এক দম্পতি তাদের কুড়িতম বিবাহবার্ষিকীর দিনে একটি বিদেশী সিনেমা দেখতে গেলেন। সিনেমা শেষে বাড়ি ফিরে স্ত্রী খুব আবেগমথিত গলায় স্বামীকে বললেন, "সিনেমায় ছেলেটাকে দেখলে বউকে কী ভালােবাসে। তুমি অমন পারাে না। শুনে স্বামীটি উত্তর করলেন, খেপেছ? জানাে ওসবের জন্য ওরা কত টাকা পায়?
নরকে পৌছে নাম রেজিষ্ট্রি করবার লাইনে দাড়িয়ে দুই ভদ্রলােকের
কথােপকথন: আপনি কীভাবে মারা গেলেন?
আমি একটা আলমারির মধ্যে দমবন্ধ হয়ে মারা গেলাম। আর আপনি?
আমি অফিস থেকে বাড়ি ফিরে আমার স্ত্রীকে এক পুরুষের সঙ্গে খুবনিচু গলায় কথা বলতে শুনলাম। কিন্তু ঘরে ঢুকে তন্নতন্ন করে খুঁজেও কাউকে পেলাম না। তখন আমার স্ত্রীর ভর্ৎসনা, গঞ্জনা (তাকে মিথ্যে সন্দেহ করার জন্য) সহ্য করতে না পেরে গলায় গামছা বেঁধে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে সুইসাইড করলাম। হায়! আপনি যদি একটু বুদ্ধি খরচ করে আলমারিটা খুঁজে দেখতেন, তাহলে আমাদের দুজনের কাউকেই মরতে হত না।
এক মাতাল রােজই প্রচুর মদ খেয়ে মাঝরাতে বাড়ি ফেরে। তার বউ ঘুম থেকে উঠে দরজা খুলে দেয়। এমনই এক রাতে টলতে টলতে সে তার বাড়ির দরজার কাছে পৌছেছে। সেখানে তখন একটা গােরু দাঁড়িয়ে ছিল। নেশার ঘােরে মাতাল ভাবল, তার ফিরতে দেরি দেখে বােধহয় তার বউ তার জন্য অপেক্ষা করছে। তাই সে খুব গদগদ হয়ে গােরুর লেজটা ধরে আদর করতে করতে বলল, পিলুর মা, রােজ তুমি দুটো বিনুনি কর। আজ একটা কেনগাে?
এক মহিলা অন্য খরিদ্দারকে ধাক্কা দিয়ে ঢুকলেন লােহার জিনিসের
দোকানে। চেঁচিয়ে বললেন, একটা ইঁদুর ধরার খাঁচা দিন তাে, চটপট। আমাকে
ট্রেন ধরতে হবে। দোকানদার বললেন-সরি ম্যাডাম, অতবড়াে খাঁচা তাে
আমাদের কাছে নেই।
স্বামী-স্ত্রীর কথা বন্ধ। স্বামী রাতে টেবিলে চিরকুট রেখে শুতে গেলেন। চিরকুটে লেখাজরুরি কাজ আছে। ভাের চারটেয় ডেকে দেওয়া হয় যেন।
ঘুম যখন ভাঙল তখন সকাল সাতটা ধড়ফড়িয়ে উঠে স্বামী দেখলেন।
বালিশের পাশে চিরকুট। লেখা আছে, চারটে বাজে।
এ কী! দশ হাজার টাকার চেক কাকে পাঠাচ্ছ?
আমার বােনকে। জন্মদিনের উপহার।
কিন্তু চেকটাতে সই করােনি তাে!
না, মানে, বােনকে সারপ্রাইজ দিতে চাই। কে পাঠাচ্ছে তা ওকে জানতে দিতে চাই না।
শিক্ষকমশাই বললেন, তােমার রেজাল্ট এত খারাপ হল কেন জয়দীপ?
কাল বাবাকে একবার স্কুলে আসতে বলাে। তার সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।
কিন্তু, তার জন্য যে ফি লাগবে স্যার?
ফি? কীসের জন্য? শিক্ষকমশাই অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন।
আমরা বাবা যে উকিল। ফি ছাড়া কোনাে বিষয়ে কারও সঙ্গেই
পরামর্শ করেন না।
একটা কারখানায় এতদিন শুধু পুরুষরাই কাজ করত। নতুন ম্যানেজার
এসে সে নিয়ম ভেঙে মহিলাদেরও নিয়ােগ করলেন। কয়েকদিন পর, কে
কেমন কাজ করছে দেখতে এলেন তিনি। সবাইকে লক্ষ্য করলেন, সবকিছু
দেখলেন, বুঝলেন, তারপর অফিসে ফিরেই মহিলা কর্মীদের উদ্দেশে একটা
বিজ্ঞপ্তি জারি করলেন। তাতে লেখা ছিল, যদি আপনি ঢােলা পােশাক পরে আসেন, তাহলে মেশিনগুলি থেকে সাবধান থাকবেন। আর টাইট পােশাক পরে এলে সাবধান হবেন মেশিনম্যানদের থেকে।