What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

এক কাকোল্ড পুরুষের আত্মজীবনী (2 Viewers)

( লেখকের নাম মনে নেই । কারো জানা থাকলে জানাবেন । )




প্রায় ১৫ বছর আগের কথা। হ্যাঁ একদম সঠিকভাবে সাল, মাস সবই মনে আছে। ২০০১ সাল, মে মাস। চৈত্র পেরিয়ে বৈশাখের শুরু। গ্রীস্মের চরম দাবদাহে শরীর আগুনে পুড়ে যাচ্ছে। আজকের মত কুলার মেশিন বা এসি তখন ঘরে ঘরে ছিলনা। নির্ভর করতে হত টেবিল ফ্যান বা হাতপাখার ওপর। আর সেইসময় গরমকালে লোড শেডিং ছিল অতিআবশ্যক এক বিষয়। না শুধু এই কারনেই এতো নিপুণভাবে সাল, মাস মনে রাখা আমার পক্ষে সম্ভব হত না। কারণটা ছিল অন্য। আজ যখন গল্পটা লিখতে আরম্ভ করলাম তখন কোনখান থেকে শুরু করব ভাবতে ভাবতে ওই সময়ের কথাই মনে পড়ে গেল।
বাল্যকাল কেটেছে কলকাতা, শিলিগুড়ি আর ধানবাদে। বাবার চাকরিসুত্রে অন্তত ৫ টা স্কুলে বদলি হয়েছিলাম। প্রতিবার নতুন স্কুল আড় নতুন বন্ধু। সেই বয়সে কারুর ই মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা থাকেনা। তাই ধীরে ধীরে একাকীত্ব আমায় গ্রাস করছিল। যার প্রভাব পড়ে আমার পড়াশুনায়। মোট ৩ খানা সাবজেক্ট এ ফেল করে গেছিলাম। একধাক্কায় সেকশান এ থেকে সেকশান ডি তে। মায়ের পক্ষে আমার এই অবনমন মেনে নেওয়া সম্ভব ছিলনা। যদিও মা নিজের হতাশা আমার ওপর প্রকাশ করেনি। সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ে বাবার ওপর। বাবা চাকরি করতেন পুলিশে। ঠিক কি কারনে প্রতি বছর বাবার ট্রান্সফার হত আমার জানা নেই। আর বাবার এই পরিবর্তনশীল জীবনের প্রভাব পড়েছিল আমার পড়াশুনায়।
সেদিন রাতে বাবা ও মায়ের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। আমি সারারাত ঘুমাইনি। এটাও বুঝতে পারি যে মা প্রচণ্ড কান্নাকাটি করেছে। এবং অবশেষে বাবার মায়ের ওই আবদার মেনে নেওয়া। পরের দিনই রাতের ট্রেনে আমি মায়ের সাথে কলকাতায় ফিরে আসি এবং সেখান থেকে কল্যাণী। কল্যাণী ছিল আমার স্বপ্নভুমি। কারন এই পরিবর্তনশীল জীবনে আমার মামাবাড়ি কল্যানিই ছিল একমাত্র স্থল যেখানে আমার নির্দিষ্ট কিছু বন্ধু ছিল। তবুও আমার মন প্রচণ্ড খারাপ ছিল। কারন হয়ত মাসে একবার করে বাবাকে দেখতে পাবো। তবুও এক নতুন স্কুল, নতুন বন্ধু ও মামাবাড়ির পাশাপাশি পুরনো বন্ধুদের কথা ভেবে আমি রওনা দি কল্যাণী তে।
সম্ভবত এক কাকোল্ড পুরুষের জন্মও হয় এই কল্যাণী থেকে।

মামাবাড়ি পৌঁছানো মাত্র মাসি, মেসো, দিদা, দাদু, মামারা আমাকে নিয়ে মেতে উঠল। একটা অদ্ভুত ব্যাপার ছিল। তা হল, মামাবাড়িতে নাতি একমাত্র আমিই ছিলাম। আমার মোট ৩ টে মাসি। মা মেজো। বড়মাসির এক মেয়ে নাম রিয়া। সেজ মাসি নিঃসন্তান। আর ছোট মাসি অবিবাহিত। মামাদেরও সেইসময় বিয়ে হয়নি। সেই কারনে আদর একটু বেশীই পেতাম। কিন্ত এতো আদরেও আমার মন ভরত না। কারন আমি একজনকে খুঁজছিলাম। সে আর কেউ নয় আমার বাল্যবন্ধু পাপু। ওর ভালো নাম প্রশান্ত। পাপু হয়ত বয়সে আমার চেয়ে ২-৩ বছরের বড় ছিল। আমি তখন ক্লাস নাইন আর ও ক্লাস টেন এ পড়ত। বেশকিছুক্ষন পর আমি রিয়াকে আলাদা করে ডেকে বললাম ‘কিরে রিয়া পাপুকে দেখতে পাচ্ছিনা যে?’। দেখলাম রিয়ার মুখটা কেমন গম্ভীর হয়ে গেলো। আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না।
কিছুক্ষনের মধ্যেই দিদা আমার জন্য এক প্লেট পায়েস নিয়ে আসলেন। আমার মাথায় তখনও ওই একি কথা ঘুরঘুর করে চলেছে। ‘পাপু কোথায়?’ ‘রিয়া কেন আমায় পাপুর ব্যাপারে কিছু বলল না’। রান্নাঘরের মেঝেতে বসে খাচ্ছি। দেখলাম রিয়া দূরে দাঁড়িয়ে আছে। আবার ওকে ডাকলাম।
এবার কিছুটা গম্ভীর হয়ে জিজ্ঞেস করলাম ‘কিরে রিয়া তুই বললি না যে পাপু কোথায়?’
বেশ কিছুক্ষন নিসচুপ থেকে উত্তর দিলো ‘কোথায় আবার, স্কুলে গেছে’। সেদিনটা ছিল শনিবার অর্থাৎ হাফডে। অর্থাৎ বুঝতে পারলাম যে কিছুক্ষনের মধ্যেই পাপু ফিরে আসবে। কিন্তু রিয়া এতো গম্ভীর ভাবে বলছে কেন? মনে হোল, এতদিন বাদে এলাম অথচ রিয়ার সাথে কোন কথা না বলে পাপুর কথা জিজ্ঞেস করছি তাই হয়ত!

মা মাসিদের সাথে গল্পে মেতে গেছে। মামারা বোধ হয় আবার দোকানে চলে গেছে। মামা বাড়িটা বিশাল। প্রায় ১০০ বছরের পুরনো একটা বাড়ি। বাড়ির মোট সদস্য সংখ্যা ১২ জন হলেও বাড়িটা বেশ ফাঁকা ফাঁকা লাগে। বাড়ির একদিকে একটা বাগান। আড় বাগানের ভেতরেই আমাদের দীঘি। এই দীঘিটার জন্যই বেশ কম বয়সেই আমি সাঁতার কাটা শিখে গেছিলাম। একা একা বসে ছিলাম রিয়াকেও দেখতে পাচ্ছিলাম না। তাই ভাবলাম একটু ঘুরে আসি, রিয়া কোথায় দেখে আসি। দু তিনটে ঘর পাড় করে যেই বাগানের দিকে গেছি দেখি এ এক অন্য রিয়া।
শেষ মামাবাড়ি এসেছিলাম প্রায় ২ বছর আগে। ২ বছরে কতকিছুই না পালটে যায়। তবে সবচেয়ে বেশী পালটেছে রিয়া। আমি রিয়ার থেকে মাস দুয়েকের ই বড়। অর্থাৎ রিয়া আমারই বয়সী। শিলিগুড়ির স্কুলের মেয়েগুলো আড় রিয়া তো সমবয়সী। তাহলে তো সব স্বাভাবিক ই। অনেক ছোট থেকে রিয়ার সাথে মিশেছি, তাই বোন কম বন্ধু বেশী। ওর সাথে একসাথে শুয়েওছি, শরীরে শরীরে স্পর্শ হয়েছে। কিন্তু কোনোদিন এরকম উন্মাদনা হয়নি। মনে পড়ে গেলো শিলিগুড়ির স্কুলের সেই গোর্খা মেয়েটার কথাটা। একটু ঝুঁকলেই ওড়নার ফাঁক দিয়ে নরম নরম দুধ দুটো বেরিয়ে আসত। বাকিদের ও দুধ ছিল, কিন্তু অতটা বড় হয়ে যায়নি। বন্ধুরা মজা করে বলত ওর পাড়ার দাদা অমিত গুরুং নাকি বেশ কিছুদিন ধরে ওর দুধগুলো টিপছে তাই ওগুলো অত বড় হয়ে গেছে। তখন থেকেই মনে একটা ধারনা বদ্ধমূল হয়ে গেছে, মেয়েদের দুধ অল্প বয়সে বড় হয়ে যাওয়ার অর্থ, কেউ না কেউ দুধ টিপছে।
রিয়া আমার থেকে মাত্র ২-৩ হাত দুরেই দাঁড়িয়ে ছিল। কোমরের কাছে একটা গামছা জড়ানো। শরীরের ওপরে একটা সাদা টেপ। টেপের ফাঁক দিয়ে বুকের খাঁজটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। এতটুকু খুব ভালো করেই বুঝতে পারছি যে, এই দুবছরে ওর শরীরটা যথেষ্ট পরিনত হয়েছে। মাটিতে হলুদ ফ্রকটা পড়ে আছে। বুঝলাম ও ড্রেস চেঞ্জ করছিল। শিলিগুড়ির স্কুলে বন্ধুদের থেকে হস্তমৈথুন করতে শিখে গেছিলাম। তাই মেয়ে দেখলে ধন খাড়া হয়ে যাওয়ার অর্থ বুঝি। কিন্তু রিয়া তো আমার আপন বোন। আমার প্রচণ্ড বাজে লাগছিল।
আমার উপস্থিতি রিয়া বুঝতে পেরে যায়। এর আগে ওর মুখে এরকম লজ্জার ছাপ কখনো দেখিনি। দুহাত দিয়ে টেপের দুপাশটা ক্রমশ টেনে টেনে ও লজ্জা প্রকাশ করতে থাকে। আমি কিছু না বলে ফ্যালফ্যাল করে ওর দিকে চেয়ে থাকি। হয়ত রিয়া ধীরে ধীরে নারী হয়ে উঠছিল। তাই এতো সহজে অপ্রীতিকর অবস্থাটা কাটিয়ে উঠল।
‘অরুপদা তোমার মনে আছে আমরা পুকুরে কেমন স্নান করতাম? তুমি এক ডুবে এপার থেকে ওপারে চলে যেতে’।
আমিও লজ্জা ভেঙে ওর দিকে এগিয়ে গেলাম।
‘তুই কি স্নান করতে যাচ্ছিস? অনেকদিন পুকুরে স্নান করিনি, চল আমিও যাবো’।
এতক্ষনে রিয়ার মুখে সেই পুরনো মিষ্টি হাঁসিটা ফুটে উঠল।
‘তাহলে যাও, জামা প্যান্ট ছেড়ে আসো’।
আমি সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিলাম
‘না, মা জানলে বকবে। তোর কাছে তো গামছা আছে। চিন্তা কি’
টি শার্ট টা দ্রুত খুলে নিলাম। বেল্টটা খুলে প্যান্টের হুকটা খুলবো, মনে পড়ল ভেতরে জাঙিয়া পড়ে আছি। আগে আমি প্যান্টের ভেতর হাফ প্যান্ট পড়তাম। কিন্তু শেষ এক বছর জাঙিয়া ইউস করি। খুব লজ্জা লাগছিল। দেখলাম রিয়াও মুখটা ঘুরিয়ে নিয়েছে। বুঝলাম, আমরা দুজনেই ক্রমশ পরিনত হচ্ছি।

Dudranto suru dada. Waitnig for next

[Hidden content]

Osadharon dada. Jevabe golpo ageiye niye jacchen vasahin
 

Users who are viewing this thread

Back
Top