[h2]
ইতিহাসের দর্পণে ভারতীয় সমকামিতা
[/h2]
—————————-———————————
ভারতীয় ইতিহাসে সমকামিতা একেক সময় একেকভাবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি সমকামিতা অধিকারের জন্য প্রচুর লিখালিখি ও মতামতের জন্য ভারতীয় সরকার এখন সমকামিতা বৈধ করেছে।
∎∎ প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতায় সমকামিতা:
প্রাচীন ভারতের পাঠগুলো আধুনিক সমকামিতার অন্যতম কারণ। ধর্ম ভারতের রীতিনীতি ও ঐতিহ্য গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। যেহেতু ভারতের বহুল প্রচলিত হিন্দু ধর্মে সমকামিতার ব্যাপারে স্পষ্টভাবে কিছু উল্লেখ করে নি, তাই বিভিন্ন সময় হিন্দুত্ববাদ সমকামীদের ব্যাপারে নিরপেক্ষ আবার বৈরিতামূলক অবস্থানে থেকেছে। হিন্দু ধর্মের চারটি ধর্মীয় গ্রন্থের মধ্যে ঋগ্বেদে রয়েছে 'ভিকৃতি ইভাম প্রাকৃতি' [সংস্কৃত:विकृतिः एवम् प्रकृति] যার অর্থ: যা কিছু দেখতে অপ্রাকৃতিক মনে হয় তাও প্রাকৃতিক। যার ফলে কিছু কিছু পণ্ডিতরা মানবজীবনে সমকামিতাকে সার্বজনীন বৈচিত্র্য হিসেবে দেখে। ভতস্যায়ন কর্তৃক রচিত প্রাচীন ভারতীয় পাঠ কামসূত্রের পুরো একটি অধ্যায় সমকামিতার উপর উৎসর্গ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রশাসন সম্পর্কিত একটি প্রাচীন ভারতীয় গ্রন্থ অর্থশাস্ত্রে বিভিন্ন ধরণের যৌনচর্চা সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে, যা কোনো নারী বা পুরুষের সাথে করা হোক না কেন এর সর্বনিম্ন শাস্তি ছিল অর্থদণ্ড। সমকামী সহবাস বৈধ না করা হলেও এটা ছিল অতি সামান্য অপরাধ। তবে বিভিন্নধরনের বৈজাতীয় সহবাসকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হয়েছিল।
কুমারী নয় এমন নারীদের সাথে সহবাসের শাস্তি হিসেবে সামান্য জরিমানা করা হত। আর যখন পুরুষের মধ্যে সমকামী যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠে, তখন এর শাস্তিস্বরূপ গরুর পাঁচটি পণ্য [মলমূত্র বা গরুর খাবার] খাওয়া এবং এক রাত উপোস থাকা। এটা সমকামীর জন্য ঐতিহ্যবাহী হয়ে গেছিল। ফলে এই দণ্ডে দণ্ডিত ব্যক্তি সমাজে নিচু শ্রেণী হিসেবে বিবেচিত হত।[১]
[h4]
প্রথম দিকের আধুনিক সময়কাল ১৫২৬-১৮৫৮ সাল:
[/h4]
❐❐ দিল্লী সালতানাত
আল-বিরুনী উল্লেখ করেন মধ্যযুগে হিন্দু সমাজে সমকামিতা ও পায়ুকাম ছিল বিরল আর হিন্দুরা এটা ব্যাপকভাবে অস্বীকার করেছিল। কিছু ঐতিহাসিক উল্লেখ করেন ইসলামী শরীয়ায় নিষেধ থাকা সত্ত্বেও দিল্লী সালতানাতের সুলতানরা পুরুষদের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ত।[২]
❐❐মুঘল আমল
ভারতীয় সমকামী এক্টিভিস্টরা দাবী করেন মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বাবর তার জীবনীতে উল্লেখ করেন তিনি এক বালকের ভালোবাসায় মোহাচ্ছন্ন ছিলেন। [৩] তবে সম্ভবনা আছে এই সমকামী এক্টিভিস্টরা বাবরের প্রতি বিদ্বেষী মনোভাব বা সমকামী আন্দোলন জোরদার করার জন্য এ সকল অযাচিত দাবী করেছেন।
কিছু কিছু সমকালীন ঐতিহাসিক দাবী করেন মুঘলদের উঁচু শ্রেণীর লোকেরা সমকামিতায় আসক্ত ছিলেন। এবং গর্ভনরদের মধ্যে সমকামিতার প্রবণতার নানা কাহিনী উল্লেখ করেন।[৪] মধ্যেযুগের শেষের দিকে উর্দু কবিতা 'চাপতি'একই লিঙ্গের মানুষের মধ্যে যৌন সম্পর্কের দিকে ইঙ্গিত করে। আবার 'আমরাদ পারাস্ত'কবিতায় দুই যুবা পুরুষদের মধ্যে যৌন সম্পর্কের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।[৫] তবে এখানে প্রবল সম্ভবনা রয়েছে যে, এই সকল লেখক কেবল কবিতা বা প্রচলিত চটকদার উপন্যাস উপর নির্ভর করে মুঘলদের উপর সমকামিতার দোষারোপ করেছে। মজার ব্যাপার হল তারা মূল ধারার ইতিহাস গ্রন্থের দলিল এড়িয়ে গেছে। হয়তো মুঘলদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করার কারণে তারা এমনটা করেছে।
[h4]
বৃটিশ উপনিবেশিক সময়কাল ১৮৫৮-১৯৪৭
[/h4]
১৮৬১ সালে বৃটিশ সরকার ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩৭৭ ধারা অনুযায়ী সমকামিতা ও প্রাকৃতিক নিয়মের বিরেদ্ধে যেকোনো যৌন ক্রিয়াকলাপকে অপরাধের আওতায় আনেন। বৃটিশ ঔপনিবেশিক সরকার খ্রিস্টান ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে এই আইন বৃটিশ সাম্রাজ্যের অধিকাংশ অঞ্চলেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।গোয়া ইনকুইজিশন পর্তুগিজ ভারতে পায়ুকামের মূল অপরাধকে মূলোৎপাটন করেছিল।[৬]
[h4]
গণপ্রজাতন্ত্রী ভারতবর্ষ ১৯৪৭- চলমান
[/h4]
১৯৭৭ সালে শকুন্তলা দেবী ভারতে সর্বপ্রথম সমকামিতার গবেষণা পত্র প্রকাশ করেন।[৭] ২০০৯ সাল পর্যন্ত দণ্ডবিধি ৩৭৭ ধারা অনুযায়ী সমকামিতাকে অপরাধ হিসেবে ধরা হত। হিউম্যান রাইট ওয়াচের ভাষ্যমতে এই আইন Hiv/Aids প্রতিরোধে ব্যবহার হয়েছিল, যার মধ্যে ছিল যৌনকর্মী, সমকামী ও LGBT গ্রুপ। [৮]
দিল্লীর হাইকোর্টে ১৮৬০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দণ্ডবিধি ৩৭৭ ধারা অনুযায়ী সমকামিতা অপরাধ হিসেবে সাব্যস্ত ছিল। ২০১৩ সালে দিল্লির আদালতের রায় উত্থাপিত হওয়ার পরে, ২০১৮ ভারতের সুপ্রীম কোর্টের ভারতের নভতেজ সিং জোহর বনাম ইউনিয়নে রায় দেওয়ার আগ পর্যন্ত সমকামী যৌন মিলন পুনরায় অপরাধী হয়েছিল। এটি কোনও ব্যক্তির স্বেচ্ছায় "প্রকৃতির আদেশের বিরুদ্ধে শারীরিক মিলন" করার অপরাধ হিসাবে পরিণত হয়েছিল। [৯]
[h4]
২০০৯ – ২০১৩
[/h4]
২০০৯ দিল্লি হাইকোর্টের রায় নাজ ফাউন্ডেশন বনাম সরকার কর্তৃক এই আইনটি বাতিল করা হয়েছিল। দিল্লির এনসিটি-র, যেটা ভারতীয় সংবিধান দ্বারা প্রদত্ত মৌলিক অধিকারের প্রত্যক্ষ লঙ্ঘন হিসাবে সম-লিঙ্গের আচরণের বিরুদ্ধে ৩৭৭ ধারা এবং অন্যান্য আইনী নিষেধাজ্ঞাগুলোর সন্ধান পেয়েছিল।
একটি হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত আইনের সাংবিধানিকতা সম্পর্কিত (অর্থাৎ বিচারিক পর্যালোচনা) সমগ্র ভারতবর্ষেই প্রযোজ্য, কেবলমাত্র সেই রাজ্যের সেই অঞ্চলে নয় যেটার উপরে হাইকোর্টের প্রশ্নে এখতিয়ার রয়েছে।[১০] তবে রায় ঘোষণার পরেও সমকামী গ্রুপগুলোর হয়রানির (বিরল) ঘটনা ঘটেছে। [১১]
১৬ ফেব্রুয়ারী ২০১২, সুপ্রিম কোর্ট সমকামী লিঙ্গের নিষিদ্ধকরণের বিরুদ্ধে দায়ের করা একগুচ্ছ আপিলের শুনানির সময় পর্যবেক্ষণ করেছে যে সমকামিতাকে সমাজ পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে দেখা উচিত কারণ অনেকগুলো বিষয় যা আগে অগ্রহণযোগ্য ছিল তা সময় পরিবর্তনের হওয়ার সাথে সাথে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে।
বিচারপতি জি এস সিংভি এবং বিচারপতি এস জে মুখোপাধ্যায়ের সমন্বয়ে গঠিত দ্বি-বিচারকের বেঞ্চ মতামত দিয়েছেন যে, সমকামিতাকে পরিবর্তনের সময়ের আলোয় দেখা উচিত যেখানে লিভ-ইন সম্পর্ক, একক পিতা-মাতা এবং কৃত্রিম গর্ভধারণের ঘটনাটি স্বাভাবিক হয়ে গেছে। তারা আরও উল্লেখ করেছিলেন যে ২০ বছর আগে অনৈতিক বলে বিবেচিত অনেকগুলি বিষয় এখন সমাজে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে। বেঞ্চ বলেছে যে, ১৮৬০ এর আগে সমকামী সেক্স কোনও অপরাধ ছিল না এবং খাজুরাহোর চিত্রকর্ম এবং ভাস্কর্যগুলো থেকে বোঝা যায়।
সিনিয়র অ্যাডভোকেট অমরেন্দ্র শরণ, যিনি দিল্লী হাইকোর্টের শিশু অধিকার সংরক্ষণের জন্য দিল্লি কমিশনের পক্ষে সমকামী যৌনতার সিদ্ধান্তকে নিষিদ্ধ করার আদেশের বিরোধিতা করেছিলে। তখন তিনি বলেছিলেন যে, ভাস্কর্যের ভিত্তিতে সামাজিক ইস্যুগুলো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ অবশ্য পর্যবেক্ষণ করেছে যে, এটা সে সময়ের সমাজের প্রতিচ্ছবি এবং সমকামিতা কেবল যৌন মিলনের ক্ষেত্রে দেখা উচিত নয়। এর আগে, সুপ্রিম কোর্ট বেঞ্চ সমকামী বিরোধী অধিকার দলগুলোকে সমকামী লিঙ্গের বৈধকরণকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিল যে, প্রকৃতির আদেশের পরিপন্থী আচরণগুলো কীভাবে তারা সম্ভব করেছে। হাইকোর্ট সমকামী বিরোধী অধিকারকর্মীদের দ্বারা এবং রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনগুলোর দায়ের করা মামলা শুনানি করছিল যা দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের দেখার বিরোধিতা করেছিল। রায়টি ছিল সমকামী আচরণকে অপরাধ হিসেবে না দেখা।
তবে, ২৩ শে ফেব্রুয়ারী ২০১২ সালে UPA সরকারের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সুপ্রিম কোর্টের একটি পর্যবেক্ষণের জবাব দিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে বলেছিল যে এটি সমকামী লিঙ্গের নিষেধাজ্ঞার বিরোধী ছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হাইকোর্টকে বলেছিল, "এটি অত্যন্ত অনৈতিক এবং সামাজিক শৃঙ্খলার পরিপন্থী।" এতে বলা হয়েছে যে ভারতের নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ অন্যান্য দেশের চেয়ে পৃথক। সুতরাং, জাতিকে তাদের দ্বারা পরিচালিত হতে দেওয়া উচিত নয়।[১২]
কেন্দ্রীয় সরকার সমকামী লিঙ্গকে ডিক্রীমিনালাইজ করার ক্ষেত্রে কোনও ত্রুটি নেই বলে জোর দিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১২ সালে তার অবস্থানটি পাল্টে দিল। এর ফলশ্রুতিতে SC এই বিষয়টি নিয়ে ঘন ঘন তার অবস্থান পরিবর্তন করার জন্য কেন্দ্রকে টেনে তুলল। সুপ্রিম কোর্টের এক বিচারপতি সরকারকে বললেন, সিস্টেমটিকে উপহাস করবেন না এবং আদালতের সময় নষ্ট করবেন না। [13]
এছাড়াও ২০১২ সালে IBM, Goldman Sachs দ্বারা 'Creating Inclusive Workplaces for LGBT Employees in India' শীর্ষক একটি গাইড তৈরি করেছিল।[১৪]
তবে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ভারতের শীর্ষ আদালত সমকামী আইনকে নিষিদ্ধ ঘোষিত দিল্লি হাইকোর্টের ২০০৯ সালের একটি যুগান্তকারী প্রতিক্রিয়াকে সমকামী যৌন অপরাধকে অপরাধী করার আইনটিকে সমর্থন করে। আদালত বলে যে, বিষয়টি নিয়ে আইন প্রণয়ন করার অধিকার সংসদের হাতে রয়েছে।
ভারতীয়রা ঐতিহ্যবাহীভাবে ১৫৩ বছর বয়সী উপনিবেশিক যুগের আইন ৩৭৭ ধারাটি ব্যাখ্যা করে, এটা একটি সমকামী সম্পর্ককে "অপ্রাকৃত অপরাধ" হিসাবে তীব্র নিন্দা জানায় এবং এটা ১০ বছরের জেল হিসাবে দণ্ডনীয়ও বলে বিবেচনা করে। ২০০৯ সালের আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে আইনটি পুনঃস্থাপনের জন্য রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলো সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেছিল। [১৫]
[h4]
২০১৩ – বর্তমান
[/h4]
ভারত জুড়ে ৩৭৭ ধারা পুনঃস্থাপনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছিল এবং এর ফলে রাজনৈতিক দলগুলোতে এই আইন বাতিলের জন্য সক্রিয়তা দেখা যায়। ২০১৪ সালের এপ্রিলের মধ্যে, আসন্ন নির্বাচনের মাসে কমপক্ষে তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দল – আম আদমি পার্টি, কংগ্রেস এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে সমকামী সম্পর্কের ডিক্রীমিনালাইজেশন সমর্থন করেছিল। [১৬]
মাদোরাই বিজেপি রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক বনাথী শ্রিনিবাসন ২০১৪ সালে জুলাই মাসে তামিল ভাষায় Genderqueer সম্পর্কিত প্রথম বই এবং LGBTQIA সম্পর্কিত প্রথম তামিল গ্রন্থ প্রকাশ করেন। [১৭]
দীর্ঘমেয়াদি সহচরদের কারণে LGBTIQ লোকদের জন্য ২০১৬ সালের জুনে ভারতের আমুর কুইর ডেটিং একটি ডেটিং প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়। ২০১৭ সালে ভোপালে ২০০ সদস্যের অংশগ্রহণে সর্বপ্রথম প্রাইড মার্চ পরিচালিত হয়।
২০১৮ সালে সেপ্টেম্বরে ভারতে সমকামিতাকে বৈধ করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট অনুচ্ছেদ ৩৭৭ কে বাতিল করে। [১৮]সমকামীতাকে ১০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে উপনিবেশীক যুগের আইনকে আঘাত হেনে একজন বিচারক বলেন, " এই যুগান্তরকারী সিন্ধান্তটি একটি ভালো ভবিষ্যতের পথ তৈরি করবে"।[১৯]
তথ্যসূত্র:
১. Vanita & Kidwai 2001, p. 25
২. Eraly, Abraham (Apr 1, 2015). The Age of Wrath: A History of the Delhi Sultanate. Penguin UK. ISBN 9789351186588. Retrieved Aug 15, 2019 –via Google Books.
Vanita, Ruth (Oct 20, 2008). Same-Sex Love in India. Penguin Books Limited. ISBN 9788184759693. Retrieved Aug 15, 2019 –via Google Books.
৩. Salam, Ziya Us (2014-02-15). "An emperor with foibles". The Hindu. ISSN 0971-751X. Retrieved 2019-08-24.
৪. Eraly, Abraham (Jul 17, 2007). The Mughal World. Penguin Books Limited. ISBN 9788184753158. Retrieved Aug 15, 2019 – via Google Books.
Vanita, Ruth (Oct 20, 2008). Same-Sex Love in India. Penguin Books Limited. ISBN 9788184759693. Retrieved Aug 15, 2019 –via Google Books.
৫. Sondy, Amanullah De (Nov 7, 2013). The Crisis of Islamic Masculinities. A&C Black. ISBN 9781780936932. Retrieved Aug 15, 2019 –via Google Books.
৬. "Xavier was aware of the brutality of the Inquisition". Deccan Herald. Deccan Herald. 27 April 2010. Retrieved 18 September 2017.
Sharma, Jai. "The Portuguese Inquisition in Goa: A brief history". Indiafacts.org. Retrieved 18 September 2017.
৭. Subir K Kole (2007-07-11). "Globalizing queer? AIDS, homophobia and the politics of sexual identity in India". Globalization and Health. 3: 8. doi:10.1186/1744-8603-3-8. PMC 2018684. PMID 17623106.: "The first academic book on Indian homosexuals appeared in 1977 (The World of Homosexuals) written by Shakuntala Devi, the mathematics wizkid who was internationally known as the human computer. This book treated homosexuality in a positive light and reviewed socio-cultural and legal situation of homosexuality in India and contrasted that with the then gay liberation movement in USA."
Shakuntala Devi (1977). The World of Homosexuals. Vikas Publishing House. ISBN 9780706904789.
Jeffrey S. Siker (2006). Homosexuality and Religion. Greenwood Publishing Group. p. 127. ISBN 9780313330889.: "In her 1977 book, mathematician Shakuntala Devi interviewed.
৮. "India: Repeal Colonial-Era Sodomy Law". Human Rights Watch. January 11, 2006. Archived from the original on April 13, 2008. Retrieved March 3,2020.
৯."Where is it illegal to be gay?". BBC News. 10 February 2014. Retrieved 11 February 2014.
১০. Kusum Ingots v. Union of India, (2004) 6 SCC 254: "An order passed on a writ petition questioning the constitutionality of a Parliamentary Act, whether interim or final, keeping in view the provisions contained in Clause (2) of Article 226 of the Constitution of India, will have effect throughout the territory of India subject of course to the applicability of the Act.
১১. Pervez Iqbal Siddiqui (28 December 2010). "Crackdown on gay party in Saharanpur, 13 held". The Times of India. Retrieved 20 January 2011.
১২.http://www.mumbaimirror.com/article/3/2012022320120223141327934d025428/Homosexuality-Govt-opposes-HC-verdict-in-apex-court.html%5B%5D
১৩. "Supreme Court pulls up Centre for flip-flop on homosexuality – Indian Express". archive.indianexpress.com. Retrieved Aug 15, 2019.
১৪."Lesbian, gay, bisexual and transgender resource guide for employers – The Times of India". The Times Of India.
১৫."India top court reinstates gay sex ban". BBC News. 11 December 2013.
The text of the law actually reads, "Unnatural offences.–Whoever voluntarily has carnal intercourse against the order of nature with any man, woman or animal, shall be punished with 1*[imprisonment for life], or with imprisonment of either description for a term which may extend to ten years, and shall also be liable to fine. Explanation.-Penetration is sufficient to constitute the carnal intercourse necessary to the offence described in this section.
১৬. "Manifestos bring hope to lesbians, gays et al (Election Special)". Mar 28, 2014. Retrieved Aug 15, 2019 – via Business Standard.
১৭. "It's a great honour to be awarded for book on gender variants: Gopi Shankar | Madurai News – Times of India". The Times of India. Retrieved Aug 15, 2019.
http://www.asianage.com/india/bjp-supports-tn-leader-book-lgbt-157
"BJP leader launches LGBT rights book in TN". Mumbai Mirror. Retrieved Aug 15, 2019.
১৮. Rautray, Samanwaya (6 September 2018). "Section 377: SC rewrites history, homosexual behaviour no longer a crime". The Economic Times. Retrieved 6 September 2018.
১৯."India's Supreme Court strikes down law that punished gay sex". ABC News.