দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতি থাকলেও ঈদ উদ্যাপনের জন্য সাময়িকভাবে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। এ ঈদে কোরবানির পশু কিনতে হয় বলে হাটে জনসমাগম বেশি হয়। তা ছাড়া বিভিন্ন স্থানে বাড়ে জনসমাগম। তাই এবার স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে।
করোনা প্রতিরোধের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে শুরু করে জনস্বাস্থ্যসংক্রান্ত সব প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ভিড়, জনসমাগম এড়াতে বলা হচ্ছে। কিন্তু হাটে গিয়ে কোরবানির পশু কেনার ক্ষেত্রে ভিড় এড়ানো প্রায় অসম্ভব। এ জন্য কিছু স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে:
- কোরবানির পশুর হাটে যাওয়ার সময় এবং যতক্ষণ অবস্থান করবেন, পুরো সময় অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। প্রয়োজনে ডাবল মাস্ক পরুন। আমরা অনেক ক্ষেত্রেই মনের অজান্তে কথাবার্তা বলার সময় নাকের ওপর থেকে মাস্ক সরিয়ে ফেলি। এটি বিরাট ভুল। কেউ আবার নাক-মুখ খোলা রেখে থুতনির ওপর মাস্ক রেখে দেন। অথচ কথা বলার সময়ই সবচেয়ে বেশি দরকার মাস্ক।
- হাটে গেলে আপনার সঙ্গী হোক স্যানিটাইজার। হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকলে কিছুক্ষণ পরপর হাত ধুতে হবে। হাটের প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকা জরুরি। না থাকলে স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। হাট থেকে বের হওয়ার সময় হাত জীবাণুমুক্ত করুন। বাসায় ঢুকে বাড়ির অন্যদের সংস্পর্শে আসার আগে সাবান দিয়ে ভালো করে গোসল করুন।
- ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে যথেষ্ট নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন। তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখা স্বাস্থ্যসম্মত। দীর্ঘ সময় দরদাম না করে অল্প কথায় পশু কেনার প্রক্রিয়া শেষ করুন। যথাসম্ভব হাত দিয়ে কোনো কিছু স্পর্শ না করার চেষ্টা করুন।
- শিশু, বৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তিদের নিয়ে হাটে যাবেন না। তাঁরা করোনার সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকেন। দুই ডোজ টিকা নেওয়া তরুণ ও সুস্থ ব্যক্তিরা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে যান। যাঁরা জ্বর, কাশি বা অন্য কোনো উপসর্গে ভুগছেন, তাঁরাও হাটে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- এ সময় অনলাইনে কোরবানির পশু কেনার সুযোগ কাজে লাগানো যেতে পারে। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব।
* লে. কর্নেল নাসির উদ্দিন আহমদ, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, সিএমএইচ, ঢাকা