What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

হবু মা কারিনা আরও উজ্জ্বল (1 Viewer)

KUExAQ1.jpg


আবার মা হতে চলেছেন বলিউড নায়িকা কারিনা কাপুর খান। নিজের মাতৃত্বকালীন এই সফর নিয়ে সব সময় তিনি যেন খোলা ডায়েরি। প্রথমবার ‘বেবি বাম্প’ প্রদর্শন করে বেবো রীতিমতো ঝড় তুলেছিলেন। এরপর থেকে ‘বেবি বাম্প’ প্রদর্শন করা বলিউড নায়িকাদের মধ্যে ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়ায়। সেবারের মতো এবারও তিনি গর্ভকালীন অবস্থা চুটিয়ে উপভোগ করছেন। মাতৃত্বের সৌন্দর্যকে রীতিমতো উদ্‌যাপন করছেন তিনি। এ সময়ে তাঁর পরা নানান পোশাক ফ্যাশন–দুনিয়ায় হামেশাই ঝড় তুলছে। এমনকি হবু মা কারিনার ডায়েটের খুঁটিনাটি আর শরীরচর্চাও গোপন নেই। কারিনার ডায়েটিশিয়ান ঋজুতা দেবেকর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বিষয়ে নানান কথা ফাঁস করেছেন।

uCbeT05.jpg


ঘরোয়া খাবারে সুস্থ থাকুন

নিজেকে সুন্দর ও পাতলা দেখানোর জন্য নামীদামি খাবার খেতে হবে, তার কোনো মানে নেই। রোজকার খাবারের মাধ্যমে নিজেকে আকর্ষণীয়, সুন্দর ও সুস্থ রাখা যায়। এই নীতিতে বিশ্বাসী অভিনেত্রী কারিনা। তাই তাঁর ডায়েটে সব সময় থাকে সাধারণ অথচ স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। কারিনার মতে, ঘরের তৈরি খাবার সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। কারিনা প্রথমবার যখন অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন তখন ডায়েটিশিয়ান ঋজুতা দেবেকরের ডায়েট অনুসরণ করেছিলেন। এবারও তিনি ঋজুতার দেখানো পথেই হাঁটছেন। কারিনার রোজকার ডায়েটে ছোট ছোট ছয়টি মিল থাকে।

Lzg3SLT.jpg


সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে তিনি ১০টি ভেজানো কাঠবাদাম আর কলা খান। এরপর ঠিক ১২টার সময় কারিনা খান দই-ভাত, পাঁপড়, রুটি, পনিরের তরকারি আর ডাল। তৃতীয়বার খাওয়ার সময় দুপুর ২টা থেকে ৩টা। তখন খান ছোট এক বাটি পাকা পেঁপে, বাদাম বা চিজ। কখনো খান মাখানা। আবার ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে আমের তৈরি মিল্ক শেক বা এক বাটি লিচু কিংবা চিড়াভাজা। আটটায় সেরে নেন রাতের খাবার। ডিনারে তিনি একেক দিন খান সবজির পোলাও আর রায়তা, পালক অথবা পুদিনার রুটির সঙ্গে বোঁদের রায়তা, কোনো দিন খান ডাল, ভাত আর তরকারি। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সামান্য জায়ফল আর হলুদ মেশানো দুধ পান করেন।

5CdaNGA.jpg


এই ছয়বারের ফাঁকে যদি খিদে পায় তাহলে কারিনা খান তাজা ফল, দইয়ের সঙ্গে কিশমিশ অথবা কাজু, লেবুর শরবত, ডাবের জল, বিট লবণ আর হিং দেওয়া ছাছ। কারিনার এই খাদ্যতালিকায় কার্ব, চর্বি আর প্রোটিন—সবকিছুর সমতা বজায় রাখা হয়। সকালে কাঠবাদাম আর কলা দিয়ে দিন শুরু করায় বেবো পান অফুরন্ত প্রাণশক্তি। ঋজুতা কারিনার ডায়েটে শস্য হিসেবে রেখেছেন চাল আর গম। একজন গর্ভবতী নারীর জন্য যা জরুরি। কারিনা সব সময় কড়া ডায়েটের মধ্যে নিজেকে বেঁধে রাখেন। অথচ আগে এক সাক্ষাৎকারে নবাবপত্নী বলেছিলেন, ‘আমি একজন কাপুর। আমরা খেতে ভালোবাসি। আর আমি ডায়েট করতে পারি না।’

2LxLtUG.jpg


ছেলে তৈমুর ও স্বামী সাইফ আলী খানের সঙ্গে ঘরোয়া পরিবেশে কারিনা কাপুর, ছবি: ইনস্টাগ্রাম

সাত দিনে সাত রকম

কারিনা বলিউডে জিরো ফিগারের ঝড় তুলেছিলেন। তাঁর হাত ধরে ফিল্মি পাড়ায় জিরো ফিগারের জোয়ার বইতে শুরু করে। নিজেকে ফিট রাখতে তিনি নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। এমনকি গর্ভকালীন সময়েও কারিনা নানাভাবে শরীরচর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন। সপ্তাহের সাত দিন তিনি সাত রকমের ব্যায়াম করেন। সপ্তাহের প্রথম দিন ২০ মিনিট ট্রেডমিলে হাঁটেন। এরপরের দিন তিনি যোগব্যায়াম করেন। তৃতীয় দিন বিরতি। আবার চতুর্থ দিন শারীরিক শক্তি বাড়াতে ব্যায়াম করেন। পঞ্চম দিন আবার ট্রেডমিলে ৪০ মিনিটের মতো হাঁটেন। সপ্তাহের ষষ্ঠ দিনে কারিনা করেন যোগাসন আর পেটের শক্তি বাড়ানোর কিছু ব্যায়াম। সপ্তম দিনে আবার বিরতি। গর্ভকালীন অবস্থায় বেবো যোগব্যায়ামই বেশি পছন্দ করেন। এই নিয়ে নেট দুনিয়ায় তিনি নানা রকম ভিডিও দিচ্ছেন। মা হওয়ার পর অনেকে রাতারাতি ওজন ঝরানোর জন্য কঠোর ডায়েটে নিজেকে বেঁধে ফেলেন। আর প্রচুর ব্যায়াম করেন। কারিনার মতে, এ বিষয়ে কখনো তাড়াহুড়ো করতে নেই। ধীরে ধীরে বাড়তি ওজন ঝরাতে হয়।

eTTrezB.jpg


ভুল থেকে শিক্ষা

প্রথমবারের মাতৃত্ব থেকে নানা শিক্ষা নিয়েছেন কারিনা। তাই এবার তিনি আরও বেশি সচেতন এবং সাবধানী। কারিনা বলেছেন, ‘প্রচলিত কথা যে গর্ভাবস্থায় দুজনের জন্য আহার করতে হয়। নিজের জন্য আর গর্ভস্থ শিশুর জন্য আরও বেশি করে খেতে হয়।’ তাই তৈমুরের জন্মের সময় ২৫ কেজি ওজন বাড়িয়ে ফেলেছিলেন নবাবপত্নী। আর এই ভুল থেকে এবার শিক্ষা নিয়েছেন কারিনা। তিনি শুধু নিজের জন্যই খাবার খাচ্ছেন। এই বলিউড তারকা বলেছেন, ‘অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। তবে আমি উপলব্ধি করেছি যে শুধু আমি নিজের জন্যই খাব। দুজনের জন্য আর না।’

IW48H1V.jpg


কালোতে উজ্জ্বল দাওয়াতে

আমি অন্তঃসত্ত্বা, অসুস্থ নই

করোনাকালের মধ্যেই কারিনা তাঁর পরবর্তী সিনেমা লাল সিং চাড্ডা–র শুটিং করেছেন। তখন তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এই নিয়ে অনেকেই তাঁর সমালোচনা করেছেন। আর তার সমুচিত জবাব দিয়েছেন কারিনা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি অন্তঃসত্ত্বা, অসুস্থ নই। গর্ভাবস্থা কোনো অসুস্থতা নয় যে আমি বাড়িতে বসে থাকব। এটা সত্যি এ সময় কিছু শারীরিক অসুবিধা হয়। তাই নিজেকেই নিজের যত্ন নিতে হয়। শুধু অন্তঃসত্ত্বা বলে কাজকর্ম ছেড়ে ঘরে বসে যাওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। আর আমি আমার কাজকে রীতিমতো উপভোগ করি’। প্রথমবার মাতৃত্বের সময়ও কারিনা দারুণভাবে সক্রিয় ছিলেন। নিজেকে নানান কাজে ব্যস্ত রাখতেন।

lKVq7TW.jpg


দ্বিতীয়বাররের মতো অন্তঃস্বত্ত্বা কারিনা কাপুর। তবে নিজের সব কাজই চালিয়ে যাচ্ছেন কারিনা, ছবি: ইনস্টাগ্রাম

নিজেকে সাজান

মাতৃত্বকালীন এই সফরেও যে নিজেকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা যায়, তা কারিনা প্রমাণ করেছেন। এমনকি র‍্যাম্পে হাঁটার সাহসও দেখিয়েছেন। প্রথমবার মা হওয়ার সময় কারিনা ডিজাইনার সব্যসাচী মুখার্জির ডিজাইন করা লেহেঙ্গা পরে ল্যাকমের মঞ্চ আলো করেছিলেন। কারিনার মতে, গর্ভকালীন অবস্থায় ফুলেল ছাপা পোশাকে নিজেকে অনেক উজ্জ্বল লাগে। আর তাঁর মতে, উৎসবের সময় চুরিদারের বদলে পালাজ্জো বা লেহেঙ্গাতে বেশি সুন্দর লাগে সবাইকে। কারিনার পছন্দের তালিকায় লম্বা ঘেরওয়ালা স্কার্ট আর টপ, ম্যাক্সিও আছে। এ ছাড়া এই নায়িকা কাঁধখোলা টপ বা লম্বা ফ্রকেও বেশি স্বচ্ছন্দ। কারিনা মনে করেন, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় রাতের কোনো পার্টির জন্য উপযুক্ত রং হলো কালো। কালো রঙের পোশাকে নারীরা সব সময় উষ্ণতা ছড়ায়। বেবোর কথায়, এই সময় এমন পোশাক নির্বাচন করা উচিত, যাতে হবু মা আরাম বোধ করেন।

MWJFOb4.jpg
 

Users who are viewing this thread

Back
Top