বেকড স্প্রাউটস খিচুড়ি
খারাপ লাগলেও একটা সত্যি আপনাকে স্বীকার করতেই হবে- গতো লকডাউনের সময় ঘরবন্দি থাকার অবসরে অনেক কিছুই শেখা গেল! বাড়ির সবাই একসাথে থাকার এমন নিরবচ্ছিন্ন সুযোগ আগে মেলেনি। সবাই মিলে একসাথে বসে খাওয়াদাওয়া হত কেবল ছুটিতে বেড়াতে গেলে। করোনাকালীন সময়ে সেই ছুটিটা বাধ্যতামূলক পেয়ে যাবার কল্যাণে পরিবারের সবাই একসাথে অনেক অনেক সময় কাটানোর সুযোগে বাড়িতে একটা পিকনিক পিকনিক ভাব চলে এসেছিলো। তবে তখন এটাও মাথায় রাখতে হয়েছিলো যে পরিবারের সকলের প্রয়োজনীয় পুষ্টির বরাদ্দ ঠিক রাখা একান্ত জরুরি। এমন রান্না এড়িয়ে চলতে হয়েছিলো যা করতে অনেক সময় আর পরিশ্রম লাগে। কারণ বাড়ির অন্যান্য সব কাজও তো নিজেকেই করতে হয়েছিলো। কোনো এক বিখ্যাত শেফ বলেছিলেন, "রান্না দারুণ একটি শিল্প, ভালো রান্না মানুষকে খুশি করে, আনন্দ দেয়। আর প্রিয়জনকে খুশি রাখতে কার না ভালো লাগে? তাই আজকে আমরা খুব সহজ একটি রেসিপি হাজির করছি আপনাদের জন্য।"
এখানে আপনাদের জন্য দুটি বিশেষ টিপস আগাম দিয়ে রাখি। এটা সব সময়ের জন্য মনে রাখা জরুরী...
এক নম্বর, দই বেশি আঁচে কেটে যেতে পারে, তাই খিচুড়ি বেশি বেক করবেন না।
দুই নম্বর, যাঁরা স্বাস্থ্যসচেতন, তাঁরা কিনওয়া বা ব্রাউন রাইস দিয়েও খিচুড়ি বানাতে পারেন।
উপকরণঃ
৩ টেবিলচামচ পেঁয়াজকুচি
১ চাচামচ জিরা
১টি কাঁচামরিচ
চাএ ভাগের এক চা-চামচ হলুদগুঁড়ো
স্বাদ অনুযায়ী লবন
চার ভাগের এক কাপ সাদা চাওলি
১ বড় চামচ টোম্যাটোকুচি
২ বড় চামচ ফেটানো দই
১ চা-চামচ গরম মশলা
চার ভাগের এক কাপ অঙ্কুরিত মুগডাল
সামান্য হিং
২ বড় চামচ ঘি
আধা কাপ চাল
আধা কাপ হলুদ মুগ ডাল
১ বড় চামচ ভাজা পেঁয়াজ
পদ্ধতিঃ
সব উপকরণ ভালো করে ধুয়ে নিন।
পেঁয়াজ, মরিচ, টোম্যাটোে কুচি করে আলাদা করে রাখুন।
চাল আর ডাল খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে, তার পর পানিতে ভিজিয়ে রাখুন কিছুক্ষণের জন্য।
এবার চাল, সাদা চাওলি, মুগ ডাল আর স্প্রাউটস একসাথে সিদ্ধ করতে বসান।
অন্য পাত্রে ঘি গরম করে তাতে জিরা, কাঁচামরিচ, হিং, পেঁয়াজ, টোম্যাটো দিয়ে ভাজা ভাজা করে নিন।
তার মধ্যে সিদ্ধ করা চাল-ডালের মিশ্রণ দিন।
লবন-মিষ্টি চেখে দেখে নিন ঠিক আছে কিনা।
এবার আভেনপ্রুফ পাত্রে ঢেলে উপরে ফেটানো দই ছড়িয়ে ১২০ ডিগ্রিতে বেক করে নিন ১০ মিনিট।
নামিয়ে ভাজা পেঁয়াজ ছড়িয়ে পরিবেশন করুন চাটনির সঙ্গে। [color]