এক পকেটমার বলছে আরেক পকেটমারকে, ‘তুই যে একটু আগে “হ্যাললো…” বলে এক লোককে খুব আন্তরিকভাবে জড়িয়ে ধরলি, সে কে? নাম কী তার?’ : কী যেন! আমি কি নাম জানি নাকি? দেখি, তার মানিব্যাগে নিশ্চয় পরিচয়পত্র আছে।
হাইওয়েতে জলিল সাহেবের গাড়ি আটক করল পুলিশ। কর্তব্যরত সার্জেন্ট ধমক দিয়ে বললেন, ‘ব্যাপার কী? আপনি এত আস্তে গাড়ি চালাচ্ছেন কেন?’ জলিল: রাস্তার শুরুতে দেখলাম, ওপরে বড় করে লেখা ২০। ভাবলাম, এই রাস্তার সর্বোচ্চ গতিসীমা নিশ্চয় ২০। তাই… সার্জেন্ট: ওরে বোকা, এটা ২০ নম্বর রাস্তা। কিন্তু কথা হচ্ছে, আপনার গাড়ির পেছনের সিটে বসা দুজন এমন ভয়ার্ত চোখে চেয়ে আছে কেন? চুল খাড়া হয়ে আছে, দাঁতকপাটি লাগার দশা। ঘটনা কী? জলিল: না মানে, একটু আগে ২১২ নম্বর রাস্তা দিয়ে এলাম তো!
শার্লক হোমস: আপনার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে, তাই না? মক্কেল: হুঁ। শার্লক হোমস: আপনি ডাক্তারের কাছে যাচ্ছেন, তাই তো? মক্কেল: হুঁ! কিন্তু আপনি এত কিছু বুঝলেন কী করে? শার্লক হোমস: কারণ, আপনার মাথায় ভাঙা ফুলদানির টুকরা দেখা যাচ্ছে!
ঘড়ির দোকান থেকে একটা দামি ঘড়ি চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ল রুস্তম। বেদম প্রহারের একপর্যায়ে সে দোকানের মালিককে বলল, ‘ভাই, আমি ঘড়িটা কিনে নিই। ঝামেলা আপনার আর আমার মধ্যে মিটে যাক।’ দোকানদার ভাবলেন, প্রস্তাবটা খারাপ না। উপস্থিত জনতা রুস্তমকে ছেড়ে দিল। চোরকে সঙ্গে নিয়ে দোকানে ঢুকলেন দোকানদার। ‘ক্যাশ মেমো’ লিখতে ব্যস্ত হলেন তিনি। গা ঝাড়া দিয়ে বেশ ভাবের সঙ্গে বলল এবার রুস্তম, ‘ইয়ে মানে, কিছু মনে করবেন না দাদা। আমি যা খরচ করতে চেয়েছিলাম, এই ঘড়ির দামটা তার চেয়ে একটু বেশি। আমাকে বরং কম দামি একটা ঘড়ি দেখান।’
পথ ধরে যাচ্ছিলেন শফিক। হঠাৎ দেখলেন, ছোট্ট একটা ছেলে মাথায় লাল টুপি আর লাল পোশাক পরে কী যেন খেলছে। ছেলেটার কাঁধে একটা ছোট মই। হাতে দড়ি। দড়ির অপর প্রান্ত একটা কুকুরের লেজের সঙ্গে বাঁধা। শফিক: খোকা, কী খেলছ? খোকা: দেখছেন না, আমি একজন দমকলকর্মী। আর এই কুকুরটা, এটা আমার গাড়ি। শফিক: বাহ্! খুব ভালো। তবে আমার মনে হয়, তুমি যদি দড়িটা লেজে না বেঁধে গলায় বাঁধতে, তাহলে তোমার গাড়িটা দ্রুত চলত। খোকা: তা ঠিক বলেছেন। তবে তখন আর দড়ি ধরে টানলেই সাইরেন বাজত না!
হোটেলে বসে খাচ্ছিল জোবায়ের আর ফয়সাল। হঠাৎ জানা গেল, কোথায় যেন ভীষণ আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে খাবার না খেয়েই ছুট লাগাল জোবায়ের। পেছন থেকে ডাকল ফয়সাল, ‘কিরে, তুই যে একজন দমকলকর্মী, জানা ছিল না তো!’ জোবায়ের: আমি না, তবে আমার প্রেমিকার বাবা একজন দমকলকর্মী। দেখা করার এই সুযোগ!
এক পকেটমারের সঙ্গে জেলখানায় দেখা করতে গেছে অন্য এক পকেটমার বন্ধু। দর্শনার্থী বন্ধু: বন্ধু, তুমি কোনো চিন্তা কোরো না। আজ সকালেই আমি উকিলের সঙ্গে দেখা করে এসেছি। উকিলকে নগদ ২০ হাজার টাকাও দিয়ে এসেছি। কয়েদি বন্ধু: উকিল কী করলেন? টাকাগুলো পকেটে রেখে দিলেন? দর্শনাথী বন্ধু: হু। অন্তত ওনার তা-ই ধারণা।
একদিন এক কৃষকের বাড়িতে হানা দিলেন এক গোয়েন্দা। সহজ সরল কৃষককে ধমক দিয়ে গোয়েন্দা বললেন, ‘সরে দাঁড়াও, আজ তোমার বাড়িতে তল্লাশি করব!’ কৃষক বললেন, ‘তল্লাশি করতে চান, করুন স্যার। কিন্তু দয়া করে বাড়ির উত্তর দিকের মাঠটাতে যাবেন না।’ গোয়েন্দা কৃষকের নাকের ডগায় পরিচয়পত্রটা ঝুলিয়ে বললেন, ‘এটা চেন? এখানে আমার নাম লেখা আছে—গোয়েন্দা ছক্কু মিঞা! এটা দেখলে যে কেউ ভয়ে কুঁকড়ে যায়! আর তুমি কিনা আমার কাজে বাধা দিতে চাও?’ ঝাড়ি খেয়ে আর কিছু বললেন না কৃষক। কিছুক্ষণ পরই দেখা গেল, উত্তর দিকের মাঠ থেকে গোয়েন্দা ছক্কু মিঞার চিৎকার শোনা যাচ্ছে, ‘বাঁচাও! আমাকে বাঁচাও’। কৃষক ছুটে গিয়ে দেখলেন, একটা ষাঁড় ছক্কু মিঞাকে তাড়া করছে। দূর থেকে কৃষক বললেন, ‘স্যার, ওকে আপনার পরিচয়পত্রটা দেখান!’