ডাক্তার রোগীকে প্রশ্ন করলেন, অপারেশন করাটা যদি জরুরি হয়ে পড়ে, আপনি তার খরচ দিতে পারবেন? পাল্টা প্রশ্ন করল রোগী, খরচ যদি দিতে না পারি, অপারেশনটা কি তবু জরুরি হয়ে পড়বে?
মন্টু ও চিকিৎসকের মধ্যে কথা হচ্ছে— মন্টু: স্যার, আমি বাসার চাবি গিলে ফেলেছি। ডাক্তার: বলেন কী! কখন এ ঘটনা ঘটালেন? মন্টু: তা প্রায় মাস দুয়েক হবে। ডাক্তার: এত দিন আসেননি কেন? মন্টু: স্যার, তখন একটি নকল চাবি বানিয়ে নিয়েছিলাম। আজকে সেটাও হারিয়ে গেছে, তাই বাধ্য হয়ে আপনার শরণাপন্ন হয়েছি।
রাতেরবেলায় হাবলু বেশ উত্তেজিত হয়ে চিকিৎসককে ফোন করেছে। হাবলু: স্যার, দয়া করে তাড়াতাড়ি একটু আমাদের বাসায় আসুন। আমার স্ত্রী ব্যথায় উঠতে পারছে না। মনে হচ্ছে এটা অ্যাপেনডিসাইটিসের ব্যথা।’ চিকিৎসক: ভয়ের কোনো কারণ নেই। আমি সকাল হলেই আপনার বাসায় পৌঁছে যাব।’ হাবলু: কিন্তু স্যার, আমার স্ত্রীর অবস্থা যে খুবই খারাপ। চিকিৎসক: (এবার একটু উত্তেজিত) কী বলছেন যা-তা! দুই বছর আগেই তো আপনার স্ত্রীর অ্যাপেনডিসাইটিস অপারেশন করে ফেলেদিয়েছি। তার তো আর অ্যাপেনডিসাইটিসের ব্যথা হতে পারে না। এটা অন্য কোনো ব্যথা।’ হাবলু: সবই ঠিক আছে। কিন্তু স্যার, আমি যে নতুন আরেকটি বিয়ে করেছি।
হাবলুর ছেলে পানি ভেবে ভুল করে এক বোতল পেট্রল খেয়ে ফেলেছে। পেট্রল খাওয়ার পর থেকেই হাবলুর ছেলে অনবরত এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে লাগল। ছেলের কাণ্ড দেখে হাবলু তো মহা দুশ্চিন্তায় পড়ে গেল। হাঁপাতে হাঁপাতে হাবলু চিকিৎসকের কাছে গিয়ে হাজির। চিকিৎসক: সমস্যাটা কী, এভাবে হাঁপাচ্ছেন কেন?’ হাবলু: আর বলবেন না! আমার ছেলে পেট্রল খেয়ে শুধু এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করছে। তাকে থামানোর একটা উপায় বাতলে দেন না। চিকিৎসক: কোনো চিন্তা করবেন না। পেট্রল ফুরোলেই আপনার ছেলে থেমে যাবে।
সঞ্জু এসেছে চিকিৎসকের কাছে। চিকিৎসকের চেম্বারে ঢুকেই সঞ্জু বললেন, ‘স্যার, আমি খুব বিপদে আছি। খাওয়ার পর আমার আর খিদে পায় না।’ চিকিৎসক বললেন, ‘তাই নাকি! তাহলে তো জটিল সমস্যা আপনার।’ এরপর একটু দাঁড়ান বলেই চিকিৎসক প্রেসক্রিপশন লিখে সঞ্জুকে বললেন, ‘এখানে দুটি ওষুধের নাম লেখা আছে। নিয়মমাফিক খেলেই ঠিক হয়ে যাবেন। আর শুনুন, এক নম্বর ওষুধটি খাবেন ঘুমানোর পরে, আর দুই নম্বরটি ঠিক ঘুম থেকে জেগে ওঠার আগেই খাবেন।’
বাইপাস সার্জারি করতে চিকিৎসকের কাছে এক রোগী এসেছেন। রোগী চিকিৎসককে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি বাইপাস সার্জারি করালে সফলতার নিশ্চয়তা কত ভাগ দিতে পারবেন?’ চিকিৎসক দরাজ গলায় বললেন, ‘অবশ্যই শতভাগ নিশ্চয়তা দেব আমি।’ রোগী বললেন, ‘কিন্তু শতভাগ দিতে পারবেন—এ ব্যাপারে এত নিশ্চিন্ত হলেন কী করে?’ ‘মেডিকেল রেকর্ড বলে, প্রতি ১০০ জনে ৯৯ জন রোগীর চিকিৎসা ব্যর্থ হলে একজন অবশ্যই সফল হবে। এর আগে আমি ৯৯ জন রোগীর চিকিৎসা করেছি। তারা কেউই বাঁচেনি। আর আপনি হচ্ছেন আমার ১০০তম রোগী। সেই হিসাবে বলা যায়, আপনি সুস্থ হবেনই।’—চিকিৎসকের জবাব।