সেদিন কোন একজন শিক্ষকের একটা ব্যাথাভরা লেখা পড়লাম। একটা মিশ্র অনুভুতি হল; তার কথাটা এমন ছিল;
আমি সারা জীবন শিক্ষকতা কি কি অর্জন করলাম! আমাদের শিক্ষাতে কি কোন গলদ আছে! আমার অনেক অনুপ্রেরণার শিক্ষক আছেন বা ছিলেন, মানে অনেকেই গত হয়েছেন। কেও কাছাকাছি বা দুরে থেকেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। আমি মুসলিম হিসেবে তার জানাজায় গিয়ে তাকে দাফন করা, গুরুর জন্য আমার শেষ শ্রদ্ধা হত। আমি তা করিনি, দুঃখ প্রকাশ করেছি বা ফেসবুকে একটা দোয়া কপি পেস্ট করেছি মাত্র। আমার মনে হচ্ছে সারা জীবনে যত ছাত্র পড়িয়েছি তাদের কাছ থেকে আমি এইই পাব। কোন ব্যত্যয় হবে বলে মনে করছি না। কিন্তু আমি ভেবে পাচ্ছি না একজন মাদ্রাসার হুজুর মারা গেলে তার ছাত্র শুধুমাত্র তার জানাজায় অংশগ্রহণ করার জন্য ৩০০-৪০০ কিলোমিটার দূর থেকে হাজির হয়ে যাচ্ছে। তার কোন টিএ বা ডিএ প্রয়োজন হচ্ছে না। আমি কথা বলে জেনেছি একজন এসেছে সুদুর পঞ্চগড় থেকে, যে একজন হুজুরের মাদ্রাসার ছাত্র, হুজুর মারা গেছেন বলে চলে এসেছেন। তার মাসিক ইনকাম মাত্র ৫৫০০ টাকা অথচ সে প্রায় ৪০০০ টাকা খরচ করে তার শিক্ষকের শুধু জানাজা দিয়েই চলে যাবে। সাথে প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পর মহান আল্লাহর কাছে তার হুজুরের জন্য মাগফেরাত কামনা করে কান্নাকাটি করবে। যেটা মনেহয় আমার সন্তানও করবে না।
আরো অনেক কিছু বলার ছিল কিন্তু লেখাটা শেষ করতে পারলাম না।
আমি সারা জীবন শিক্ষকতা কি কি অর্জন করলাম! আমাদের শিক্ষাতে কি কোন গলদ আছে! আমার অনেক অনুপ্রেরণার শিক্ষক আছেন বা ছিলেন, মানে অনেকেই গত হয়েছেন। কেও কাছাকাছি বা দুরে থেকেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। আমি মুসলিম হিসেবে তার জানাজায় গিয়ে তাকে দাফন করা, গুরুর জন্য আমার শেষ শ্রদ্ধা হত। আমি তা করিনি, দুঃখ প্রকাশ করেছি বা ফেসবুকে একটা দোয়া কপি পেস্ট করেছি মাত্র। আমার মনে হচ্ছে সারা জীবনে যত ছাত্র পড়িয়েছি তাদের কাছ থেকে আমি এইই পাব। কোন ব্যত্যয় হবে বলে মনে করছি না। কিন্তু আমি ভেবে পাচ্ছি না একজন মাদ্রাসার হুজুর মারা গেলে তার ছাত্র শুধুমাত্র তার জানাজায় অংশগ্রহণ করার জন্য ৩০০-৪০০ কিলোমিটার দূর থেকে হাজির হয়ে যাচ্ছে। তার কোন টিএ বা ডিএ প্রয়োজন হচ্ছে না। আমি কথা বলে জেনেছি একজন এসেছে সুদুর পঞ্চগড় থেকে, যে একজন হুজুরের মাদ্রাসার ছাত্র, হুজুর মারা গেছেন বলে চলে এসেছেন। তার মাসিক ইনকাম মাত্র ৫৫০০ টাকা অথচ সে প্রায় ৪০০০ টাকা খরচ করে তার শিক্ষকের শুধু জানাজা দিয়েই চলে যাবে। সাথে প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পর মহান আল্লাহর কাছে তার হুজুরের জন্য মাগফেরাত কামনা করে কান্নাকাটি করবে। যেটা মনেহয় আমার সন্তানও করবে না।
আরো অনেক কিছু বলার ছিল কিন্তু লেখাটা শেষ করতে পারলাম না।