৬২
এরপর মেজকাকি প্রায় প্রতি সপ্তাহে ফোন করে আমার খোঁজ খবর নিত আর একবার এসে আমার সাথে দেখাও করে যায় , এভাবেই সময় চলতে থাকল। ৮ মাস পরে একদিন মেজকাকি ফোন করে বলল তোর বোন হয়েছে।
আমি – আমার মা ই বেঁচে নাই বোন পাব কোথায় থেকে।
মেজকাকি – কি বলছিস এই সব?
আমি – ঠিক ই বলছি, আর আমি তাদের বেপারে কোন কথা বলতে চায় না তোমার অন্য কিছু বলার থাকলে বল,
এ পরে মেজকাকি আর কোন কথা না বলে ফোন রেখে দেয়। দেখতে দেখতে আমার উচ্চমাধমিক পরীক্ষা শুরু হয়ে গেল, খুব ভাল ভাবে পরীক্ষা দিতে থাকলাম কিন্তুু শেষে দিকে এসে একটা ঝামেলা আসল, পিসি জানালো যে পিসেমশাই কে নাকি দুই মাসের জন্য বাড়ি থেকে দুরে অন্য একটা স্কুলে ট্রান্সফার করেছে। আমাকে একা রেখে পিসি যেতে চাচ্ছেন না আবার পিসেমশাই কেও একা যেতে দিচ্ছেন না, আমি পিসিকে বললাম তুমি পিসের সাথে যাও আমি একা থাকতে পরব কোন সমস্যা হবে আমার তো আর মাত্র তিনটে পরীক্ষা বাকি। অনেক বুঝনোর পর পিসি যেতে রাজি হলেন। দু’দিন পর সকালে পিসি ও পিসেমশাই চলে গেলেন তাদের নতুন স্কুলে, আমি তাদের বিদায় দিয়ে ঘরে এসে পড়তে বসলাম। কিছুখন পরে দরজার করা নারার শব্দ পেলাম, দরজা খোলে দেখি সামনে মেজকাকি ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তাকে দেখে আমি বললাম
আমি – একি কাকি তুমি? এই সময় এখানে?
মেজকাকি – ভিতরে আসতে দিবা নাকি এখানে দাঁড়িয়ে থাকব?
আমি – আরে এসো এসো। বলে কাকির হাত থেকে তার ব্যাগ নিয়ে তাকে ভিতরে আসার পর দরজা লাগিয়ে দিলাম।
কাকি ভিতরে এসে সোফায় বসল আর বলল
মেজকাকি – সিমা দিদি থেকে শুনলাম ওরা নাকি দুই মাসের জন্য চলে গেছে অন্য জায়গায় তাই চিন্তা করলাম তোমার একা একা কষ্ট হবে ভেবে চলে এলাম।
আমি – ধন্যবাদ, ভাল করেছ। আর মনে মনে ভাবলাম মেজকাকি সব সময় আমাকে তুই তুই করত কিন্তুু আজকে তুমি তুমি করতেছে কেন বুঝলাম না।
মেজকাকি – আমি কিন্তুু খালি হাতে আসি নাই তোমার জন্য উপহার ও নিয়ে এসেছি। বলে তার ব্যাগ থেকে একটা পেকেট আমাকে দিলেন।
আমি পেকেটটা নিয়ে খোলে দেখি ভিতরে একটা আমার পরিচত ছবির এলবাম আর একটা দলিল, আমি এলবাম টা খোলে দেখি আমার, মা, বাবার সব আগের ছবি গুলো। এলবাম রেখে দলিলটা নিয়ে পড়তে শুরু করলাম, দলিল পড়ে আমি ত পোড়া বেকুব হয়ে গেলাম। দলিলে আমার নামে বাবা সব জমি ত ছিলই সাথে মায়ের অর্ধেক জমিও ছিল, আমি দলিলটা রেখে মেজকাকির দিকে তাকতে দেখি মেজকাকি মুচকি মুচকি হাসতেছে পরে আমাকে বলল
মেজকাকি – আমি তোমার রেখে আসা চিঠিটা পড়েছি, তোমার কষ্ট আমি বুঝেছি, তোমার সব শর্ত ঠিক আছে কিন্তুু ৮ নম্বর টা কেন দিলে বুঝলাম না।
আমি – ( এখন বুঝলাম কাকি কেন আমাকে তুই থেকে তুমি বলতেছে) আচ্ছা মা কি তাহলে সবাইকে চিঠিটা দেখিয়েছে?.
মেজকাকি – না শুধু আমাকেই দেখিয়েছে।
আমি – তুমি যখন চিঠিটা পড়েছ তাহলে আমি তোমাকে বাকি সব খোলে বলব। তার আগে তুমি আমাকে বল যদি মা ৮ নম্বর শর্ত ছাড়া বাকি গুলো মেনে নেয় তাহলে তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে?
মেজকাকি – মাথা নিচু করে ছোট করে বলে হম করব।
আমি – তাহলে শুন আমি যখন বাড়িতে যায় তখন শুনতে পাই যে মায়ের সাথে আমাকে নিয়ে তোমার কি কথা হয়েছে, বিশ্বাস কর আমি তখনই রাজি হয়ে গেছিলাম, তারপর ও মা কি বলতে চায় তা শুনার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। ( তারপর ঐ রাতে মা কি করেছে আর কি বলেছে তা সব বললাম) এবার তুমিই বল আমি কি ভুল শর্ত দিয়েছি?
মেজকাকি – কি বল দিদি এরকম করতে পারল তোমার সাথে, দিদি কি পাগল হয়ে গেছে নাকি যে ছেলের সাথে এরকম করল।
আমি – কথায় আছে না না সংঘ দোষে লোহা ভাসে ঠিক ঐ রকম ই মায়ের সাথে হয়েছে, ঐ বেয়াদপ,নির্লজ্জ, পাগল পিকুকে বিয়ে করে মাও তার মত হয়ে গেছে। আচ্ছা সত্যি করে একটা কথা বলবে?
মেজকাকি – কি?
আমি – যদি মা ৮ নম্বর শর্ততে রাজি হয়ে যায় এবেপারে তোমার মতামত কি হবে?
মেজকাকি – সত্যি কথা বলতে কোন মেয়েই চাইনা যে কার সাথে তার স্বামী ভাগ করতে কিন্তুু আমি আমাদের পরিবারের ভালোর জন্য তা হাসি মুখে মেনে নেব।
মেজকাকি কথা শুনে আমার সোফা থেকে ওঠে মেজকাকির পাশে গিয়ে বসলাম আর তার কপালে একটা চুমু দিয়ে বললাম বিয়ের আগে এটাই পাবে আমার থেকে এর বেশি কিছু না, বাকি সব বিয়ের পরে হবে কারন আমি পিকু না যে জোর করে হলেও বল আমার সাথে তোমাকে শুতে হবে না হলে আমি পরীক্ষা দিব না।
মেজকাকি – বাদ দাও ত ঐ পাগলের কথা। আচ্ছা আমাদের বিয়ের পরে কি আমাকে তোমাট ঐ শর্ত গুলো মেনে চলতে হবে?
আমি – না, শুধু আমার সামনে ছাড়া তোমার খুশি মত সবার সাথে কথা বলতে পারবে।
মেজকাকি – জান দিদি না তোমার পরীক্ষা শুরু হওয়া আগেই ছাদের চিলেকোঠার ঘরটা ভেঙ্গে আমাদের জন্য ঘর বানানো কাজ শুরু করে দিয়েছে, এত দিনে হয়তো কাজ শেষ ও হয়ে গেছে হয়তো।
আমি – তাই নাকি ভালোই হয়েছে, আচ্ছা তুমি আমাকে সত্যি করে বলবে মা আসলে কি করতে চাচ্ছে?
মেজকাকি – দিদি চাচ্ছে আগের মত ভুল না করে ঘরের ছেলেকে তার কথা মত ঘরে রাখার জন্য, হয়তো পাশাপাশি থেকে তোমার মন পাল্টাবে সেই চিন্তা করে তোমার সব শর্ত মেনে নিয়েছে।
এরপর দুজনে মিলে দুপুরের খাবার খেয়ে মেজকাকিকে পিসির ঘরে পাঠিয়ে আমি আমার ঘরে পড়তে বসে গেলাম কারন দুই দিন পর আমার পরীক্ষা আছে। মেজকাকি একেবারে আমার বউয়ের মত করে সেবা করে চলছিল, এমন কি আমার কাপর ও গেঞ্জি জাঙিয়াটা পর্যন্ত কাচে দিচ্ছে। এভাবে দেখতে দেখতে দুটো পরীক্ষা দিয়ে ফেললাম, শেষ পরীক্ষার আগের পরীক্ষাটা দিয়ে যখন বাড়িতে ফিরলাম মেজকাকি দরজা খুলে দিল। দেখলাম মেজকাকি চেহারাটা মলিন হয়ে আছে বলে তাকে জিজ্ঞেস করলাম
আমি – কি হয়েছে কাকি, তোমার চেহারার এমন মলিন কেন?
মেজকাকি – বাড়ি থেকে ফোন এসেছিল, তোমার ঠাকুমার নাকি শরীর খারাপ তাই আমাকে যেতে বলছে।
আমি – ওওও এই কথা, যাও না আমাকে নিয়ে চিন্তা কর না আর মাত্র একটা পরীক্ষা বাকি তারপর আমি নিজে সব করে নিতে পারব।
মেজকাকি – কিন্তুু
আমি – কোন কিন্তুু নাই আমি বলেছি তুমি যাবে, আর আমি চাই না ঐ শয়তান বুড়ির কিছু হোক। তুমি বাড়িতে গিয়ে তার ভাল মত সেবা যত্ন করে সুস্থ কর তাকে আরো অনেক কিছুর দেখার বাকি আছে।
মেজকাকি – ঠিক আছে তুমি যখন এত করে বলছ তাহলে যাব।
আমি – তা কখন যাবে?
মেজকাকি – এইত দুপুরের খাওয়ার পর।
আমি – ঠিক আছে আমি তোমাকে গাড়িতে তুলে দিয়ে আসব।
দুপুরে খেয়ে মেজকাকিকে গাড়িতে তুলে দিয়ে আমি ঘরে এসে পড়তে বসে ভাবলাম আর তিন দিন পর আমার শেষ পরীক্ষা তার পর নতুন জীবন শুরু। রাত পর্যন্ত পড়ে রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরলাম। সকাল বেলা আবার পড়া শুরু করলাম যা দুপুর পর্যন্ত চলল, দুপুরে খেয়ে একটা ভাতঘুম দিলাম। ঘুমের মধ্যে শুনি কেও দরজায় কড়া নাড়াছে ভাবলাম হয়তো মেজকাকি ফিরে এসেছে , আমি উঠে গিয়ে দরজা খুলে আমি ত অবাক এখন কি করব বুঝতে পারলাম।
এরপর মেজকাকি প্রায় প্রতি সপ্তাহে ফোন করে আমার খোঁজ খবর নিত আর একবার এসে আমার সাথে দেখাও করে যায় , এভাবেই সময় চলতে থাকল। ৮ মাস পরে একদিন মেজকাকি ফোন করে বলল তোর বোন হয়েছে।
আমি – আমার মা ই বেঁচে নাই বোন পাব কোথায় থেকে।
মেজকাকি – কি বলছিস এই সব?
আমি – ঠিক ই বলছি, আর আমি তাদের বেপারে কোন কথা বলতে চায় না তোমার অন্য কিছু বলার থাকলে বল,
এ পরে মেজকাকি আর কোন কথা না বলে ফোন রেখে দেয়। দেখতে দেখতে আমার উচ্চমাধমিক পরীক্ষা শুরু হয়ে গেল, খুব ভাল ভাবে পরীক্ষা দিতে থাকলাম কিন্তুু শেষে দিকে এসে একটা ঝামেলা আসল, পিসি জানালো যে পিসেমশাই কে নাকি দুই মাসের জন্য বাড়ি থেকে দুরে অন্য একটা স্কুলে ট্রান্সফার করেছে। আমাকে একা রেখে পিসি যেতে চাচ্ছেন না আবার পিসেমশাই কেও একা যেতে দিচ্ছেন না, আমি পিসিকে বললাম তুমি পিসের সাথে যাও আমি একা থাকতে পরব কোন সমস্যা হবে আমার তো আর মাত্র তিনটে পরীক্ষা বাকি। অনেক বুঝনোর পর পিসি যেতে রাজি হলেন। দু’দিন পর সকালে পিসি ও পিসেমশাই চলে গেলেন তাদের নতুন স্কুলে, আমি তাদের বিদায় দিয়ে ঘরে এসে পড়তে বসলাম। কিছুখন পরে দরজার করা নারার শব্দ পেলাম, দরজা খোলে দেখি সামনে মেজকাকি ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তাকে দেখে আমি বললাম
আমি – একি কাকি তুমি? এই সময় এখানে?
মেজকাকি – ভিতরে আসতে দিবা নাকি এখানে দাঁড়িয়ে থাকব?
আমি – আরে এসো এসো। বলে কাকির হাত থেকে তার ব্যাগ নিয়ে তাকে ভিতরে আসার পর দরজা লাগিয়ে দিলাম।
কাকি ভিতরে এসে সোফায় বসল আর বলল
মেজকাকি – সিমা দিদি থেকে শুনলাম ওরা নাকি দুই মাসের জন্য চলে গেছে অন্য জায়গায় তাই চিন্তা করলাম তোমার একা একা কষ্ট হবে ভেবে চলে এলাম।
আমি – ধন্যবাদ, ভাল করেছ। আর মনে মনে ভাবলাম মেজকাকি সব সময় আমাকে তুই তুই করত কিন্তুু আজকে তুমি তুমি করতেছে কেন বুঝলাম না।
মেজকাকি – আমি কিন্তুু খালি হাতে আসি নাই তোমার জন্য উপহার ও নিয়ে এসেছি। বলে তার ব্যাগ থেকে একটা পেকেট আমাকে দিলেন।
আমি পেকেটটা নিয়ে খোলে দেখি ভিতরে একটা আমার পরিচত ছবির এলবাম আর একটা দলিল, আমি এলবাম টা খোলে দেখি আমার, মা, বাবার সব আগের ছবি গুলো। এলবাম রেখে দলিলটা নিয়ে পড়তে শুরু করলাম, দলিল পড়ে আমি ত পোড়া বেকুব হয়ে গেলাম। দলিলে আমার নামে বাবা সব জমি ত ছিলই সাথে মায়ের অর্ধেক জমিও ছিল, আমি দলিলটা রেখে মেজকাকির দিকে তাকতে দেখি মেজকাকি মুচকি মুচকি হাসতেছে পরে আমাকে বলল
মেজকাকি – আমি তোমার রেখে আসা চিঠিটা পড়েছি, তোমার কষ্ট আমি বুঝেছি, তোমার সব শর্ত ঠিক আছে কিন্তুু ৮ নম্বর টা কেন দিলে বুঝলাম না।
আমি – ( এখন বুঝলাম কাকি কেন আমাকে তুই থেকে তুমি বলতেছে) আচ্ছা মা কি তাহলে সবাইকে চিঠিটা দেখিয়েছে?.
মেজকাকি – না শুধু আমাকেই দেখিয়েছে।
আমি – তুমি যখন চিঠিটা পড়েছ তাহলে আমি তোমাকে বাকি সব খোলে বলব। তার আগে তুমি আমাকে বল যদি মা ৮ নম্বর শর্ত ছাড়া বাকি গুলো মেনে নেয় তাহলে তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে?
মেজকাকি – মাথা নিচু করে ছোট করে বলে হম করব।
আমি – তাহলে শুন আমি যখন বাড়িতে যায় তখন শুনতে পাই যে মায়ের সাথে আমাকে নিয়ে তোমার কি কথা হয়েছে, বিশ্বাস কর আমি তখনই রাজি হয়ে গেছিলাম, তারপর ও মা কি বলতে চায় তা শুনার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। ( তারপর ঐ রাতে মা কি করেছে আর কি বলেছে তা সব বললাম) এবার তুমিই বল আমি কি ভুল শর্ত দিয়েছি?
মেজকাকি – কি বল দিদি এরকম করতে পারল তোমার সাথে, দিদি কি পাগল হয়ে গেছে নাকি যে ছেলের সাথে এরকম করল।
আমি – কথায় আছে না না সংঘ দোষে লোহা ভাসে ঠিক ঐ রকম ই মায়ের সাথে হয়েছে, ঐ বেয়াদপ,নির্লজ্জ, পাগল পিকুকে বিয়ে করে মাও তার মত হয়ে গেছে। আচ্ছা সত্যি করে একটা কথা বলবে?
মেজকাকি – কি?
আমি – যদি মা ৮ নম্বর শর্ততে রাজি হয়ে যায় এবেপারে তোমার মতামত কি হবে?
মেজকাকি – সত্যি কথা বলতে কোন মেয়েই চাইনা যে কার সাথে তার স্বামী ভাগ করতে কিন্তুু আমি আমাদের পরিবারের ভালোর জন্য তা হাসি মুখে মেনে নেব।
মেজকাকি কথা শুনে আমার সোফা থেকে ওঠে মেজকাকির পাশে গিয়ে বসলাম আর তার কপালে একটা চুমু দিয়ে বললাম বিয়ের আগে এটাই পাবে আমার থেকে এর বেশি কিছু না, বাকি সব বিয়ের পরে হবে কারন আমি পিকু না যে জোর করে হলেও বল আমার সাথে তোমাকে শুতে হবে না হলে আমি পরীক্ষা দিব না।
মেজকাকি – বাদ দাও ত ঐ পাগলের কথা। আচ্ছা আমাদের বিয়ের পরে কি আমাকে তোমাট ঐ শর্ত গুলো মেনে চলতে হবে?
আমি – না, শুধু আমার সামনে ছাড়া তোমার খুশি মত সবার সাথে কথা বলতে পারবে।
মেজকাকি – জান দিদি না তোমার পরীক্ষা শুরু হওয়া আগেই ছাদের চিলেকোঠার ঘরটা ভেঙ্গে আমাদের জন্য ঘর বানানো কাজ শুরু করে দিয়েছে, এত দিনে হয়তো কাজ শেষ ও হয়ে গেছে হয়তো।
আমি – তাই নাকি ভালোই হয়েছে, আচ্ছা তুমি আমাকে সত্যি করে বলবে মা আসলে কি করতে চাচ্ছে?
মেজকাকি – দিদি চাচ্ছে আগের মত ভুল না করে ঘরের ছেলেকে তার কথা মত ঘরে রাখার জন্য, হয়তো পাশাপাশি থেকে তোমার মন পাল্টাবে সেই চিন্তা করে তোমার সব শর্ত মেনে নিয়েছে।
এরপর দুজনে মিলে দুপুরের খাবার খেয়ে মেজকাকিকে পিসির ঘরে পাঠিয়ে আমি আমার ঘরে পড়তে বসে গেলাম কারন দুই দিন পর আমার পরীক্ষা আছে। মেজকাকি একেবারে আমার বউয়ের মত করে সেবা করে চলছিল, এমন কি আমার কাপর ও গেঞ্জি জাঙিয়াটা পর্যন্ত কাচে দিচ্ছে। এভাবে দেখতে দেখতে দুটো পরীক্ষা দিয়ে ফেললাম, শেষ পরীক্ষার আগের পরীক্ষাটা দিয়ে যখন বাড়িতে ফিরলাম মেজকাকি দরজা খুলে দিল। দেখলাম মেজকাকি চেহারাটা মলিন হয়ে আছে বলে তাকে জিজ্ঞেস করলাম
আমি – কি হয়েছে কাকি, তোমার চেহারার এমন মলিন কেন?
মেজকাকি – বাড়ি থেকে ফোন এসেছিল, তোমার ঠাকুমার নাকি শরীর খারাপ তাই আমাকে যেতে বলছে।
আমি – ওওও এই কথা, যাও না আমাকে নিয়ে চিন্তা কর না আর মাত্র একটা পরীক্ষা বাকি তারপর আমি নিজে সব করে নিতে পারব।
মেজকাকি – কিন্তুু
আমি – কোন কিন্তুু নাই আমি বলেছি তুমি যাবে, আর আমি চাই না ঐ শয়তান বুড়ির কিছু হোক। তুমি বাড়িতে গিয়ে তার ভাল মত সেবা যত্ন করে সুস্থ কর তাকে আরো অনেক কিছুর দেখার বাকি আছে।
মেজকাকি – ঠিক আছে তুমি যখন এত করে বলছ তাহলে যাব।
আমি – তা কখন যাবে?
মেজকাকি – এইত দুপুরের খাওয়ার পর।
আমি – ঠিক আছে আমি তোমাকে গাড়িতে তুলে দিয়ে আসব।
দুপুরে খেয়ে মেজকাকিকে গাড়িতে তুলে দিয়ে আমি ঘরে এসে পড়তে বসে ভাবলাম আর তিন দিন পর আমার শেষ পরীক্ষা তার পর নতুন জীবন শুরু। রাত পর্যন্ত পড়ে রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরলাম। সকাল বেলা আবার পড়া শুরু করলাম যা দুপুর পর্যন্ত চলল, দুপুরে খেয়ে একটা ভাতঘুম দিলাম। ঘুমের মধ্যে শুনি কেও দরজায় কড়া নাড়াছে ভাবলাম হয়তো মেজকাকি ফিরে এসেছে , আমি উঠে গিয়ে দরজা খুলে আমি ত অবাক এখন কি করব বুঝতে পারলাম।