একদম মনের কথাগুলো বলে দিয়েছেন। আসলেই রস-কষহীন সাহিত্য হজম করা সাহিত্য প্রেমীদের জন্য কষ্টকরই বটে। এর সঠিক সমন্বয় করতে পারা কারনেই হুমায়ুন আহমেদের মত লেখকগন আধুনিক যুগের বাংলা লেখকদের মধ্যে এক বিশেষ কাতারে ছিলেন, যেটা হলো আমজনতার কাতার।
আমি মনে করি, আমাদের সমাজে যেসব জিনিস সব সময়ই হয়ে থাকে, কিন্তু ট্যাবু বানিয়ে রাখা হয়েছে সেগুলোও যখন সাহিত্য/উপন্যাসে যুক্ত করা যায় ঠিক তখনই প্রকৃত বাস্তবকে সাহিত্যে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব, এই একটা কারনেই লেখা লেখি শুরু করেছিলাম, তবে অন্য প্রফেশনে চলে যাওয়ায় লেখালেখি ব্যপারটা নেহায়েত শখ হিসেবেই আছে।
শখের বসে লেখেন বলেই লেখাটাতে প্রাণ থাকে। কারন শখটা যে মনের নিজস্ব সম্পত্তি...
মনের খোড়াকের জন্য লেখা হলে সে লেখাতে আন্তরিকতার পরশ থাকে শতোভাগ। আর পেশাগত কারনে লিখলে সেটাতে যতোটা না আন্তরিকতা থাকে, তার থেকে বেশী থাকে দায়সারা একটা ভাব। যদিও নিজের লেখা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করার প্রয়োজনীয়তায় খাটতে হয় প্রচুর, তথাপিও সেই লেখাতে পুরোপুরি আন্তরিকতার সেই ছোঁয়া থাকে না। আপনি আপনার শখ পুরা করেন অবসরে লিখে লিখে, আর আমরা আমাদের শখ পুরো করে নেবো সেই আন্তরিক লেখাগুলো পড়ে পড়ে...