মুখের স্বাস্থ্যের সঙ্গে হৃদ্যন্ত্রের সম্পর্ক সব সময় লক্ষ রাখা হয় না। হৃদ্রোগের অন্যান্য কারণের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি মাড়ির রোগের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে নানা গবেষণায়। কাজেই হৃৎস্বাস্থ্য ভালো রাখতে মুখের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা জরুরি।
মাড়ির রোগ থেকে জীবাণু ও এর তৈরি ক্ষতিকারক পদার্থ রক্তের মধ্যে সঞ্চালিত হতে পারে। এতে যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল, ধূমপায়ী, বাতজ্বর, কৃত্রিম ভাল্ভ, জন্মগত হৃদ্রোগ, কায়িক পরিশ্রম কম হলে তাঁদের রক্তনালি সরু হয়ে যেতে থাকে, ফলে হৃদ্যন্ত্র পর্যাপ্ত রক্ত বা অক্সিজেন পায় না। এ থেকে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে, হতে পারে স্ট্রোকও।
মাড়ির প্রদাহ থেকে জীবাণু রক্তের মাধ্যমে সঞ্চালিত হয়ে হৃদ্যন্ত্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ভাল্ভগুলোকে আক্রান্ত করতে পারে। হৃদ্যন্ত্রের ভেতরের স্তরের প্রদাহের সঙ্গেও মাড়ির রোগের যোগসূত্র রয়েছে।
এ ছাড়া হৃদ্যন্ত্রের ওষুধ মুখের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। যেমন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মুখ শুষ্ক বা মাড়ি ফুলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। রক্ত তরলকারী ওষুধ সেবন করলে কারও কারও মাড়ি দিয়ে রক্তও পড়তে পারে।
মুখের সুস্থতায় যা করবেন
● সকালের নাশতা ও রাতে খাওয়ার পর দুই মিনিট নিয়ম করে দাঁত পরিষ্কার করুন।
● ব্রাশের পর আঙুল দিয়ে আলতো করে মাড়ি ম্যাসাজ ও জিব পরিষ্কার করুন।
● চিনির তৈরি খাবার এড়িয়ে চলুন। ফরমালিনমুক্ত মৌসুমি তাজা ফল, শাকসবজি, দুধ, টক দই, ডিম, সামুদ্রিক মাছ, ছোট মাছ খেতে পারেন।
● অন্যান্য রোগ যেমন ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, গ্যাস্ট্রিক ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
● ছয় মাস অন্তর বা মুখের মধ্যে যেকোনো অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ করলে দ্রুত অনুমোদিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
● ধূমপান ও পান–জর্দা পরিহার করুন।
[FA]pen[/FA] লেখক: মো. আসাফুজ্জোহা