আর্ন মামার দশা হইছে ঐ ছা্ত্রের মত, যেই ছাত্র শুধু গরুর রচনা শিখছে, এখন নদীর রচনা আসলে গরুকে নদীর পারে ঘাস খাইতে দিয়া গরুর রচনা লেইখা দেয়, বৃক্ষরোপন রচনা আসলে গরুকে গাছের সাথে বাইন্ধা গরুর রচনা লেইখা ফালায়...
আর্ন মামা যেই প্রসঙ্গই আসুক, সেইটা কাঠাল, কুমড়া, লেবু, লটকন এমনকি কবিতা, গান সবকিছুরে লাউ বানাইয়া ফালায়, শুধুু তাই না সাথে অপু মামা আর দীপু মামার নাম জুইড়া দেয়...
কথা মিথ্যে নয়!
এর পর যখন ঢাকা আসবেন তখন সমরিতা হাস্পাতালের ঠিক উল্টা দিকে প্যারাডাইসের একটা শোরুম আছে একবার যাবেন। খুব সকালে গেলে মিষ্টি পাবেন না আবার সন্ধ্যার পর গেলেও মিষ্টি পাবার সম্ভাবনা কম। কারন মিষ্টি পাবনা থেকেই আসে সকাল ১০ টার পরে, যতটুকু আসে ততটুকুই বিক্রি, পরের দিনের জন্য কিছু থাকবে না। আপনি সেখান থেকে একবার খেয়ে দেখতে পারেন। প্রথমে খাবেন রাজভোগ তারপর রসমালাই, তারপর কাটারীভোগ শেষে খাবেন প্যাড়া। মিষ্টির ক্রমানুসারে বললাম। হরেক রকমের মিষ্টি পাবেন। একবার পরখ করতে দোষ কি? দিপু মামার জন্য বলছি আপনিও পরখ করে দেখতে পারবেন, সুবিধার জন্য আপনার বাসায় যেতে শোরুম পড়বে। আজিমপুর টু গাবতলী রোডে মোহাম্মাদপুর বাস স্ট্যান্ড পার করেই পেট্রোল পাম্পটার ঠিক পরে শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টারের সাথেই লাগানো একটা শো-রুম আছে প্যারাডাইসের। আর কিছু না খেলেও দইটা খেয়ে দেখতে পারেন, পাবনার দই এর মিষ্টি কিন্তু বগুড়ার দইএর মিষ্টির চেয়ে কম।
স্বাস্থ্যগত সীমাবদ্ধতার কারনে মিস্টি হয়তো ওভাবে খেতে পারবো না। তবে প্যারাডাইসের প্যারার যে সুনাম ইতিমধ্যেই বিভিন্নজনের কাছ থেকে শুনেছি, তাতে প্যারাটা অবশ্যই চেখে দেখবো, মামা। ঠিকানাটা নোট করে রাখলাম, আপনাকে ধন্যবাদ। সেই সাথে পরবর্তী মিলন মেলায় প্যারার হাড়ি হাতে নিয়ে আপনি উপস্থিত হবেন সেটাই জাতী আপনার কাছ থেকে যে আশা করে সেটাও জানিয়ে রাখলাম !!
তখন জন্ম তিথি ঘুরেও যেতে পারে। জীবনের অর্দ্ধেকটা সময় পার করার পরেও তো কেউ কেউ উপলব্ধি করে, এতোদিন যে তারিখে জন্মদিন পালন করে আসছিলো, সেটা আসলে সঠিক ছিলো না !!
আমিও আছিলাম সেই দলে আর হারতাম শুধুই মনি মামার কাছে, খুব হিংসে হত। উনি অবস্য এর একটা ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন। রাত বারটার সময় নাকি একটা খবর হত টিভিতে তার একটা মিউজিক উনার মুখস্ত ছিল। সেটায় থাকত কান আর আঙ্গুল দিয়ে টিপতেন। আমার মনে আছে আমি শুধু এখানে প্রথম হবার জন্য time.is পেজ খুলে রাখতাম, রিয়াল টাইম কাউন্টের জন্য। তবে হ্যাঁ আরন মামার যেখানে ভয় যে একই দিনে ডাবল হাজিরা বা কোনদিন হাজিরা না কাউন্ট হওয়ার নানা ঝামেলায় থাকতাম প্রায় সময়ই। নস্টালজিক।