তখন পাবনা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে পড়ি, হবে হয়তো ১৯৯৯ এর দিকের ঘটনা। মিঠু ছাত্রাবাস এ পারমানেন্ট থাকার ব্যাবস্থা করে ফেললাম। ১৬ জন প্লাস ৮ জন এই ২৪ জনের খাওয়ার ব্যাবস্থা আছে। একটা রান্নাঘর, একটা টিউবওয়েল আর পাশাপাশি দুটি শৌচাগার। টিউবওয়েলে যেমন ভিড় থাকে তেমনই ভিড় থাকে শৌচালয়েও। বিশেষ করে সকালে সবারই ক্লাস শুরু ৮ঃ০০ থেকে তাই সবারই তাড়া থাকে। তার উপর আছে সেই কোষ্ঠ কাঠিন্যের সমস্যা। আর উনারাই সবার আগে যাদের এই সমস্যা আছে। বোঝেন ঠেলাডা!
সবার থেকে যিনি সিনিওর তিনি আবার যখন ঘুম থেকে উঠবেন উঠেই তার ওই ঘরে যাওয়া বাধ্যতামুলক আর সেখানে তিনি ধূমপান সহযোগে সেই কাজটি করতে দারুন পছন্দ করেন। আমার মুখ্য বিষয় ধুমপান নয়। উনি সকালে উঠে যেদিন দেখবেন যে সে ঘরে সিরিয়াল আছে সেদিন উনি উনার রুমের দরজার চৌকাঠে বসবেন। বাংলা বিড়ি ধরিয়ে চিৎকার করে জিজ্ঞাসা করবেন "ভিতরে কিডা?" বেশিরভাগ দিনই ভেতরে জাহিদ ভাই থাকবেন। আর তিনিও তারস্বরে জানান দিবেন। বাইরে থেকে আবারো চিৎকার ওই সালা হইছে? এবার একটু কুঁতা কুঁতির শব্দ আসবে। এবার বড় ভাইয়ের আর তর সইবে না। সে একটা সিএন্ডবি -র ইটা হাতে নিয়ে ওজন পরিক্ষা করে ছুড়ে দিবেন শৌচালয়ের টিনের দরজা বরাবর। ভেতর থেকে চিল-চিতকার, বাবারে মারে করে। তারপর আর তেমন কিছু শোনা যায়না তবে বোঝা যায় যাদের ঘুম ভাঙ্গতে সময় লাগছিল তারা এবার পড়ি মরি করে দরজা খুলে বাইরে "কি হয়েছে" ভাব নিয়ে দাঁড়িয়ে।
এবার জাহিদ ভাই আস্তে করে দরজা খুলে, ইটটা তুলে বড় ভাইয়ের কাছে এসে বলবে তুই আমার বাপের কাজ করেছিস, বেরই হচ্ছিল না। যা! সেরে আয়।
আরন মামার ক্ষেত্রে তেমনটাই হল। ধমক দেবার আগ পর্যন্ত আটকে থাকা আসল ঘটনা বেরুল না!