খোলা জানালা দখিনের বাতাসে
ঢেকে যায় পর্দার আড়ালে
তখন তুমি এসে হেসে
বলে দাও, আছি তোমার পাশে
বহুদূর পথ ভীষণ আঁকাবাঁকা
পথ চলতে ভীষণ ভয়
তুমি এসে বলে দাও, আছি আমি পাশে
করোনা কিছুতেই ভয়
কখনো ভাবিনি চলে যাবে তুমি
আমাকে এভাবে কাঁদিয়ে
কখনো বুঝিনি ফিরে আসবেনা
আমার পৃথিবী রাঙিয়ে
জীবন নামের রেলগাড়িটা পায় না খুঁজে ইষ্টিশান
কোন লাইনে গেলে পাবে বলবে তারে কে এখন,
ও, জীবন নামের রেলগাড়িটা পায় না খুঁজে ইষ্টিশান।
কোথা থেকে ছেড়ে এলো যেতে হবে কতদূর
কোনখানে তার শেষ ঠিকানা, কোনখানে তার অচিনপুর?
কবে হবে লাইন কিলিয়ার? ডাকবে কবে মহাজন?
ও, জীবন নামের রেলগাড়িটা পায় না খুঁজে ইষ্টিশান।
প্রেম আগুনে চলে গাড়ি জ্বলে জ্বলে ফুরায় দম,
সিগনালে তার থামতে হলে থাকবে না যে সময় কম,
কোথায় আছে দমের মালিক? বল আমারে বল না মন।
ও, জীবন নামের রেলগাড়িটা পায় না খুঁজে ইষ্টিশান।
জীবন নামের রেলগাড়িটা পায় না খুঁজে ইষ্টিশান
কোন লাইনে গেলে পাবে বলবে তারে কে এখন,
ও, জীবন নামের রেলগাড়িটা পায় না খুঁজে ইষ্টিশান।
কাটেনা সময় যখন আর কিছুতে
বন্ধুর টেলিফোনে মন বসে না
জানালার গ্রীলটাতে ঠেকাই মাথা
মনে হয় বাবর মত কেউ বলে না
আয় খুকু আয় খুকু আয়
আয়রে আমার সাথে গান গেয়ে যা
নতুন নতুন সুর নে শিখে নে
কিছুই যখন ভাল লাগবে না তোর
পিয়ানোয় বসে তুই বাজাবিরে
আয় খুকু আয় খুকু আয় ।
সিনেমা যখন চোখে জ্বালা ধরায়
গরম কফির মজা জুড়িয়ে যায়
কবিতার বইগুলো ছুঁড়ে ফেলি
মনে হয় বাব যদি বলতো আমায়
আয় খুকু আয় খুকু আয়
আয়রে আমার সাথে আয় এখনি
কোথাও ঘুরে আসি শহর ছেড়ে
ছেলেবেলার মত বায়না করে
কাছ থেকে নেনা তুই আমায় কেড়ে
আয় খুকু আয় খুকু আয় ।
দোকানে যখন আসি সাজবো বলে
খোঁপাটা বেঁধে নেই ঠাণ্ডা হাওয়ায়
আরশিতে যখনই চোখ পড়ে যায়
মনে হয় বাবা যেন বলছে আমায়
আয় খুকু আয় খুকু আয়
আয়রে আমার কাছে আয় মামনি
সবার আগে আমি দেখি তোকে
দেখি কেমন খোঁপা বেঁধেছিস তুই
কেমন কাজল দিলি কালো চোখে
আয় খুকু আয় খুকু আয় ।
ছেলেবেলার দিন ফেলে এসে
সবাই আমার মত বড় হয়ে যায়
জানিনা কজনে আমার মতন
মিষ্টি সে পিছু ডাক শুনতে যে পায়
আয় খুকু আয় খুকু আয়
আয়রে আমার পাশে আয় মামনি
এ হাতটা ভাল করে ধর এখনি
হারানো সেদিনে চল চলে যাই
ছোট্টবেলা তোর ফিরিয়ে আনি
আয় খুকু আয় খুকু আয় ।
(সুরঃ ভি বালসারা, শিল্পীঃ হেমন্ত মুখার্জী ও শ্রাবন্তী মজুমদার)