মহাদেবের মুল্লীবধ
"পাশ্মীর কড়চা" মাযহাবী ইরোটিকা সিরিজ
ওয়ানসিকপাপী (C) ২০২০
কট্টর হিন্দুত্ববাদী নতুন সরকারের অধীনে নয়া পাশ্মীরে বইছে পরিবর্তনের লু হাওয়া। পাশ্মীরী গুলাব - স্থানীয় মুসলমান আওরতদের বাধানিষেধের যঞ্জির ভাঙার সুপাঠ্য কাহিনী। লাইভ ফ্রম পাশ্মীর!
"পাশ্মীর কড়চা" মাযহাবী ইরোটিকা সিরিজ
ওয়ানসিকপাপী (C) ২০২০
কট্টর হিন্দুত্ববাদী নতুন সরকারের অধীনে নয়া পাশ্মীরে বইছে পরিবর্তনের লু হাওয়া। পাশ্মীরী গুলাব - স্থানীয় মুসলমান আওরতদের বাধানিষেধের যঞ্জির ভাঙার সুপাঠ্য কাহিনী। লাইভ ফ্রম পাশ্মীর!
বছর কয়েক কেটে গেছে পাশ্মীরের স্বায়ত্বশাসন রদ করে হিন্দুত্ববাদী লোদী সরকারের ক্ষমতা জবরদখলের। মুসলমান অধ্যুষিত পাশ্মীর রাজ্যের শাসনযন্ত্র এখন হিন্দুদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। মুসলিম বিধায়কদের হঠিয়ে দিয়ে রাজ্য সরকারের সকল পদ অধিকার করে নিয়েছে সনাতনী কর্মকর্তারা, এদের বেশিরভাগের যোগ্যতা হলো একটাই - এরা প্রায় সকলে হিন্দু আধিপত্যবাদী সংগঠন HSS তথা হিন্দু স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সদস্য। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশ পাশ্মীরে রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য এসব কট্টর হিন্দুরা বদ্ধপরিকর। লোদী সরকারের চরম সাম্প্রদায়িক ও হিন্দু শ্রেষ্ঠত্ববাদী শাসনযন্ত্র জবরদস্তীমূলক চাপিয়ে দেবার পর থেকে রাজ্যজুড়ে মুসলমান-বিদ্বেষ বিরাজ করছে।
বিশেষ করে মুসলিম মরদদের ওপরই কট্টর হিন্দুত্ববাদী সরকারের নানা অবিচার-অনাচারের খড়গ নেমে এসেছে। এমনিতেই মুসলিম পুরুষ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অলসতা, অদক্ষতা ইত্যাদি একাধিক বানোয়াট অভিযোগ তুলে চাকরী থেকে বরখাস্ত এবং নিয়োগে অস্বীকার করছে হিন্দু কর্তৃত্বাধীন রাজ্য সরকার। বেসরকারী ক্ষেত্রেও অবস্থা সঙীন। এলাকার মুসলিম ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো লাটে ওঠার জোগাড়। কারণ সমগ্র রাজ্যের অজস্র হিন্দু-মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ব্যবসা বিস্তার করেছে, যারা সকলেই লোদী সরকারের প্রত্যক্ষ মদদপুষ্ট। হিন্দু কোম্পানীগুলো খুব সহজেই লাইসেন্স, পারমিট পেয়ে যাচ্ছে, যা মুসলিমদের জন্য সোনার হরিণের মতো। মুসলিম উদ্যোক্তাদের নতুন পারমিট দেয়া তো হচ্ছেই না, বরং বহু বছরের পুরনো প্রতিষ্ঠানগুলোর রিনিউয়ালের সময় এলে একাধিক সমস্যা তৈরী করে লাইসেন্স বাতিল করা হচ্ছে, আর নয়তো মোটা অংকের আর্থিক জরিমানা ধার্য্য করা হচ্ছে যা মেটাতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। বলতে গেলে মুসলমানদের এক প্রকার নপুংসক করে রেখেছে লোদী সরকার।
অন্যদিকে বিপরীত চিত্রও আছে। পাশ্মীরের মুসলমান নারীসমাজের জন্য লোদীজীর কট্টর হিন্দুত্ববাদী সরকার বলতে গেলে আশীর্বাদই বয়ে এনেছে। মুসলিম রমণীদের জন্য লোদী সরকার “মুল্লীঁওকি সাথ, হিন্দুওঁকা বিকাশ” আর “মুল্লী বঁচাও, মুল্লী পঁঢ়াও” ইত্যাদি গালভরা নামে একাধিক কর্মসূচীর সূচনা করেছে। মুসলিম কন্যাসন্তানের ও সন্তানধারনযোগ্যা নারীদের বিকাশ সম্পর্কে সচেতনতা প্রসারে লক্ষ্যে এ কর্মসূচীগুলো রূপায়ণ করা হয়। কর্মসূচীগুলোর তড়িৎ ফলও পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতিকালে পাশ্মীরে মুসলিম পুরুষ শিশুর জন্মহার ক্রমশঃ হ্রাাস পেতে আরম্ভ করেছে। তবে মুসলমান কন্যাশিশুর জন্মহার আগের মতোই আছে, বরং কিছু অঞ্চলে বৃদ্ধিও পেয়েছে।
কৌতূহলোদ্দীপক ব্যাপার হলো - রাজ্যে নিবন্ধনকৃত মুসলিম পুরুষ শিশুর সংখ্যা হ্রাস পেলেও বহুগর্ভা মুসলিম নারীদের জন্মহার কিন্তু আগের চেয়ে কয়েক দাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশ্মীর রাজ্যজুড়ে মুসলমান রমণীরা ব্যাপকহারে পুরুষ বাচ্চা জন্মদান করছে, অথচ সেসব শিশু সরকারী তথ্যতালিকাগ্রন্থে “ধর্মঃ ইসলাম” হিসেবে নিবন্ধিত করা হচ্ছে না। এই বিপুল সংখ্যক নবজাতকদের কোনও হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে, ফি বছর মুসলিম অধ্যুষিৎ পাশ্মীরের হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্য সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বাইরের হিন্দু রাজ্যগুলো থেকে হিন্দু অভিবাসীদের আগমন তো জারী আছেই, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাকে ছাড়িয়ে গেছে পাশ্মীরের মাটিতে জন্মগ্রহণ করা সনাতনী নবজাতকদের সংখ্যা। এ অদ্ভূত তথ্য যেকোনও জনমিতিবিদকে ধাঁধায় ফেলবে। কারণ অভিবাসী হিন্দু গোষ্ঠীতে নারীর সংখ্যা একদমই অপ্রতুল। অথচ যে হারে পাশ্মীরের নারীকুল হিন্দু সন্তানের জন্মদান করে চলেছে, তাতে অংকের হিসাবে গড়ে জনপ্রতি হিন্দু নারীকে পাঁচ-ছয়খানা করে সন্তান উৎপাদন করা উচিৎ, যা বাস্তবে অসম্ভব। জানা কথা, বহুগর্ভা হিসেবে মুসলমান সম্প্রদায়ের আওরতদের আশপাশের রাজ্যগুলোতে সুখ্যাতি থাকলেও হিন্দু নারীদের সে বিশেষত্ব কোনওকালেই ছিলো না। এ ব্যাপারটি বড্ডো রহস্যজনক।
আরও একটি অস্বাভাবিক বিষয় হলো, সরকারী রেজিস্ট্রী খাতায় এসব নবজাতক হিন্দু বাচ্চাদের হিন্দু পিতৃপরিচয় নিঁখুতভাবে লিপিবদ্ধ থাকলেও মাতৃ পরিচয়ের ঘরটি অদ্ভূতভাবে সাংকেতিক। মায়ের নামের ঘরে MSS৫৬৭৩৪ বা MSS৭৪৫২১ জাতীয় সংকেত দেয়া থাকে। ঠিকানার ঘরটি খেয়াল করলে আন্দায করা যায় মুসলমান মহল্লার বাসিন্দা শিশুগুলোর মা। আশ্চর্যজনকভাবে, পিতার ক্ষেত্রে “ধর্মঃ সনাতন” মোটা কালিতে লেখা থাকলেও মায়ের “ধর্মঃ” ঘরটি ফাঁকা ফেলে রাখা হয়। অর্থাৎ, বিপুল হারে সংখ্যাবৃদ্ধি করতে থাকা নবজাতক হিন্দু শিশুগুলোর মাতৃপরিচয় কোনও গূঢ় কারণে চেপে যাওয়া হচ্ছে। হিন্দু সরকারী কর্মকর্তারা অবশ্য হেঁয়ালী করে বলেন মোটেও মাতৃপরিচয় গোপন করা হচ্ছে না, বরং সকলের ব্যাপারে সঠিক তথ্যই সংরক্ষণ করা হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, হিন্দু বাচ্চার মায়ের নামের ঘরে লিপিবদ্ধ সংখ্যাটি দিয়ে খুব সহজেই নাকি মাতৃপরিচয় উদঘাটন করা যায়। হিন্দুত্ববাদী HSS-এর অন্যতম অঙ্গসংগঠন মুসলমান নারীদের সমিতি MSS তথা মুল্লী স্বয়ংসেবিকা সঙ্ঘ-এর সদস্যাদের রেজিস্ট্রী বইয়ের সিরিয়াল নাম্বার কলামটি ঘাঁটলেই নাকি সকল তথ্য উন্মোচিত হয়ে যায়।
আবার MSS-এর তথ্যভাণ্ডারও তার নিজস্ব রহস্যের বেড়াজালে মোড়া। যেমন, উদাহরণস্বরূপ বলা যায় MSS৭৮৬২৪৭ সিরিয়ালটি। লোদী সরকারের হিন্দু নবজাতক রেজিস্ট্রীখাতায় মাতা হিসাবে এই নম্বরটি সাত বার উল্লেখিত হয়েছে। ইলাহাপূর মহল্লার মুসলিমাদের সংগঠন MSS-এর সদস্যা তালিকা ঘাঁটলে ৭৮৬২৪৭ নম্বরটি জনৈকা আমিনা খান পাঠান নাম্নী সদস্যার নামটি বলে জানা যায়। অথচ ঠিকানা অনুসরণ করে কেউ যদি পাঠান মঞ্জিলে ঢুঁ মারেন, তাহলে ঘরে বেগম আমিনার মাত্র দুইটি কন্যাসন্তান - আদিনা আর আয়েশাকে খেলতে দেখতে পাবেন। অথচ MSS-এর সদস্যাতালিকায় ৭৮৬২৪৭ নম্বরটির “সন্তান সংখ্যা” ঘরে লেখা আছে “৯”, কন্যা কলামে “২” এবং পুত্র কলামে “৭”। এছাড়া, MSS-এর দপ্তরের তালাবদ্ধ আলমারীটি খুললে ৭৮৬২৪৭ নম্বরের ফাইলটি খুললে একটি পৃষ্ঠা চোখে পড়বে, যার তালিকাটি এরকমঃ
“১) যোগী আদিনাথ ॥ লিঙ্গঃ পুং ॥ জন্মতারিখঃ ২ শ্রাবণ ২০৭৫ ॥ পাশ্মীর হিন্দু মিশন হাসপাতাল
২) হরিদাস পাল ॥ লিঙ্গঃ পুং ॥ জন্মতারিখঃ ১২ ভাদ্র ২০৭৬ ॥ আনন্দমঠ চিকিৎসালয়
৩,৪) কপিল সিংহ, নরেশ মাইতী ॥ লিঙ্গঃ পুং, যময* ॥ জন্মতারিখঃ ৩ চৈত্র ২০৭৭ ॥ হিন্দু রাও হাসপাতাল
৫) বাবা নামদেব ॥ লিঙ্গঃ পুং ॥ জন্মতারিখঃ ১৭ বৈশাখ ২০৭৮ ॥ রামনগর হাসপাতাল
৬,৭) রমিত শাহ ॥ লিঙ্গঃ পুং, যময* ॥ জন্মতারিখঃ ৯ ভাদ্র ২০৭৯ ॥ হরেকৃষ্ণ মাতৃসদন”
পুরো ব্যাপারটিই রহস্যের বেড়াজালে ঘেরা। বর্তমানে পাশ্মীরের মুসলমান সম্প্রদায়ের সুন্দরী, সন্তানোপযোগী নারীরা বেশিরভাগই সদস্যা হিসেবে MSS-এ যোগ দিয়েছে। আর MSS-এর সদস্যা ফাইলগুলোর আশি শতাংশতেই এমন হিসেব বহির্ভূত পুং লিঙ্গের শিশু-তালিকার পৃষ্টা দেখা যায়।
MSS-এর সদস্যাদের ব্যক্তিগত ফাইলগুলো ঘাঁটলে অবশ্য পাশ্মীরের সাম্প্রতিক জন্ম নেওয়া হিন্দু নবজাতকদের পরিসংখ্যান রহস্যে একটা সুরাহা হয়।
সে যাকগে, লোদী সরকারের “মুল্লী বিকাশ” কর্মসূচীগুলোর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ফলস্বরূপ পাশ্মীর রাজ্যে মুসলমান নারীর পাশাপাশি হিন্দু মরদদের সংখ্যা উত্তোরত্তর বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। তাতে করে মুসলিম পুরুষরা একপ্রকার সংখ্যালঘু প্রজাতীতে পরিণত হচ্ছে।
কানাঘুষায় এও শোনা যাচ্ছে, লোদী সরকারের রাজত্ব কায়েমের পর থেকে MSS-এর অনেক অবিবাহিতা মুসলিমা সদস্যা নাকি আজকাল বাচ্চার জন্ম দিচ্ছে। অবিশ্বাস্য গুজব! অতি রক্ষণশীল, শরীয়ত-পন্থী পাশ্মিরী মুসলমান সম্প্রদায়ে ঐতিহ্যগতভাবে অবিবাহিত তরুণ-তরুণীদের মোলাকাত করাই কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ছিলো। নিকাহের আগে এমনকী হবু বিবির চেহারাটাও অজ্ঞাত থাকতো অনেক মুসলিম তরুণের কাছে। আর সেই পাশ্মীরের বিনেশাদীর আনকোরা মুসলিমা তরুণী হিন্দু বাচ্চার মা বনছে - এ তো যেন সূর্য্য পশ্চিমে উদয় হবার চেয়েও অসম্ভব ব্যাপার।
বহুপ্রসূ মুসলিমা রমণীদের প্রেরণা দানের জন্য হিন্দুত্ববাদী লোদী সরকারের অনেক কর্মসূচী আছে। সরকারের বিভিন্ন চাকরীতে মুসলমান নারীদের নিয়োগ করা হচ্ছে, বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতেও মুসলিমাদের জন্য উন্মুক্ত দ্বার। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কোনও বালাই নেই। মুসলমান সম্প্রদায়ের গোরী, সুদর্শনা আওরতরা ওয়াক-ইন ইন্টারভিউ দিয়ে অনায়াসে চাকরী লাভ করছে হিন্দু বসদের অধীনে। যে মুসলমান নারী যত বেশি সুন্দরী, গায়ের রঙ যত বেশি গোরা, তার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতার আবশ্যিকতা ততটাই শিথিল।
এছাড়া পাশ্মীরে সন্তান জন্মদানে উদ্বুদ্ধ করার জন্য লোদী সরকারের একাধিক বিশেষ প্রণোদনা আছে। কোনও নারী হিন্দু পুত্র জন্মদান করলে মাসিক ২৫,০০০ ভাতা পাবে। এছাড়া, মুসলমান কন্যা সন্তান প্রসব করলে নগদ ১০,০০০ মাসিক ভাতার ব্যবস্থাও আছে। তবে মুসলিম পুত্র সন্তানের জন্ম দিলে কোনও ভাতার সুযোগ নেই। জন্মহার বৃদ্ধির এই কার্যসূচীর কারণে পাশ্মীরের মুসলিমা জেনানা সম্প্রদায় আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে বিশেষভাবে। যেমন, ৭৮৬২৪৭ নম্বরধারী বহুগর্ভা আমিনা খান পাঠান বর্তমানে লাখপতি। শোওহরের চাকরীচ্যুতির পর পাঠান খানদান অর্থকষ্টে পড়েছিলো। আজ হালত পাল্টে গেছে। পাঠানমঞ্জিলে ফিরে এসেছে সুদিন। পুরো পাঠান বংশটাই মূলতঃ চলছে বাড়ীর দুই পুত্রবধূ আমিনা খান ও রেজিয়া খান-এর মাসকাবারী ভাতায়। স্থানীয় MSS সঙ্ঘের সদস্যা দুই রত্নগর্ভা ভাবী মিলে পাঠান খানদানের সম্মিলিত মাসিক রোজগার আড়াই লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এখন পরিবারের সকল সদস্য ভালো খেতে পরতে পাচ্ছে, তার মূল কৃতিত্ব মহামন্ত্রী লোদীজীর মুল্লী বিকাশ পরিকল্পনার, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ থাকতে পারে না। অভিজাত, সম্ভ্রান্ত পাঠান পরিবারের দুই ভাইয়ের বউ হয়ে এসেছিলো অসামান্যা দুই সুন্দরী আমিনা আর রেজিয়া। স্বামীদের চাকরী চ্যুতি আর ব্যবসা বরবাদ হবার পর থেকে সংসারে অস্বচ্ছলতা আর অশান্তির আগমন হয়েছিলো। সে মুশকিল থেকে আসান পেতে বছর কয়েক আগে দুই বউ স্বেচ্ছায় স্থানীয় মুল্লী স্বয়ংসেবিকা সঙ্ঘে নাম লিখিয়েছিলো। কাকতালীয়ভাবে, সে মাসেই পাঠান পরিবারের দুই বউ একসাথে গর্ভবতী হয়েছিলো। যেদিন MSS-এর সদস্যা বনেছিলো, সেদিন থেকে গুণেগুণে বরাবর নয় মাসের মাথায় পাঠান খানদানের দুই বউ দুই পুত্রসন্তানের জন্ম দেয়। আর তারপর থেকেই সংসারের চাকা ঘুরে যায়।
পাঠান পরিবারের বিবিদ্বয় আমিনা ও রেজিয়া এখন MSS-এর মুখপাত্রী। ওদের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে ঘরে ঘরে মুসলিম নারীরা MSS-এ নাম লেখাচ্ছে, ভাগ্যলক্ষীর নেকনজর ফেরানোর প্রচেষ্টায়। লোদীজীর সরকার ক্ষমতা দখলের পর পাশ্মীরে যেমন মহল্লায় মহল্লায় ব্যাঙের ছাতার মতো মন্দির গড়ে উঠছে, তেমনি রাস্তাঘাটে ঢাউস পেট নিয়ে গর্ভবতী মুসলমান নারীদের সংখ্যাবৃদ্ধিও চোখে পড়ার মতো।
কট্টর হিন্দুশ্রেষ্ঠত্ববাদী ও প্রমাণিত সাম্প্রদায়িক লোদীজীর সরকার আসায় বিশ্ববাসী শংকিত ছিলো মুসলিম অধ্যুষিত পাশ্মীরে বুঝি সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াবে এবার। সে আশংকা উড়িয়ে দিয়ে সমগ্র রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উষ্ণ হাওয়া বইছে। অভিবাসী সনাতনী পুরুষ সম্প্রদায় ও স্থানীয় মুসলমান নারীকুল একে অপরের প্রতি নিজ নিজ উভয় সম্প্রদায়কে যেভাবে প্রগাঢ় সম্প্রীতির মেলবন্ধনে আবদ্ধ করে নিয়েছে, তা সকলের জন্য উদাহরণস্বরুপ।