পরীক্ষার তারিখ পিছানোর জন্য ছাত্ররা হেডমাষ্টারকে ধরেছে। ছাত্রদের আবদার শুনে তিনি রেগে গেলেন। : এখন আর তারিখ পিছানো যাবে না। প্রশ্নপত্র প্রেসে চলে গেছে। আর কোনো প্রশ্ন? : কোন প্রেসে স্যার?
শিক্ষক : বল তো পৃথিবীর আকার কী রকম? ছাত্র : গোলাকার, স্যার। শিক্ষক : বেশ বেশ! এবার প্রমাণ দাও কী করে বুঝলে যে পৃথিবী গোল। ছাত্র : ছাত্র জোরালো প্রমাণ আছে, স্যার। প্রথম সাপ্তাহিক পরীক্ষায় পৃথিবী চ্যাপ্টা লিখে শূন্য পেয়েছি। দ্বিতীয় সাপ্তাহিক পরীক্ষায় চৌকোনা লিখেও শূন্য পেলাম। তারপর লিখলাম পৃথিবী লম্বা, তাও আপনি কেটে দিয়েছেন। শেষে অনেক ভেবে চিনে- লিখেছিলাম তিনকোনা, তাও আপনি কেটেই দিলেন। তা হলে আর বাকি রইল কী? গোল হওয়া ছাড়া পৃথিবীর আর তো কোনো উপায় দেখতে পাচ্ছি না।
বই কিনতে এক ছাত্র দোকানে গেল। : অ্যানাটমির ওপর কোনো নতুন বই আছে? আমাদের পাঠ্য বইগুলো কয়েক বছর আগের। : এটা নিয়ে যান। এই ক’বছর মানুষের শরীরে আর নতুন কোনো পরিবর্তন হয় নি।
বাসের হেলপার এক যাত্রীর কাছে ভাড়া চাইল, সে একটি টাকা দিয়ে বলল, আমার হাফ, আমি ছাত্র। পাশের সিটেই বসে ছিলেন তার শিক্ষক। তিনি বললেন, আমার তা হলে মাপ, আমি ওর শিক্ষক।
শিক্ষক : জান, মিথ্যা কথা বললে কী হবে ? ছাত্র : আজ্ঞে হ্যাঁ, নরকে যাব। শিক্ষক : ঠিক, আর সত্য কথা বললে কী হবে জান ? ছাত্র : আজ্ঞে স্যার, আমরা মামলায় হেরে যাব।
স্কুলের মাঠে ফুটবল ম্যাচ খেলতে গিয়ে একজন গোল পোস্টে ধাক্কা লেগে পড়ে গেল। খেলা থামিয়ে অন্যেরা তাকে ধরাধরি করে মাঠের বাইরে নিয়ে গিয়ে শুশ্রষা করতে লাগল। দেরি হচ্ছে দেখে শিক্ষক এসে জিজ্ঞেস করলেন-কী হয়েছে ? এত সময় লাগছে কেন ? একজন ছাত্র অভিযোগের সুরে বলল: স্যার, আমরা যত ওর কৃত্রিম প্রশ্বাসের চেষ্টা করছি ততবারই ও উঠে চলে যেতে চাইছে।
গান শিখতে গিয়েছে মিতা। গুরুজীকে মাসে কত করে মাইনে দিতে হবে ? গুরুজী: প্রথম মাসে তিন শ’ টাকা, দ্বিতীয় মাসে দু’ শ টাকা, তৃতীয় মাস থেকে এক শ করে টাকা দিতে হবে। মিতা: তা হলে তৃতীয় মাস থেকেই আসব।
প্রবীণ শিক্ষক তাঁর বহু পুরোনো খাতাটি থেকে নোট ডিকটেশন দিচ্ছেন। সবাই মনোয়োগের সাথে লিখে নিচ্ছে। শুধু একটি ছেলে কোণের দিকে নির্বিকারভাবে বসে আছে। : কী ব্যাপার, তুমি নোট নিচ্ছ না যে? : দরকার নেই, স্যার। : দরকার নেই! কেন? : আব্বার নোট খাতা আমি খুঁজে পেয়েছি, স্যার। তিনিও আপনার ছাত্র ছিলেন।