ব্যাটসম্যান ছক্কা পেটাবার পর বলটা দর্শকদের ভিতরে গিয়ে পড়েছিল। একজন ফিল্ডার আস্তে আস্তে দৌড়ে গেল সেদিকে। বলটা ফেরত চাইল। কিন্তু বলটা কিছুতেই খুঁজে পাওয়া গেল না। দর্শকদের ভেতর বসে ছিল এক কমবয়েসী ছোকরা। সে খুব নিরীহ মুখে জানাল, আমার মনে হয়, বলটা বোধহয় এদিকে পড়ে নি। তবে আমি বাড়ি থেকে একটা বল নিয়ে এসেছি, আপনার খুব প্রয়োজন হলে একশ টাকা দিয়ে সেটা কিনতে পারেন। নেবেন?
ডাক্তার : আপনি বলছেন সারারাত ধরে ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন দেখেন। রোগী : হ্যাঁ। ডাক্তার : কতদিন ধরে এটা চলছে? রোগী : প্রায় এক বছর। ডাক্তার : কিন্তু আপনার অন্য কোনো স্বপ্ন দেখতে ইচ্ছে করে না? যেমন ধরুন, খাবার-দাবার বা বেড়াতে যাওয়া? রোগী : ও সব করতে গিয়ে আমি আমার ব্যাটিংটা মিস করি আর কী?
গত বৎসর আমি গার্লফ্রেন্ড ৭.০ থেকে ওয়াইফ ১.০ তে আপগ্রেড করেছিলাম। তার কিছুদিনের মাঝেই আমি বুঝতে পারলাম এটি অযাচিত ভাবে একটি চাইল্ড প্রসেসিং শুরু করেছে যা অনেক জায়গা এবং রিসোর্স নিয়ে নিচ্ছে।
শুধু তাই নয়, ওয়াইফ ১.০ ইনষ্টল হওয়ার সাথে সাথে অন্য প্রোগ্রামগুলোর সাথে ইন্টিগ্রেটেড হতে শুরু করেছে এবং বর্তমানে এটি সব ধরনের সিস্টেম একটিভিটি মনিটর করতে শুরু করেছে। ওয়াইফ ১.০ যেসকল প্রোগ্রামের সাথে কনফ্লিক্ট শুরু করেছে তার কয়েকটি- পোকার নাইট ৭.১, ফুটবল ৫.০, হান্টিং এন্ড ফিসিং ৭.৫ এবং গলফিং ৩.৬।
আমি ওয়াইফ ১.০ কে কিছুতেই ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেসে পাঠিয়ে আমার প্রিয় এপ্লিকেশনগুলো রান করাতে পারছি না। তাই আমি ঠিক করেছিলাম আমার আগের গার্লফ্রেন্ড ৭.০ তে যাওয়ার ব্যপারে। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য ওয়াইফ ১.০ তে কোনরকম আনইনস্টল প্রসিডিউর নাই। দয়া করে আমাকে উদ্ধার করুন।
পরের দিন টেকনিক্যাল সাপোর্ট থেকে জবাব এসে হাজির-
জনাব সমস্যাগ্রস্থ ব্যবহারকারী,
এটা খুবই কমন একটি সমস্যা যেটির বিষয়ে প্রায়ই লোকজন অভিযোগ করে থাকে। বেশীরভাগ লোকই গার্লফ্রেন্ড ৭.০ থেকে ওয়াইফ ১.০ তে আপগ্রেড করে এটিকে একটি ইউটিলিটি প্রোগ্রাম ভেবে যা তাদের এন্টারটেইনমেন্টের জন্য কাজে আসবে। কিন্তু আসল সত্যটা হচ্ছে ওয়াইফ ১.০ একটি অপারেটিং সিস্টেম যা ডিজাইন করাই হয়েছে সবকিছুর নিয়ন্ত্রন ভার নিজের কাছে নিয়ে নেয়ার মত করে। এবং এটিকে ডিলিট করার কোন উপায় নেই… এমনকি আনইষ্টল করারও কোন ব্যবস্থা নেই। এটি একবার যেখানে সেটাপ হয়ে যায় সেখানের সমস্ত সিষ্টেম ও প্রোগ্রাম ফাইলকে সরিয়ে জাঁকিয়ে হয়ে বসে। যাকে বলা যেতে পারে উড়ে এসে জুড়ে বসা!
আপনাকে আমরা দুঃখের সাথে জানাতে বাধ্য হচ্ছি যে আপনি ওয়াইফ ১.০ থেকে আর কোনদিনই গার্লফ্রেন্ড ৭.০ তে ফেরত যেতে পারবেন না… কারন এটি আপনাকে তা করতে দিবে না। আপনি দয়া করে ওয়াইফ ১.০ এর সাথে দেয়া সতর্কতাবাণী-মেইনটেনেন্স/চাইল্ড সাপোর্ট ম্যানুয়্যালটা পড়ে নিবেন। আপনার জন্য আমাদের পরামর্শ হলো আপনি ওয়াইফ ১.০ তেই থাকুন এবং চেষ্টা করুন পরিস্থিতি কিভাবে উন্নতি করা যায়। আমরা আপনাকে আরো উপদেশ দেব একটি ব্যাকগ্রাউন্ড এপ্লিকেশন সেটাপ করে নেয়ার ব্যপারে যা এটির যেকোন আর্গুমেন্টে “ইয়েস ডিয়ার” রিটার্ন করবে।
এটি নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য আপনি সবসময়ই প্রথমে C:\APOLOGIZE! কমান্ডটি ব্যবহার করবেন। কারন শেষ পর্যন্ত আপনাকে ‘APOLOGIZE’ কমান্ডটাই ব্যবহার করতে হবে সিষ্টেম স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরত আনার জন্য।
তবে আমরা আপনাকে পুরোপুরি নিরাশ করতে চাই না..। বস্তুত ওয়াইফ ১.০ একটি চমৎকার প্রোগ্রাম কিন্তু এটিকে অনেক যত্নের সাথে রাখতে হয়। ওয়াইফ ১.০ অবশ্য বেশ কিছু সাপোর্ট প্রোগ্রাম সহকারে সেটাপ হয়ে থাকে, যেমন ক্লিন এন্ড সুইপ ৩.০, কুক ইট ১.৫ এবং ডু বিল ৪.২।
তবে এসব প্রোগ্রাম ব্যবহারের সময় আপনাকে খুবই সচেতন থাকতে হবে। কারন এই প্রোগ্রাম ব্যবহার করতে গিয়ে একটু উনিশ বিশ হলেই কিছু থার্ড পার্টি প্রোগ্রাম ‘ক্যাট ক্যাট ১.৯’, ‘কাউ কাউ ৪.৯’ এক্সিকিউটেড হয়ে যাবে। আর একবার যদি তা হয়ে যায়.. তাহলেই সারছে! সিষ্টেমের বারোটা বেজে যাবে। তখন সিষ্টেমের আগের পারফরমেন্স ফেরত আনতে আপনাকে আরো বেশ কিছু ইউটিলিটি টুল কিনতে হবে। আমরা এক্ষেত্র আপনাকে ফ্লাওয়ার ২.১ ও ডায়মন্ড ৫.০ কেনার পরামর্শ দেব।
বিশেষ সতর্কতা: কোন রকমেই.. কোন অবস্থাতেই কোনরকম স্যাক্রেটারী উইথ শর্ট স্কার্ট ৩.৩ সেটাপ করতে যাবেন না। এই ধরনের এপ্লিকেশগুলো ওয়াইফ ১.০ এর সাথে একদমই ম্যাচ করে না এমনকি ফাইবার অপটিক লাইন কেটে গেলেও ৯০০ মেগাবাইট সাইজের অশান্তি ৯.৯ মূহুর্তের মাঝেই ডাউনলোড করে সিষ্টেমে বড় ধরনের ড্যামেজ করে দিতে পারে। বুইঝেন কিন্তু….
প্রথমবারের মত সমুদ্র দর্শনে বের হয়েছেন পদার্থবিদ, জীববিদ এবং রসায়নবিদ।
পদার্থবিদ সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ দেখে মোহিত হয়ে ঢেউয়ের ফ্লুইড ডাইনামিক্সের উপর গবেষণা করার কথা চিন্তা করে সাগরে চলে গেলেন। যথারীতি তিনি ডুবে গিয়ে আর ফিরলেন না।
জীববিজ্ঞানী সমুদ্রের ফ্লোরা-ফনার উপর গবেষণা করার জন্য সমুদ্রে গেলেন, কিন্তু তিনিও ঐ পদার্থবিদের মত সাগরে গিয়ে আর ফিরলেন না।
বহুক্ষণ ধরে বাকী দুইজনের জন্য অপেক্ষা করে রসায়নবিদ শেষে পর্যবেক্ষণ লিখলেন, ”পদার্থবিজ্ঞানী এবং জীববিজ্ঞানী উভয়ই সমুদ্রের পানিতে দ্রবনীয়”
মৃত্যুর পর সব বিজ্ঞানী ও গণিতবিদ স্বর্গে একসঙ্গে আছেন।
স্বর্গে তো কোনো জ্বালাযন্ত্রণা নেই, তাই আবিষ্কারের কোনো ঝামেলাও নেই।বিজ্ঞানীরা তো আর আরাম
করে বসে থাকতে পারেন না!তখন হঠাৎ বিখ্যাত গণিতবিদ কার্ল ফ্রেডরিক গাউস বললেন, ‘ছোটবেলায় আমাদের পাশের
বাড়িতে মেয়েগুলোকে দেখতাম চোর-পুলিশ খেলত। কিন্তু বাসা থেকে নিষেধ করার কারণে আমি ইচ্ছা থাকলেও ওদের সঙ্গে মিশতে পারতাম না। চলো, এবার আমরা চোর-পুলিশ খেলি।’ সবাই রাজি হলেন।
প্রথম চোর নির্বাচিত হলেন মাইকেল ফ্যারাডে। তিনি একটি গাছের পেছনে লুকালেন এবং এক
থেকে ১০ গুনতে থাকলেন। এর মধ্যে সব বিজ্ঞানী লুকিয়ে পড়লেও নিউটন লুকানোর জায়গা পাচ্ছিলেন না। হঠাৎ করে তাঁর মাথায় কি এল, তিনি মাটিতে এক মিটার দৈর্ঘ্যের চারটি দাগ টেনে একটি বর্গক্ষেত্র বানালেন।
তারপর বর্গটির মাঝে সোজা দাঁড়িয়ে থাকলেন। ১০ গোনা শেষ করে গাছের আড়াল থেকে বের হয়ে এসেই তো ফ্যারাডের চক্ষু চড়কগাছ! নিউটন
সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি চিৎকার শুরু করলেন, ‘নিউটনকে দেখেছি, নিউটন এখন চোর, নিউটন এখন চোর।’ ফ্যারাডের হর্ষধ্বনি শুনে বাকি বিজ্ঞানী ও গণিতবিদেরাও চলে এলেন। নিউটন বললেন, ‘না,
আমি চোর না।’ সবাই তো হতবাক!
স্বর্গে তো কেউ মিথ্যা কথা বলে না। সবাই নিউটনকে চোর হয়ে খেলা চালিয়ে যেতে বললেন।
নিউটন বললেন, ‘না, আমি চোর না, এই যে প্রমাণ দেখাচ্ছি। আপনারা বলছেন, আমার নাম নিউটন।
তাহলে নিউটন এখন দাঁড়িয়ে আছে এক বর্গমিটার ক্ষেত্রফল জায়গার ওপর। তার মানে তো আমি নিউটন না, আমি আসলে প্যাস্কেল!’ (প্যাস্কেল হলো চাপের
একক। এক বর্গমিটার ক্ষেত্রফলের ওপর এক নিউটন বল প্রয়োগ করা হলে তাকে বলা হয় এক