পারিবারিক সমস্যা যে কি জিনিষ সেটা এখন আমি হাড়ে-মাংশে টের পাচ্ছি। আসলেই এটা খুব জটিল একটা সমস্যা। আগামী বুধবার দিন আমারো পারিবারিক মিটিং আছে। সেখানে অনেক ব্যাপারেই খুব ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কতোটুকু পারবো এখনো জানি না।
এক্ষেত্রে মাথা ঠান্ডা রেখে সঠিক পদক্ষেপ নেয়াটাই হচ্ছে সব থেকে ভালো পথ। কিন্তু বেশীভাগ ক্ষেত্রেই আমরা মাথা ঠান্ডা রাখতে পারি না। যার কারনে সিদ্ধান্তে গোলমাল হয়ে যায়...
হয়তো এতে সাময়ীক একটা প্রশান্তি মিলবে। তবে চিন্তা-ভাবনা করে একটা ফয়সালার পথও বের করতে হবে। এক্ষেত্রে সঠিক চিন্তা-ভাবনা শেষে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে ভালো কোনো বন্ধু বা পরামর্শকের কাছ থেকে পরামর্শ নিলেও অনেক ক্ষেত্রে ভালো ফল পাওয়া যায়....
আমি সাধারণত ক্বোরবানীর সময়টাতে ঘুমিয়ে কাটাই। এবারের ঈদেও এর কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। যাদিও এবারের ঈদটা অন্যান্য বছরের মতো ছিলো না। বাবাকে ছাড়া জীবনের প্রথম ক্বোরবানীর ঈদ কাটালাম। একটু অন্য রকমভাবে কাটালেও ঘুমটা দিয়েছিলাম অন্যান্য বছরের মতোই।
থাকার মতো কাউকে খুঁজে না পাবারই কথা। থাকলে আমিই থাকতাম। যেমন অন্যান্য বছরগুলোতে ঈদের দিনেও ফোরামে পড়ে থাকি। তবে এবারের ঈদে আমাদের বাড়িতে নেট সমস্যাজনিত কারনে ইচ্ছে থাকা সত্বেও ফোরামে ঢুকতে পারিনি, মামা।
বাংলাদেশের প্রথম টি-২০ ম্যাচটা অর্দ্ধেক দেখেছিলাম বাড়ির ঝিরঝিরে টিভিতে। বেশ স্বাচ্ছন্দেই দেখেছিলাম যদিও ঝিরঝিরের ফাঁকে বল খুঁজে পেতে কস্ট হয়েছে। বাকি অর্দ্ধেক দেখেছি এক জুনিয়র বন্ধুর বাসায় স্পস্ট ফকফকা এলইডি টিভিতে। কিন্তু আড্ডা আর খেলা দেখা একসাথে চলাতে ওভারের ছয় বলের মাঝে তিন বলই মিস করে গেছি... যদিও ফলাফল শেষে সবাই হৈ হুল্লোড়ের কমতি রাখি নাই !!
শুনলাম, এবার নাকি ঈদের দিনেও ক্বোরবানীর পশুর হাট বেশ জমজমাট ছিলো ? আপনি কিন্তু একটা চান্স নিতে পারতেন, মামা। ঈদের দিনে কেনা গরু ক্বোরবানী করে তাজা গরু ক্বোরবানী করার আলাদা স্বাদ নিতে পারতেন...