বিমানটা ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই পাইলট অনুভব করলেন, তাঁর মাথার পেছনে কেউ একজন পিস্তল ঠেকিয়েছে। কর্কশ গলায় পিস্তলধারী বলল, ‘চিৎকার করবে না। আমি যা বলছি তাই করো। সোজা আমেরিকার দিকে যাও।’ পাইলট: আমরা তো আমেরিকাতেই যাচ্ছি। পিস্তলধারী: জানি। গত দুবারও আমি আমেরিকার প্লেনেই উঠেছিলাম। হাইজ্যাকারদের জ্বালায় একবার যেতে হলো আফ্রিকা, আরেকবার আলাস্কা। তাই এবার নিজেই…
দুই বন্ধুর সংলাপ। —এক মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে ইন্টারনেটে। এখন তার সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করব কীভাবে, বুঝতে পারছি না। —এক কাজ করো, তার সঙ্গে ভালো কোনো রেস্টুরেন্টের ওয়েবসাইটে যাও।
আগ্নেয়গিরির ছবি তুলবেন বলে একটা বিমান ভাড়া করলেন একজন আলোকচিত্রী। বিমান আকাশে ওড়ার সময় আলোকচিত্রী বলছেন পাইলটকে, 'ডানে যান… বাঁয়ে যান… হু, এবার আগ্নেয়গিরিটার খুব সামনে থেকে ঘুরে আসুন।' পাইলট: কেন? আলোকচিত্রী: কারণ আমি একজন আলোকচিত্রী, আমি আগ্নেয়গিরির ছবি তুলব। পাইলট: তার মানে আপনি আমার সেই প্রশিক্ষক নন, যাঁর আজ আমাকে বিমান অবতরণ করা শেখানোর কথা!
ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ একদিন ঘুম থেকে উঠে আবিষ্কার করলেন, কেউ একজন তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করেছে! তৎক্ষণাৎ তিনি ফোন করলেন নিজ অফিসের এক কর্মচারীকে। ‘কত বড় সাহস! আমার আ্যাকাউন্ট হ্যাক করে! এক্ষুনি খুঁজে বের করো ওই হ্যাকারকে। এক ঘণ্টার মধ্যে আমি ওর নাম-ঠিকানা জানতে চাই।’ চিৎকার করে বললেন জুকারবার্গ। ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বলল কর্মচারী, ‘অবশ্যই, স্যার। আমরা এক্ষুনি তাকে খুঁজে বের করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।’ জুকারবার্গ: পুলিশের হাতে তুলে দিতে কে বলল! ওকে বলো, আমার কোম্পানিতে ভালো বেতনে ওর জন্য একটা চাকরি আছে!
মৃত্যুর আগমুহূর্তে স্বামী বলছে স্ত্রীকে, ‘ওগো, আমার মৃত্যুর পর তুমি আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটা দেখে রেখো।’ স্ত্রী: তুমি কোনো চিন্তা কোরো না। তোমার মৃত্যুর পরও আমি সব সময় তোমার স্ট্যাটাস আপডেট করব। স্বামী: না, না, স্ট্যাটাস আপডেট লাগবে না, তুমি শুধু আমার ফার্মভিলের ফসলে নিয়মিত পানি দিয়ো!
ব্যাংক ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়ল দুই ডাকাত। প্রথম ডাকাত: বুঝলাম না! পুলিশ আগে থেইকা খবর পাইল ক্যামনে! দ্বিতীয় ডাকাত: আহ্ হা! এই মাত্র মনে পড়ল। অভ্যাসবশত সব সময় ফেসবুকে নিজের আপডেট দিতে গিয়া গতকালকে স্ট্যাটাস দিছিলাম, ‘ইয়াহুউউ! আগামীকাল ডাকাতি করতে যাইতাছি! ’