What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

একদম ফালতু কিছু জোকস (5 Viewers)

হাইওয়েতে জলিল সাহেবের গাড়ি আটক করল পুলিশ। কর্তব্যরত সার্জেন্ট ধমক দিয়ে বললেন, ‘ব্যাপার কী? আপনি এত আস্তে গাড়ি চালাচ্ছেন কেন?’
জলিল: রাস্তার শুরুতে দেখলাম, ওপরে বড় করে লেখা ২০। ভাবলাম, এই রাস্তার সর্বোচ্চ গতিসীমা নিশ্চয় ২০। তাই…
সার্জেন্ট: ওরে বোকা, এটা ২০ নম্বর রাস্তা। কিন্তু কথা হচ্ছে, আপনার গাড়ির পেছনের সিটে বসা দুজন এমন ভয়ার্ত চোখে চেয়ে আছে কেন? চুল খাড়া হয়ে আছে, দাঁতকপাটি লাগার দশা। ঘটনা কী?
জলিল: না মানে, একটু আগে ২১২ নম্বর রাস্তা দিয়ে এলাম তো!
 
বিখ্যাত গোয়েন্দা শার্লক হোমস ও তাঁর সহকারী ওয়াটসন একটা বেলুনে চেপে উড়ে বেড়াচ্ছিলেন। উড়তে উড়তে চলে যাচ্ছিলেন এক দেশ থেকে আরেক দেশে।
নিজেদের অবস্থান বুঝতে না পেরে শার্লক বেলুন থেকেই চিৎকার করে এক লোককে ডাকলেন, ‘এই যে শুনছেন, আমরা এখন কোথায় আছি বলতে পারেন?’
লোকটা কিছুক্ষণ ভেবে উত্তর দিল, ‘আপনারা একটা বেলুনে আছেন।’
উত্তর শুনে শার্লক তাঁর সহকারীকে বললেন, ‘ওয়াটসন, বলো তো, এই লোকটার পরিচয় কী?’
ওয়াটসন: আমার ধারণা, লোকটা পাগল।
শার্লক হোমস: নাহ্। সে একজন গণিতবিদ।
ওয়াটসন: কী করে বুঝলে?
ওয়াটসন: প্রথমত, লোকটা উত্তর দেওয়ার আগে কিছুক্ষণ ভেবে নিয়েছে। দ্বিতীয়ত, লোকটা আমাদের একদম সঠিক উত্তরটাই দিয়েছে। তৃতীয়ত, তার উত্তরের কোনো ব্যবহারিক প্রয়োগ নেই!
 
একদিন এক কৃষকের বাড়িতে হানা দিলেন এক গোয়েন্দা। সহজ সরল কৃষককে ধমক দিয়ে গোয়েন্দা বললেন, ‘সরে দাঁড়াও, আজ তোমার বাড়িতে তল্লাশি করব!’
কৃষক বললেন, ‘তল্লাশি করতে চান, করুন স্যার। কিন্তু দয়া করে বাড়ির উত্তর দিকের মাঠটাতে যাবেন না।’
গোয়েন্দা কৃষকের নাকের ডগায় পরিচয়পত্রটা ঝুলিয়ে বললেন, ‘এটা চেন? এখানে আমার নাম লেখা আছে—গোয়েন্দা ছক্কু মিঞা! এটা দেখলে যে কেউ ভয়ে কুঁকড়ে যায়! আর তুমি কিনা আমার কাজে বাধা দিতে চাও?’
ঝাড়ি খেয়ে আর কিছু বললেন না কৃষক।
কিছুক্ষণ পরই দেখা গেল, উত্তর দিকের মাঠ থেকে গোয়েন্দা ছক্কু মিঞার চিৎকার শোনা যাচ্ছে, ‘বাঁচাও! আমাকে বাঁচাও’। কৃষক ছুটে গিয়ে দেখলেন, একটা ষাঁড় ছক্কু মিঞাকে তাড়া করছে। দূর থেকে কৃষক বললেন, ‘স্যার, ওকে আপনার পরিচয়পত্রটা দেখান!’
 
ঘুম থেকে উঠে স্ত্রী বললেন, ‘আজকের সকালটা অনেক সুন্দর!’
পরদিনও একই কথা, ‘চমৎকার একটা সকাল আজ!’
এবং তার পরদিনও, ‘কী সুন্দর সকাল!’
বিরক্ত স্বামী জিজ্ঞেস করলেন, ‘প্রতিদিন তোতাপাখির মতো এই বুলি আওড়ানোর অর্থ কী?’
স্ত্রী বললেন, ‘কেন, মনে নেই সেদিন বলেছিলে, “একটা সুন্দর সকালে যেদিকে দুচোখ যায়,
চলে যাব”!’
 
রেডিওর বিশেষ বুলেটিন,
‘এই মুহুর্তে একজন ভয়ঙ্কর পাগল প্রচন্ড স্পিডে মেইন রোডে উল্টো রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে।’
এমন খবর শুনে এক বৃদ্ধা সাথে সাথে তার স্বামীকে মোবাইলে ফোন করল যে কি না একটু আগেই গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছে।
স্ত্রীর সাবধান বানী শুনে বৃদ্ধা বলল-
‘হ্যাঁ, হ্যাঁ, আমি দেখতে পাচ্ছি …
কিন্তু শুধু একজন না, হাজার হাজার উল্টো রাস্তায় আসছে।
 
এক ভদ্রলোক বিদেশ থেকে উন্নত প্রজাতির একটি কুকুর কিনে বাড়িতে আনলেন। কুকুরটির বৈশিষ্ট্য হল যে, সে শুধু তার প্রভু বা মালিকের গায়ের গন্ধ শুঁকেই তার পরিবার বা আত্মীয়স্বজনদের নির্ভুলভাবে চিনে নিতে পারে।
তো একদিন ভদ্রলোক কুকুরটিকে নিজের গায়ের গন্ধ শুঁকিয়ে বললেন, যা, স্কুল থেকে আমার ছেলে দুটোকে নিয়ে আয়।
কুকুর তো মালিকের গায়ের গন্ধ শুঁকে ছেলেদের আনতে গেল, কিন্তু ঘন্টাখানেক পরেও তার ফিরে আসার আর নাম নেই। ভদ্রলোক চিন্তায় পড়ে গেলেন। ওনার স্ত্রী তো কান্নাকাটি শুরু করে দিলেন। আরও বেশ কিছুক্ষণ কেটে যাওয়ার পরেও ওরা না ফিরতে, ভদ্রলোক তার স্ত্রী কে নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন।
রাস্তায় কিছুটা যাওয়ার পর ওরা দেখতে পেলেন, কুকুরটি ফিরছে। কিন্তু এ কী, কুকুরটার সঙ্গে পাঁচটি ছেলে ! দুজন ভদ্রলোকটির প্রতিবেশীর ছেলে, একজন বাড়ির পরিচারিকার ছেলে, একজন ওনার সম্পর্কে এক শালীর ছেলে এবং একজন ওনার অফিসের সেক্রেটারির ছেলে।
ভদ্রমহিলা তো এই দেখে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে বললেন, এই তবে তোমার কীর্তি ? এইসব গুলো তোমার পাপের প্রোডাক্ট ?
ভদ্রলোক ততোধিক ক্ষিপ্ত হয়ে বললেন, ওসব ছাড়। আমি যে দুটোকে নিজের ছেলে বলে জানি, সেদুটো গেল কোথায়?
 
এক নোয়াখাইল্লা ভুলবশত অন্য এক নাম্বারে ১০০টাকা রিচার্জ করে ফেলল , যখন সে নিজের ভূল বুঝতে পারল তখন সে ওই নম্বরে অনেকবার ফোন করল…
কিন্তু ওই নম্বরের লোকটা ছিল বরিশালের, (বেশ চতুর) – মাগনা রিচার্জ পেয়ে সে তো মহা খুশী . . তাই সে অন্য কারু বোকামী বুঝতে পেরে অচেনা নম্বরের ফোন আর ধরলনা।
নোয়াখাইল্লা ফোনের পর ফোন দিতেসে কিন্তু হ্যাতে ধরেনা।
তখন নোয়াখাইল্লা বরিশাইল্লারে মেসেজ দিল :
“লস্কর-ই-তৈয়বায় বাংলাদেশ শাখায় আপনাকে স্বাগতম !
এখন থেকে আপনি আমাদের ৪২০ নং সদস্য।
আপনি আমাদের রিচার্জ স্বীকার করে আজ থেকে নব্য তালেবানের সদস্য হয়ে গেছেন ! আল্লাহ আপনার শহীদী মৃত্যু কবুল করুন।
জনাব, সতর্ক থাকবেন –
দেশের ডিবি এজেন্টরা এবং বিদেশ থেকেও আমাদের উপর কড়া নজর রাখছে, আপনার ফোন খুব সাবধানে ব্যবহার করবেন, কোন অচেনা নম্বরের কারো সাথে কথা বলবেন না।
তবে আমার নম্বরটি সেভ করুন –
অতি শীঘ্রই পরবর্তী নির্দেশনা আসতেসে।…..
“নারায়ে তাকবীর . . .আল্লাহু আকবার”
ঘাবড়ে গিয়ে বরিশাইল্লাডা সাথে সাথে নোয়াখাইল্লারে ফোন করে বলল :
“মোরে সদস্য বানাইতে আমনেরে কইছে কেডা? মোরে বেকুব পাইছ? মুইকি তোমার ধারে টেহা চাইছি, না মোর চোইদ্দ গুষ্টিতে কেউ তোমাগোর সদস্য আছে ! ”
নোয়াখাইল্লা তখন বলল –
“জনাব, ইসলামে জবরদস্তি বলে কিচ্ছু নাই। আপনি যেহেতু না’রাজ তাহলে আমাদের রিচার্জ এর টাকা টা ফিরিয়ে দিন, সদস্যপদ অটোমেটিক বাতিল হয়ে যাবে ! ”
[কল শেষ হবার ৫ মিনিটের মধ্যে নোয়াখাইল্লার মোবাইলে রিচার্জ ফেরত আসল . . .]
নোয়াখাইল্লা এবার আবার ম্যাসেজ পাঠালো
“ও মনু, বেকুব কি মুই না তুমি?
 
জামাই গেছে শ্বশুরবাড়িতে.. .
অনেকদিন বাদে আসছে তাই শাশুড়ি ভালো ভালো রান্না করছে।
পোলাও, মাংস, রুই মাছ, কোপ্তা, কালিয়া, দই, বেগুনভাজি এবং পাটশাক!!
তো শাশুড়ি প্রথমে জামাইর প্লেটে একগাদা পাটশাক তুলে দিল!

জামাই তাড়াতাড়ি সেটুকু খেয়ে ফেলল…
এদেখে শাশুড়ি বলে উঠলেন বাবা তোমার বুঝি পাটশাকটা খুব ভালো লেগেছে, আরেকটু দেই?…
বলতেবলতে আরেকগাদা পাটশাক জামাইয়ের প্লেটে তুলে দিলেন তিনি!
জামাই একটু মনক্ষুণ্ন হল!!

খাওয়ার এতো আইটেম; বড় বড় মাংসের টুকরা, মাছের পেটি তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে।
এখন তো শুধু পাটশাক খেয়েই পেট ভরে গেল! জামাই ঐটুকুও খেয়ে শেষ করতেই শাশুড়ি বললেন,.বাবা আরো একটু.দেব?
জামাই তখন খাওয়া ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে বলল, আম্মা আপনার আর কষ্ট করে প্লেটে শাক তুলে দেয়া লাগবেনা!! পাটক্ষেতটা দেখাইয়া দেন, আমি গিয়া খাইয়া আসি!!
 
উকিল সাহেবের প্রথম স্ত্রী চলে যাওয়ার পর বাসার কাজের মেয়েকে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর এক প্রতিবেশী ভাবী এসে উকিলের বউকে জিজ্ঞেস করে : কেমন লাগছে উকিল সাহেবের নতুন সংসার?

মিসেস উকিল উত্তর দিলেন : আফা কুনু তফাৎ ফাই নাই গো, কাম কাইজ আদর সোহাগ বিয়ার আগে যা আছিল, এখনও তাই আছে। ফাঁকে দিয়া আমার বেতনডা বন্ধ কইরা দিসে গো আফা। আগে উকিল সাব খুশি অইয়া বখশিস দিতো, অহন হেইডাও বন্ধ। আহারে এতোদিনে কত ট্যাহা বেতন ফাইতাম। উকিল সাবের বুদ্ধিগো আফা! আমার পুরাডাই লস…
 
লঞ্চে প্রচুর ভীর। এক দম্পতি কোন রকম ডেকে চাদর পেতে চাদর গায়ে দিয়ে শুয়ে পড়েছে। সবাই হয় ঘুমাচ্ছে না হয় ঝিমাচ্ছে। এক সময় যুবতী স্ত্রীটি স্বামীকে কানে কানে ফিসফিস করে বললেন, “এক বেডায় মোর বেলাউজের ভেতর হাত ঢুকাইছে।”

উত্তরে স্বামীটি বললো, “টাহা তো মোর ধারে, বেক্কল মনে হরছে টাহা তোমার ধারে। কিছু কইওনা, হালারে ভালো কইরা খুঁজতে দাও।”
 

Users who are viewing this thread

Back
Top