এক ভদ্রলোক থানায় এসে বললেন-
ভদ্রলোক : আমার স্ত্রী হারিয়ে গেছে।
ইন্সপেক্টর : কবে?
ভদ্রলোক : এক মাস আগে!
ইন্সপেক্টর : তাহলে এত দিন পর বলছেন কেন?
ভদ্রলোক : গতকাল পর্যন্ত মনে হচ্ছিল, আমি স্বপ্ন দেখছি!
গভীর রাত পর্যন্ত বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে মাতাল অবস্থায় বাড়ি ফিরছিল উইলিয়াম। মাঝরাস্তায় পুলিশ তার পথ রোধ করে দাঁড়াল-
পুলিশ : কোথায় যাচ্ছেন?
উইলিয়াম : বক্তৃতা শুনতে।
পুলিশ : এত রাতে আপনাকে বক্তৃতা শোনাতে কে বসে আছে, শুনি?
উইলিয়াম : আমার স্ত্রী।
জজ সাহেব : যখন এই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হচ্ছিল তখন কি তুমি সেখানে উপস্থিত ছিলে?
সাক্ষী : জী হ্যাঁ।
জজ সাহেব : তোমার এই ঝগড়া থেকে কি ধারণা হলো?
সাক্ষী : হুজুর আমি জীবনেও বিয়ে করব না ।
বিচারক : রাত বারোটার সময় খিড়কি দরজা দিয়ে তুমি এই মহিলার বাড়িতে ঢুকেছিলে কেন?
আসামি : ভেবেছিলাম, ওটা আমার নিজের বাড়ি।
বিচারক : বেশ, যদি তাই হয়, তাহলে এই মহিলাকে দেখে জানালা টপকে চৌবাচ্চার আড়ালে লুকাতে গেলে কেন?
আসামি : ভেবেছিলাম, ইনি আমার স্ত্রী।
শরিফ আর সাকিব দুই বন্ধু। তাদের মধ্যে কথা হচ্ছে-
সাকিব : আচ্ছা, বল তো, তোকে যদি পুনর্জন্ম নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, তুই কী হয়ে জন্ম নিবি?
শরিফ : তেলাপোকা।
সাকিব : কেন?
শরিফ : কারণ আমার স্ত্রী ওই একটা জিনিসই ভয় পায়!
কামাল মিয়া একটি ব্যাংকে গিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাকে বলছেন-
কামাল : আমি ১০ লাখ টাকা ঋণ নিতে চাই।
কর্মকর্তা : কী উদ্দেশ্যে ঋণ নেবেন?
কামাল : এই টাকা দিয়ে আমি গাড়ি কিনব।
কর্মকর্তা : ঠিক আছে, আমি ব্যবস্থা করছি। তবে আগেই বলে রাখি, আপনি যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে না পারেন, ব্যাংক আপনার গাড়ি নিয়ে নেবে।
কামাল : ইস! আগে বলবেন না? আগে জানলে আমি ঋণ নিয়ে বিয়ে করতাম!
একদিন এক বিবাহিত নারী হাঁটতে হাঁটতে ফাঁদে আটকানো এক ব্যাঙকে দেখে উদ্ধার করল। ব্যাঙ খুশী হয়ে নারীকে তিনটা ইচ্ছা প্রকাশ করতে বলল, যা সে পূরণ করবে। কিন্তু শর্ত হলো নারীর পূরণকৃত ইচ্ছার চেয়ে ৫ গুণ স্বামীকে প্রদান করা হবে।
নারী তার ১ম ইচ্ছার কথা বলল-
নারী : আমি বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী মহিলা হতে চাই।
ব্যাঙ : চিন্তা করে দেখ, তোমার স্বামী কিন্তু তোমার ৫ গুণ সুন্দর হবে।
নারী : সে আমার স্বামী, আমি তাকে সুন্দর দেখতে চাই।
ব্যাঙ নারীর স্বামীর প্রতি প্রেম দেখে খুশী হয়ে ১ম ইচ্ছা পূরণ করলো।
নারী তার ২য় ইচ্ছার কথা বলল-
নারী : আমি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মহিলা হতে চাই।
ব্যাঙ : চিন্তা করে দেখ, তোমার স্বামী কিন্তু তোমার ৫ গুণ ধনী হবে।
নারী : সে আমার স্বামী, তার সম্পদ আমার, আমার সম্পদ তার।
ব্যাঙ খুশী হয়ে তার ২য় ইচ্ছা পূরণ করলো।
নারী তার ৩য় ইচ্ছার কথা বলল-
নারী : আমি চাই আমার মাঝারী ধরনের হার্ট অ্যাটাক হোক।
ব্যাঙ : চিন্তা করে দেখ, তোমার স্বামী কিন্তু মারা যাবে।
নারী : তা নিয়ে চিন্তা নাই, আরেকটা পাবো।
ম্যানেজার তার নতুন সেক্রেটারিকে বলল, আমি এখন জরুরি মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকব। কোনো ফোন এলে পরে করতে বলবে।
সেক্রেটারি : জরুরি কথা থাকলে?
ম্যানেজার : যে কথাই হোক, তুমি স্রেফ না বলে দেবে। বলবে অমন কথা সবাই বলে। যা-ই হোক, আমি এখন কথা বলতে চাই না। হ্যাঁ, মনে থাকে যেন। বলবে অমন কথা সবাই বলে।
ম্যানেজার যেতেই সেক্রেটারি ফোন রিসিভ করতে লাগল এবং না করে দিল। কিন্তু ওপাশের নারীটি জরুরি, ভীষণ জরুরি কথা ইত্যাদি বলে। কিন্তু সেক্রেটারিকে গলাতে না পেরে বলেই ফেলল। আমি তার স্ত্রী বলছি।
সেক্রেটারি : অমন কথা সবাই বলে।
মিলু সাহেব রাতে বেঘোরে ঘুমাচ্ছেন। এমন সময় স্ত্রীর ভীষণ ডাকাডাকিতে ধড়মড়িয়ে উঠলেন।
স্বামী : কি হয়েছে, বেশ তো ঘুমোচ্ছিলাম, আবার ডাকাডাকি কেন?
স্ত্রী : কেন আবার তোমাকে যে ঘুমের ওষুধ দেয়া হয়নি।
হন্তদন্ত হয়ে পোস্ট অফিসে ঢুকলেন এক ভদ্রলোক। পোস্টমাস্টারের কাছে গিয়ে বললেন-
ভদ্রলোক : এই যে ভাই শুনছেন, আমার স্ত্রী হারিয়ে গেছে।
পোস্টমাস্টার : তো পোস্ট অফিসে এসেছেন কেন? থানায় যান।
ভদ্রলোক : ওহ! তাই তো! দুঃখিত ভাই। আসলে খুশিতে কী যে করব, বুঝে উঠতে পারছি না!