা, আগুনকে ঘিরে সাত পাকে বাঁধা, অঞ্জলি,মঙ্গলসূত্র বাঁধা, সিদুর দানের মতো একটা একটা করে বিয়ের সব আচার অনুষ্ঠান চলতে লাগলো। বিয়ে শেষে মেজকাকিকে নিয়ে যখন সদর দরজার কাছে গেলাম তখন দরজায় মা মেজকাকিকে বরণ করেন এরপরে মেজকাকি দরজার সামনে রাখা চাল ভর্তি পাত্র পা দিয়ে ফেলে দুধ আর আলতায় পা ডুবিয়ে ঘরে ঢুকে যায়। আমরা যখন ছাতে গেলাম তখন দেখি আমার ও মেজকাকির পরিবার ছাড়া আমাদের বিয়েতে আসা সব আত্মীয় সজনের খাওয়া শেষ হয়ে গেছে, তাই দুই পরিবার নতুন বর কনে সব খেতে বসে গেলাম। সবাব খাওয়া শেষ হলে শুরু হল ফটোসেশান, ফটোগ্রাফার বিভিন্ন এঙ্গেলে আমাদের ছবি তুলতে থাকলো, আমি বঙ্কুকে ঢেকে দুই পরিবারের সবাইকে নিয়ে আসতে বলে দিলাম। সবাই আসার পর আমি ফ্যামিলী ফটোর কথা বললে ফটোগ্রাফার তার হিসেব মত সবাইকে বসিয়ে ও দাঁড় করিয়ে দিল। মাঝে আমি ও মেজকাকি, আমার পাশে মা মায়ের কুলে টুনি দিদিমা দাদু আর বড়রা ও মেজকাকির পাশে তার পরিবারের বড়রা বসে আর বাকিরা সামনে পিছনে দাঁড়িয়ে গেলেন। ছবি তুলার পর আমি ফটোগ্রাফারকে এই ছবিটা বড় করে বাঁধিয়ে দিতে বললাম। ফটোসেশান পর্ব শেষ হতে হতে রাত হয়ে গেল, যেহেতু আজকে কালরাত্রি তাই আমাদের ফুলশয্যা হবে না, আজকে আমাদের আলাদা আলাদা থাকতে হবে।
এভাবে সময় চলতে থাকল, বিয়ের একদিন আগে সকাল বেলা আমার দিদিমা দাদু মামা মামি মাসি মেসোমশাই তাদের ছেলে মেয়ে সকলেই চলে এলো। ঘরে ঢুকে দিদিমা ঠাকুমা ও ছোটকাকে দেখতে না দেখে মা জিজ্ঞেস করলো
দিদিমা – সে কিরে নমিতা তোর শ্বশুরী আর জামাইকে দেখছিনা,ওরা কি কাওকে নেমতন্ন করতে গেছে নাকি?
দিদিমার কথা শুনে মা আমার দিকে তাকিয়ে আমতা আমতা করতেছে দেখে আমি বললাম
আমি – আমি বলছি দিদিমা, আগে সবাই ঘরে এসে বসোতো।
আমার কথা শুনে সবাই ঘরে এসে বসতেই আমি পিসিকে মামাতো মাসতুতো ভাই বোনদের কে ছাতে নিয়ে যেতে বলে আমি দিদিমা আর দাদুর মাঝে গিয়ে বসে বলতে শুরু করলাম
আমি – আমার বিয়েতে যাতে না থাকতে পারে সেই জন্য পিসির বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি।
আমার কথা শেষ হতে না হতেই মা পিসেমশাই ছাড়া বাকি সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে একসাথে জিজ্ঞেস করলো – কেন?
আমি – আমি ভালো করেই জানি যে আজকে তোমাদের এই কেন এর উত্তর ঠিক মতো দিতে না পারলে আমি তোমাদের চুখে এত ছোট হয়ে যাব যে আর কোন দিন ওঠতে পারবো না।
দিদিমা – কারনটা কি আগে বলবি তো তারপর দেখা যাবে।
আমি – তাহলে শুন ( মার বিয়ের আগে থেকে আমার পিসির বাড়িতে যাওয়া পর্যন্ত যা যা হয়েছে সব বলে দিলাম) তাই আমি ওদের ঐ খানে পাঠিয়ে দিয়েছি, শুধু তাই নয় প্রথমে চিন্তা করেছিলাম তোমার মেয়েকে ও থাকতে দিবো না পরে আবার চিন্তা করে রেখে দিলাম।
আমার সব কথা শুনে এবার সবাই মায়ের দিকে অবাক হয়ে তাকালো দেখে মা তার মাথা নিচু করে ফেললো, দিদিমা কথা বলা শুরু করলেন
দিদিমা – ছি নমিতা তুই আমার ছোট টুকুনের সাথে এরম করতে পারলি? আমাকে ও তো বলতে পারতিস, আমি টুকুনকে বুঝাতাম নয়তো আমার কাছে নিয়ে যেতাম, তোদের কাজ দেখে টুকুন যদি ওল্টা পাল্টা কিছু করে ফেলতো তখন কি করতিস? তোরা আমার টুকুন সোনার সাথে এতো কিছু করেছিস জানলে আমি তোর বিয়েতে ও আসতাম না।
মা মাথা নিচু করে
মা – আমার মাথায় তখন কিছুই ঢুকছিলো না, একদিকে মার আর মুক্ষদার কথা অন্য দিকে শরীরে ক্ষিদা, সব চেয়ে বড় কথা লজ্জা। এতো কিছুর মাঝে আমি নিজের খেল হারিয়ে ফেলেছিলাম মা। আমার মাথায় তখন এইটায় আসছিলো আমার শ্বাশুড়ী যা করতেছে আমার আর টুকুনের ভালোর জন্য করতেছে, কে জানতো আমার শ্বাশুড়ী ভিতরে ভিতরে এতো ষড়যন্ত্র করতেছে শুধু আমার জমি গুলো জন্য।
আমি মনে মনে বলি বিয়ের আগের কথা শুনে এই অবস্থা আর বিয়ের পরের গুলো শুনলে যে দিদিমা মাকে কি করতো, দিদিমা মাকে আরো কিছু বলতে যাচ্ছিলো দেখে আমি বলে উঠলাম
আমি – যা হবার হয়ে গেছে বাদ দাও দিদিমা, এখন আমার বিয়েতে সবারই মিলে মজা করি।(মেজকাকিকে ঢাক দিয়ে ) এদিকে এসো।
মেজকাকি আমাদের কাছে এসে একে একে বড়দের কে প্রণাম করতে লাগলাম, প্রণাম শেষ হলে দিদিমা মেজকাকিকে আমার পাশে বসিয়ে সবাইকে বললো
দিদিমা – দেখেছ কি দারুণ মানিয়েছে ওদেরকে। (মার দিকে তাকিয়ে) এতোগুলো খারাপের মধ্যে একটা ভালো কাজ করেছিস সেই জন্য তোকে ক্ষমা করে দিলাম।
বলে মাকে জরিয়ে ধরলেন, দিদিমার কথা শুনে সবাই হো হো করে হাঁসতে লাগলো। তারপর দিদিমা সবাইকে কি কি করতে হবে তা বুঝিয়ে দিলেন
এরপর যে যার কাজে লেগে গেল। আমার বিয়ে তাই দিদিমা আমাকে কোন কাজ দেন নায়, আমি ঘুরে ঘুরে সবার কাজ দেখতে ছিলাম। বাড়ি ঘুরে ঘুরে দেখলাম বাড়ির উঠোনে বিয়ের মন্ড তৈরি করা হচ্ছে আর নেমতন্ন করা আত্মীয় সজনদের খাওয়ানোর জন্য ছাতে প্যান্ডেল বাঁধা হয়েছে। মায়ের বিয়ের মত বাড়ির সামনে মাচা গেট করা হয়েছে তার সাথে টুনি দিয়ে পুরো বাড়ি লাইটিং দিয়ে সাজানো হয়েছে। বিয়ের ছবি ও ভিডিও করার জন্য মা ফটোগ্রাফার ও ভাড়া করেছে। বুঝলাম মা আমার বিয়েতে কোন কিছুর কমতি রাখবে না যাতে আমি পরে মাকে কিছু বলতে না পারি, মায়ের সব আয়োজন দেখে আমিও খুব খুশি। বিকেলের দিকে সব কাজ শেষ হয়ে গেল আর মেজকাকির পরিবারও চলে, সবাই মিলে হাসি ঠাট্টা মজা করে বাকি কাজ করে দিন কাটিয়ে দিলাম। যেহেতু কাল বিকেল বেলায় বিয়ে তাই আজ থেকেই শুরু হয়ে গেল আমার বিয়ের আচার অনুষ্ঠান, বর কনে একি বাড়িতে থাকায় অনেক আচার অনুষ্ঠান কমে গেল যেমন পাটিপত্র ও পানখিলের মত আচার। আজকে আমার আর মেজকাকির উপবাস, যেইটা চলবে ভোর পর্যন্ত শুধু মিষ্টি জিনিসই খেতে পারবো এই সময়টায়। ভোর বেলায় মা দিদিমা মাসি পিসি মিলে আমাকে ধই চিরা খাওয়ায়ে দধিমঙ্গলের আচার করলো। সকালে মা মেজকাকির ঘরে গিয়ে শঙ্খকঙ্কন করে আসলো, তারপর দুপুরে প্রথমে আমার ও পারে মেজকাকির গায়ে হলুদের আচার হল, ঘরে গিয়ে নতুন কেনা গেঞ্জি জাঙিয়া আর ছোট পেন্ট পড়ে তার ওপর আমার শ্বশুর বাড়ি থেকে দেওয়া ধুতি পাঞ্জাবি পড়ে নিলাম, দেখতে দেখতে বিয়ের সময় এসে গেলো মা আমাকে কপালে সামান্য চন্দন লাগিয়ে মাথায় টোপর আর গলায় রজনীগন্ধা ও গোলাপ দিয়ে তৈরি মালা পড়িয়ে দিলো। তারপর মা দিদিমা দাদু বাকি বড়দের প্রণাম করে বঙ্কু ও ভাইদের নিয়ে মন্ডপের দিকে চলে গেলাম, মন্ডপের কাছে মেজকাকির মা একটা কুলোয় হলুদ, পানের পাতা, সুপুরি ও প্রদীপ নিয়ে আমাকে বরণ করে নিলো। এরপর মেজকাকির বাবা কাকারা আমাকে মন্ডপে নিয়ে বসিয়ে দিলেন যেখানে পুরোহিত আগে থেকেই পুজো ও মন্ত্র পাঠ করতেছিলেন। এরপর মেজকাকিকে পিঁড়িতে বসিয়ে আনা হল, তারপর শুভদৃস্টি, মালা বদল, সম্প্রদান, গাঁটছড়া বাঁধা, আগুনকে ঘিরে সাত পাকে বাঁধা, অঞ্জলি,মঙ্গলসূত্র বাঁধা, সিদুর দানের মতো একটা একটা করে বিয়ের সব আচার অনুষ্ঠান চলতে লাগলো। বিয়ে শেষে মেজকাকিকে নিয়ে যখন সদর দরজার কাছে গেলাম তখন দরজায় মা মেজকাকিকে বরণ করেন এরপরে মেজকাকি দরজার সামনে রাখা চাল ভর্তি পাত্র পা দিয়ে ফেলে দুধ আর আলতায় পা ডুবিয়ে ঘরে ঢুকে যায়। আমরা যখন ছাতে গেলাম তখন দেখি আমার ও মেজকাকির পরিবার ছাড়া আমাদের বিয়েতে আসা সব আত্মীয় সজনের খাওয়া শেষ হয়ে গেছে, তাই দুই পরিবার নতুন বর কনে সব খেতে বসে গেলাম। সবাব খাওয়া শেষ হলে শুরু হল ফটোসেশান, ফটোগ্রাফার বিভিন্ন এঙ্গেলে আমাদের ছবি তুলতে থাকলো, আমি বঙ্কুকে ঢেকে দুই পরিবারের সবাইকে নিয়ে আসতে বলে দিলাম। সবাই আসার পর আমি ফ্যামিলী ফটোর কথা বললে ফটোগ্রাফার তার হিসেব মত সবাইকে বসিয়ে ও দাঁড় করিয়ে দিল। মাঝে আমি ও মেজকাকি, আমার পাশে মা মায়ের কুলে টুনি দিদিমা দাদু আর বড়রা ও মেজকাকির পাশে তার পরিবারের বড়রা বসে আর বাকিরা সামনে পিছনে দাঁড়িয়ে গেলেন। ছবি তুলার পর আমি ফটোগ্রাফারকে এই ছবিটা বড় করে বাঁধিয়ে দিতে বললাম। ফটোসেশান পর্ব শেষ হতে হতে রাত হয়ে গেল, যেহেতু আজকে কালরাত্রি তাই আমাদের ফুলশয্যা হবে না, আজকে আমাদের আলাদা আলাদা থাকতে হবে।