এক পিঁপড়ে হাসিমুখে লাফাতে লাফাতে আসছে দেখে অন্য এক পিঁপড়ে তাকে জিজ্ঞেস করল: ‘এত খুশি যে! ব্যাপার কী?’ ‘আর বোলো না! সব জন্তু মিলে এক হাতিকে বেদম পেটাচ্ছে। মওকা পেয়ে আমিও দুই ঘা লাগিয়ে দিয়েছি।’ পরদিন সেই একই পিঁপড়েকে গম্ভীর মুখে আসতে দেখে অন্য পিঁপড়াটি জানতে চাইল: ‘কী ব্যাপার ভায়া, মুখটা গম্ভীর যে!’ ‘এক হাতিকে পেটানোর কথা বলেছিলাম কাল, মনে আছে? তো হাতিটা মরে গেছে। হত্যার দায় চাপানো হয়েছে আমার ওপরে।’
এক পুকুরে দুই পুঁটি মাছের কথোপকথন। —এই বদ্ধ জায়গায় আর থাকতে ইচ্ছে করে না। এই পুকুরের বাইরের জগৎটা দেখতে সাধ হয় বড়। —এখান থেকে বেরোনোর একটা মাত্র উপায় আছে; বড়শি দেখলেই ঝুলে পড়বে।
ব্যাঙ বসে আছে জলাশয়ের কিনারে। পাশে বেশ কয়েকটি গ্রেনেড রাখা। কুমির সাঁতরে এসে জিজ্ঞেস করল: গ্রেনেডগুলো দিয়ে কী করবে? জলহস্তীকে মারব। কেন, কী করেছে সে? কিছুই করেনি। তবে তার মুখের কাটা বিশাল, সেই জন্য। মুখ না খুলে দাঁতে দাঁত চেপে কুমির বলল: ওহ্, বুঝতে পেরেছি।
ঘোড়া বলল: আমরা মানবজাতির সবচেয়ে বড় বন্ধু। আমরা তাদের কঠিন কাজগুলো করে দিয়ে তাদের জীবন সহজ করে দিই। যুদ্ধের সময় আমরা অপরিহার্য। সোজা কথা, মানবজাতির কর্মে-বিশ্রামে-যুদ্ধে আমাদের বিকল্প নেই। শুনে গাধা বলল: বললেই হলো! দেখো, একসময় মানুষ গাড়ি আবিষ্কার করবে, তৈরি করবে আধুনিক অস্ত্র। তখন তোমার প্রয়োজন আর থাকবে না। আর আমরা, গাধারা, মানবজাতির ভেতরে চিরকালই থাকব।