What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

আসুন নির্জনে আড্ডা মারি-২০২১ (5 Viewers)

Status
Not open for further replies.
সুপ্রভাত !
কেমন আছেন সবাই ?
এবার ঈদে কে কে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন ?
শুভ দুপুর।

আমার আর আজ যাওয়া হচ্ছেনা। আগামীকাল সকালে যাবো মামা।
 
আপনি এতো সকালে এ ঘরে কি করছিলেন?
সম্ভাব্য কারনঃ (দুঃখ মামা আরো সংযোগ করতে পারবেন)
১। ইবাদতের জন্য উঠেছেন।
২। প্রকৃতি আপনাকে ডেকে তুলেছে।
৩। ঈদের আগে একটু খায়েশ জেগেছে।

৪। মামী লাত্থায়ে ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন।
মনে হয় ৩ নম্বরটা।
 
সুপ্রভাত মামা।
আলহামদুলিল্লাহ্‌।
আমি আশা করছি। আজ রাতে রওনা হবার সম্ভাবনা আছে।
যাত্রা শুভ হোক।

ঈদ মুবারাক।
 
তখন পাবনা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে পড়ি, হবে হয়তো ১৯৯৯ এর দিকের ঘটনা। মিঠু ছাত্রাবাস এ পারমানেন্ট থাকার ব্যাবস্থা করে ফেললাম। ১৬ জন প্লাস ৮ জন এই ২৪ জনের খাওয়ার ব্যাবস্থা আছে। একটা রান্নাঘর, একটা টিউবওয়েল আর পাশাপাশি দুটি শৌচাগার। টিউবওয়েলে যেমন ভিড় থাকে তেমনই ভিড় থাকে শৌচালয়েও। বিশেষ করে সকালে সবারই ক্লাস শুরু ৮ঃ০০ থেকে তাই সবারই তাড়া থাকে। তার উপর আছে সেই কোষ্ঠ কাঠিন্যের সমস্যা। আর উনারাই সবার আগে যাদের এই সমস্যা আছে। বোঝেন ঠেলাডা!

সবার থেকে যিনি সিনিওর তিনি আবার যখন ঘুম থেকে উঠবেন উঠেই তার ওই ঘরে যাওয়া বাধ্যতামুলক আর সেখানে তিনি ধূমপান সহযোগে সেই কাজটি করতে দারুন পছন্দ করেন। আমার মুখ্য বিষয় ধুমপান নয়। উনি সকালে উঠে যেদিন দেখবেন যে সে ঘরে সিরিয়াল আছে সেদিন উনি উনার রুমের দরজার চৌকাঠে বসবেন। বাংলা বিড়ি ধরিয়ে চিৎকার করে জিজ্ঞাসা করবেন "ভিতরে কিডা?" বেশিরভাগ দিনই ভেতরে জাহিদ ভাই থাকবেন। আর তিনিও তারস্বরে জানান দিবেন। বাইরে থেকে আবারো চিৎকার ওই সালা হইছে? এবার একটু কুঁতা কুঁতির শব্দ আসবে। এবার বড় ভাইয়ের আর তর সইবে না। সে একটা সিএন্ডবি -র ইটা হাতে নিয়ে ওজন পরিক্ষা করে ছুড়ে দিবেন শৌচালয়ের টিনের দরজা বরাবর। ভেতর থেকে চিল-চিতকার, বাবারে মারে করে। তারপর আর তেমন কিছু শোনা যায়না তবে বোঝা যায় যাদের ঘুম ভাঙ্গতে সময় লাগছিল তারা এবার পড়ি মরি করে দরজা খুলে বাইরে "কি হয়েছে" ভাব নিয়ে দাঁড়িয়ে।

এবার জাহিদ ভাই আস্তে করে দরজা খুলে, ইটটা তুলে বড় ভাইয়ের কাছে এসে বলবে তুই আমার বাপের কাজ করেছিস, বেরই হচ্ছিল না। যা! সেরে আয়।


আরন মামার ক্ষেত্রে তেমনটাই হল। ধমক দেবার আগ পর্যন্ত আটকে থাকা আসল ঘটনা বেরুল না!
আমি হাসতে হাসতে শেষ।
 
আপনাদের সবাইকে পবিত্র ঈদুল-আযহার শুভেচ্ছা।
ত্যাগের মহিমা সমগ্র পৃথিবীকে কল্যাণময় করে তুলুক।

ঈদ মুবারক
ঈদ মুবারাক মামা।
 
তখন পাবনা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে পড়ি, হবে হয়তো ১৯৯৯ এর দিকের ঘটনা। মিঠু ছাত্রাবাস এ পারমানেন্ট থাকার ব্যাবস্থা করে ফেললাম। ১৬ জন প্লাস ৮ জন এই ২৪ জনের খাওয়ার ব্যাবস্থা আছে। একটা রান্নাঘর, একটা টিউবওয়েল আর পাশাপাশি দুটি শৌচাগার। টিউবওয়েলে যেমন ভিড় থাকে তেমনই ভিড় থাকে শৌচালয়েও। বিশেষ করে সকালে সবারই ক্লাস শুরু ৮ঃ০০ থেকে তাই সবারই তাড়া থাকে। তার উপর আছে সেই কোষ্ঠ কাঠিন্যের সমস্যা। আর উনারাই সবার আগে যাদের এই সমস্যা আছে। বোঝেন ঠেলাডা!

সবার থেকে যিনি সিনিওর তিনি আবার যখন ঘুম থেকে উঠবেন উঠেই তার ওই ঘরে যাওয়া বাধ্যতামুলক আর সেখানে তিনি ধূমপান সহযোগে সেই কাজটি করতে দারুন পছন্দ করেন। আমার মুখ্য বিষয় ধুমপান নয়। উনি সকালে উঠে যেদিন দেখবেন যে সে ঘরে সিরিয়াল আছে সেদিন উনি উনার রুমের দরজার চৌকাঠে বসবেন। বাংলা বিড়ি ধরিয়ে চিৎকার করে জিজ্ঞাসা করবেন "ভিতরে কিডা?" বেশিরভাগ দিনই ভেতরে জাহিদ ভাই থাকবেন। আর তিনিও তারস্বরে জানান দিবেন। বাইরে থেকে আবারো চিৎকার ওই সালা হইছে? এবার একটু কুঁতা কুঁতির শব্দ আসবে। এবার বড় ভাইয়ের আর তর সইবে না। সে একটা সিএন্ডবি -র ইটা হাতে নিয়ে ওজন পরিক্ষা করে ছুড়ে দিবেন শৌচালয়ের টিনের দরজা বরাবর। ভেতর থেকে চিল-চিতকার, বাবারে মারে করে। তারপর আর তেমন কিছু শোনা যায়না তবে বোঝা যায় যাদের ঘুম ভাঙ্গতে সময় লাগছিল তারা এবার পড়ি মরি করে দরজা খুলে বাইরে "কি হয়েছে" ভাব নিয়ে দাঁড়িয়ে।

এবার জাহিদ ভাই আস্তে করে দরজা খুলে, ইটটা তুলে বড় ভাইয়ের কাছে এসে বলবে তুই আমার বাপের কাজ করেছিস, বেরই হচ্ছিল না। যা! সেরে আয়।


আরন মামার ক্ষেত্রে তেমনটাই হল। ধমক দেবার আগ পর্যন্ত আটকে থাকা আসল ঘটনা বেরুল না!

অনেকদিন আগে একটা সেলস কনফারেন্সে যোগ দিয়েছিলাম। অনুষ্ঠান শেষে লটারিতে পুরস্কারের ব্যবস্থা ছিলো। আমরা মোট পারটিসিপেন্ট ছিলাম ২৫৭ জন। (শিল্পী কলা-কূশলী সহ। ) পুরস্কার দেয়া হবে ২৫০ জনকে। আগে থেকেই জানতাম, ২৫৬ টা পুরস্কার দেয়া হলেও আমি ২৫৭ নম্বরে পড়বো। জামালপুরের এক ভদ্রলোক বসেছিলেন আমার টেবিলে। ওনিও শঙ্কা বোধ করেছিলেন যদি ওনি পুরস্কার পেয়ে যান সে জন্য। ওনার জীবনেও ওনি কোনোদিন লটারী জিতেননি। আজকে যদি পেয়ে যান তবে ওনার রেকর্ড ভেঙ্গে যাতে পারে ওনি ছিলেন সেই শঙ্কায়। পুরস্কারের ঘোষনা আসতে থাকলো নিচের দিক থেকে। ২৫০ তম পুরস্কার দিয়ে শুরু, সব শেষে ঘোষনা হবে প্রথম পুরস্কার। প্রথম পুরস্কারটা ছিলো সুজুকি মারুতি কার। প্রায় দেড় ঘন্টা ব্যাপী ছিলো ঐ লটারী পর্ব। প্রথম ঘন্টাখানেক আমি আর ফারুক ভাই (জামালপুরের ভদ্রলোক ) আলাপে ছিলাম মশগুল। কার নাম্বার উঠছে আর কে পুরস্কার নিচ্ছে সেদিকে আমাদের দুজনার কোনো ভ্রুক্ষেপই ছিলো না। জানতাম আমরা কেউ পুরস্কার পাবো না। আর যদি একান্তই পেয়ে যাই তবে বেশ কয়েকবার ঘোষনা রিপিট করা হবে। তখন না হয় ঘোষিত নাম্বারের প্রতি মনোযোগ দেয়া যাবে। এই ঘন্টাখানেকের মাঝে বাইরে থেকে একবার বিড়ি ফুঁকেও এসেছি। এর মাঝে আমাদের কারোর নাম্বার যে লাগিনি সেটা বুঝে গেছি ফিরে আসর পরপরই। ঘোষিত সকল পুরস্কারই ইতিমধ্যে ডিস্ট্রিবিউট হয়ে গেছে। আস্তে আস্তে শেষের দিকে চলে এসছে পুরস্কার বিতরণী। ফারুক ভাইকে দেখলাম কিছুটা নড়েচড়ে বসলেন। ঘোষনার দিকে বেশ কিছুটা মনোযোগ দিলেন তিনি আমার কথার হা হু জবাব দেয়ার মাধ্যমে। আমার তেমন কোনো বিকার নেই। মনে মনে অন্য কিছু ভাবছি আমি। যেখানে বসে আমরা এই কনফারেন্স করছি সেখানে মাত্র কিছুদিন আগে বিল ক্লিনটন মিটিং করে গেছেন। সেটা ভেবেই মনে মনে বেশ তৃপ্তির ঢেকুর তুলছিলাম আমি। অবশেষ শেষ পুরস্কারের ঘোষনা দিচ্ছেন ঘোষক। বেশ মজা করে তিনি সবশেষ সেই নাম্বারটির ঘোষনা দিলেন। ঘোষকের ভাষাটা ছিলো এরকম...
প্রথম পুরস্কার যিনি পেয়েছেন তার প্রথম সংখ্যা শূন্য...
(একটু বিরতি সেই ফাঁকে আরো বার দুয়েক একই ঘোষনা... প্রথম সংখ্যা শূন্য... )
মাঝের সংখ্যা সাত...
(আবারো বিরতি, সেই ফাঁকে একই ঘোষনার রিপিটেশন )
আর শেষের সংখ্যা এক...
এর ডাবল...
শেষের সংখ্যা এক বলার সাথে সাথেই ফারুক ভাই কনুই দিয়ে আমাকে প্রচন্ড গুঁতা মারলেন। ওনি এতোটাই জোরে গুঁতা দিয়েছিলেন যে আমি প্রায় চেয়ার সহ পাশের দিকে কাত হয়ে পড়ে যাবার অবস্থা হয়েছিলো। ডাবল কথাটা শোনার পর পড়ে যাওয়া থেকে টেনে ধরে আমাকে শুধু আটকেই দেননি একেবারে ওনার বুকে জড়িয়ে ধরলেন।
আমার কূপনের নাম্বার ছিলো ০৭১...
পুরস্কার পেয়েছিলো ০৭২ নম্বরের কূপণ। যেটার মালিক ছিলো খাগড়াছড়ির এক ভদ্রলোক।
রসিয়ে রসিয়ে বলা শেষ নাম্বারের শেষ বাঁকটা পর্যন্ত আমি নিশ্চিত ছিলাম, ওটা আমার নাম্বার হবে না। কিন্তু ফারুক ভাই সে বাঁকটা পর্যন্ত ধৈর্য্য রাখতে পারেননি... এক শুনেই আমাকে গুঁতা বসিয়ে দিয়েছিলেন... যেমন আপনি বসিয়ে দিয়েছেন !!
 
আপনাদের সবাইকে পবিত্র ঈদুল-আযহার শুভেচ্ছা।
ত্যাগের মহিমা সমগ্র পৃথিবীকে কল্যাণময় করে তুলুক।

ঈদ মুবারক

বুঝছি, আজ বাড়ি চলে যাচ্ছেন। সে জন্যই ঈদের আগাম শুভেচ্ছা...
আপনাকেও ঈদের আগাম শুভেচ্ছা, মামা।
 
ঈদের আগের ঝামেলা, বুঝেনইতো।

এটা না বুঝার কি আছে ?
গরুর জন্য খড়-বিচালি কেনা কাটার ঝামেলা যে একেবারে সহজ কিছু না, এটা তো আমাদের জানাই আছে...
 
Status
Not open for further replies.

Users who are viewing this thread

Back
Top