গতোকালকের ম্যাচটা পুরোপুরি স্পোর্টিং উইকেটে হয়নি।
ওটাও একটা স্পীন সহায়ক পিচই ছিলো। কালো টুপিরা যখন বোলিং করে তারা কিন্তু সেটি বুঝিয়ে দিয়েছিলো বাংলাদেশী বোলারদের। বিশেষ করে এজাজ প্যাটেলের বলগুলো দেখে আমার তাই মনে হয়েছে। পিচে এতো বেশি টার্ণ আর আন ইভেন বাউন্স ছিলো যা দেখে আমি মনে মনে বেশ উৎফুল্ল হয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, আমাদের সাকিব, নাসুম আর মাহদীরা আজ আবারো তাদের ঘূর্নির যাদুতে খুব সহজেই ব্ল্যাক ক্যাপসদের নাস্তানাবুদ করে ছাড়বে। কিন্তু আমাকে হতাশ করে দিয়ে দেশী স্পিনাররা পরিচিত পিচ আর পরিবেশের ফায়দা তুলতে পারিনি। মাহদী ভালো বল করলেও নাসুম বেশ কিছু বল করেছে সর্টার ল্যান্থে। স্পিনাররা যখন সর্টার ল্যান্থে বল করে তখন ব্যাটসম্যানরা সেই বল এডজাস্ট করে খেলতে প্রচুর সময় পান। বিশেষ করে মিডেল এন্ড লেগে যখন কোনো সর্টার বল পিচ করানো হয় তখন একজন ব্যাটসম্যান খুব সহজেই সেই বলে পুল কিংবা গ্ল্যান্স করতে আগ্রহী হয়ে উঠেন। তখন যদি পাওয়ার প্লে চলে তবে ব্যাটসম্যান একটু জোরের সাথেই সেই শটগুলো খেলতে চান। যার ফলশ্রুতিতে কোনো রকমে যদি ইনার সার্কেল পার করিয়ে দিতে পারেন সেটা বাউন্ডারীতে পরিণত হয় খুব সহজেই। নাসুম কালকে এরকম বেশ ক'টা বলই করেছে। ভাগ্য ভাল এর থেকে মাত্র দুটো বাউন্ডারী তারা বের করতে পেরেছে।
এরকম ভুল যদি সামনের ম্যাচেও স্পীনাররা করে, তবে হাত থেকে ম্যাচ বেরিয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।