একদিন আজিমপুর থেকে বাসে এক খিটখিটে মহিলা উঠে কন্ডাক্টরকে বললেন, ‘আমি কল্যাণপুর নামব।’ পাছে কন্ডাক্টর ভুলে যান, এই ভয়ে প্রতি স্টপেজে তাঁকে প্রশ্ন করতে থাকেন, ‘এটা কল্যাণপুর?’ গাড়িটা যখন সিটি কলেজের কাছে এসেছে, মহিলা আগের মতোই ধৈর্য রাখতে না পেরে কন্ডাক্টরের পিঠে খোঁচা মেরে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এটা কল্যাণপুর?’ কন্ডাক্টর চমকে উঠে ঘুরে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘জি না, ওটা আমার পিঠ।’
ঠাকুর মা বেপরোয়া রাস্তা পার হচ্ছে দেখে পুলিশ সিটি বাজাল। কিন্তু ঠাকুরমা থামল না। পুলিশ দৌড়ে এসে জিজ্ঞেস করল, ‘কী ঠাকুমা, এই গাড়িঘোড়ার মধ্যে তুমি রাস্তা পার হচ্ছ! আমি সিটি বাজালাম, তা-ও তুমি থামলে না কেন?’ ঠাকুরমা একগাল হেসে বলল, ‘বাবা, সিটি শুনে দাঁড়াবার বয়স কি আমার আছে?’
এক নব্য ধনীর সদ্য কেনা গাড়িটি অ্যাক্সিডেন্টে ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। তিনি চিৎকার করতে লাগলেন, ‘হায় হায়! আমার শখের গাড়িটা গেল রে!’ এক পথচারী দেখল, লোকটার একটা হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সে বলল, ‘গাড়ির জন্য চিৎকার করছেন, আপনার হাত যে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে!’ নব্য ধনী আরও জোরে চিৎকার করে উঠলেন, ‘হায় হায়! আমার দামি রোলেক্স ঘড়িটাও গেল রে!’
রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটতে থাকা এক লোকের গায়ে লেগে গেল গাড়িটা। গাড়ির ভদ্রলোক রেগেমেগে বেরিয়ে এলেন গাড়ি থেকে। : দোষ আপনারই। গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা আমার ১০ বছরের। : মুখ সামলে কথা বলুন। অভিজ্ঞতা আমারও কম না। আমি ৫০ বছর ধরে রাস্তায় হাঁটছি।
সৌরভ বাসে করে মিরপুর থেকে মতিঝিল যাবে। অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে সে একটা বাসে সিট পেল। কিন্তু ওইপাশে সূর্যের আলো পড়ে। ফলে সে জানালার পাশে না বসে ভেতরের দিকে বসল। একটু পরে একজন মোটামুটি বয়স্ক লোক বাসে উঠে তাকে জানালার দিকে সরে পাশের সিটে বসতে বলল। সৌরভ পাশে না সরে সিট থেকে উঠে লোকটাকে ভেতরে যেতে বলল। লোকটা একটু রাগ করে বলল, ভদ্রতা জানা উচিত। আমি হলে ভেতরের সিটেই যেতাম।- সৌরভ তখন বলল, কী আশ্চর্য! আমি তো আপনাকে ভেতরের সিটেই যেতে বলছি।
পাগলাগারদে সব পাগল নাচানাচি করছিল। শুধু একজন বসে ছিল চুপ করে। অন্য পাগলেরা জিগ্যেস করল, ‘কী হে, তুমি বসে আছ কেন?’ সে উত্তর দিল, ‘দূর ব্যাটা, বিয়েবাড়িতে জামাই কখনো নাচে?’