ঠিক কিনা?
১# সেলুনের আয়নার দিকে তাকানোর পর হুট করে চুলের প্রতি আপনার এক পৃথিবী মায়া তৈরি হবে। মনে হবে, এই চুলেই আপনাকে অসম্ভব স্মার্ট লাগছে। কাটার কী দরকার? পুরোই ভেতর বলে থাকুক না, বাহির বলে কাটুক না অবস্থা।
২# প্রথম দফা চুল সাইজ করার পর মনে হবে একটু বেশিই বড় থেকে গেছে৷ এরপর যখন বলে কয়ে আবার সাইজ করবেন, তখন মনে হবে বেশি ছোট হয়ে গেছে৷
৩# আপনি যতই সাবধানতা অবলম্বন করুন না কেন, যতই হাত ঘুটিয়ে বসুন না কেন, নরসুন্দরের বিশেষ অঙ্গের সাথে আপনার কনুই একবারের জন্য হলেও সংঘর্ষে জড়াবে।
৪# চিপ বা জুলফি নিয়ে আপনি কখনোই সন্তুষ্ট হতে পারবেন না৷ সেন্টিমিটার স্কেলে মাপার পরও আপনার মনে হবে একটা চিপ ছোট অন্যটা বড়৷
৫# পেছনে ক্ষুরের দাগ দিয়েন না বলার আগেই দেখবেন নরসুন্দর দাগ দিয়ে ফেলেছে৷
৬# হুট করেই জানতে পারবেন, আপনার চুলের আগা ফেটে গেছে, রিবন্ডিং করা দরকার। চুল স্ট্রেইট করলে আপনাকে আরো একটু ভালো লাগবে। চেহারায় একটা ফেশিয়াল দরকার৷
৭# আপনার সিরিয়াল আসি আসি সময়েই জানতে পারবেন মাত্র আসা একজন রাত ৪টায় সিরিয়াল দিয়ে গেছে।
৮# শেভ করার পর মনে হবে না করলেই ভালো হতো, না করলে মনে হবে করে ফেললেই ভালো হতো।
৯# সেলুনের বিখ্যাত কাপড় দিয়ে আপনাকে মুড়িয়ে দেয়ার পর শরীরের নানা জায়গায় জীবনের যাবতীয় চুলকানি এসে হাজির হবে৷
১০# মুখে শেভিং ক্রিম লাগানোর পরই আপনার ফোন আসবে।
১১# যেদিন একটু তাড়াহুড়োয় থাকবেন সেদিনই জলসা মুভিজে দেবের ছবি দেখাবে, আর নরসুন্দর আপনার চুল কাটা ফেলে হা করে টিভির দিকে তাকিয়ে থাকবে৷